ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৭:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • / 124

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৫ আগষ্ট এই দিনটিকে জাতি আজ কালো অধ্যায় হিসেবে দেখে। এই হত্যাকাণ্ড বঙ্গবন্ধুকে করা হয়নি। এটি হত্যা করা হয়েছে পুরো জাতিকে। শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।

আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এখন এক বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সোনার বাংলা নির্মাণ মুখ থুবরে পরবেনা। অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে; সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এগিয়ে যাব।

প্রতিমন্ত্রী শনিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুজব রটিয়েছে। জিয়াউর রহমানের প্রথম কাজই ছিল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে কলুসিত করা। এজন্য জিয়া রাষ্ট্রযন্ত্র ও অর্থ ব্যবহার করেছে। যুবকদের ধ্বংস করতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সন্ত্রাসী বানানো হয়েছে। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া অনেক ষড়যন্ত্র করে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিছক ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড নয়; নিছক পরিবার হত্যাকাণ্ড নয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৭১’এর বিজয় ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার অস্বীকৃতিতে এ হত্যাকাণ্ড। ঘাতকরা ৭৫’এর ১৬ আগস্ট থেকে তাদের নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু করে। ৭৫’এর খুনীদের রাজনীতি করার করে দেওয়া হয়েছে।

তাদেরকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর গৌরবজনক ইতিহাস মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না- এ জন্য মোশতাক অধ্যাদেশ জারি ও জিয়া অধ্যাদেশকে আইনে পরিনত করেন।

যার খেশারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এ কারণে বাংলাদেশ অন্ধকার থেকে অন্ধকারতম হয়েছিলো। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ‘অনেকে যখন ৭৫’র সময় ছোট ছিলেন তখন অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তেমন কিছু জানতে পারনি। এখন আমাদের জানার সময় এসেছে। আমরা জানবো এবং জাতিকে জানাবো।বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।’

এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আলী কবীর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম লায়লা জেসমিন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আপডেট : ০৭:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৫ আগষ্ট এই দিনটিকে জাতি আজ কালো অধ্যায় হিসেবে দেখে। এই হত্যাকাণ্ড বঙ্গবন্ধুকে করা হয়নি। এটি হত্যা করা হয়েছে পুরো জাতিকে। শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।

আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এখন এক বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সোনার বাংলা নির্মাণ মুখ থুবরে পরবেনা। অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে; সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এগিয়ে যাব।

প্রতিমন্ত্রী শনিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুজব রটিয়েছে। জিয়াউর রহমানের প্রথম কাজই ছিল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে কলুসিত করা। এজন্য জিয়া রাষ্ট্রযন্ত্র ও অর্থ ব্যবহার করেছে। যুবকদের ধ্বংস করতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সন্ত্রাসী বানানো হয়েছে। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া অনেক ষড়যন্ত্র করে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিছক ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড নয়; নিছক পরিবার হত্যাকাণ্ড নয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৭১’এর বিজয় ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার অস্বীকৃতিতে এ হত্যাকাণ্ড। ঘাতকরা ৭৫’এর ১৬ আগস্ট থেকে তাদের নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু করে। ৭৫’এর খুনীদের রাজনীতি করার করে দেওয়া হয়েছে।

তাদেরকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর গৌরবজনক ইতিহাস মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না- এ জন্য মোশতাক অধ্যাদেশ জারি ও জিয়া অধ্যাদেশকে আইনে পরিনত করেন।

যার খেশারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এ কারণে বাংলাদেশ অন্ধকার থেকে অন্ধকারতম হয়েছিলো। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ‘অনেকে যখন ৭৫’র সময় ছোট ছিলেন তখন অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তেমন কিছু জানতে পারনি। এখন আমাদের জানার সময় এসেছে। আমরা জানবো এবং জাতিকে জানাবো।বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।’

এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আলী কবীর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম লায়লা জেসমিন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক প্রমুখ।