ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ : গোলাম মোহাম্মদ কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:২০:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
  • / 107

 

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনের বদলে রাজনীতির পরিবর্তন চায়। তাই সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে দেশের মানুষ অংশ নিচ্ছে না।

সাধারণ মানুষ জানে, আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন আরো বেড়ে যাবে। কারণ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাই, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না সাধারণ মানুষ।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে এক বুক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশে অনেক বেশি সুশাসন দিতে পারবে। শনিবার ( ১৩ নভেম্বর ) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে প্রেসিডিয়াম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ এতটাই ব্যস্ত যে রাজনীতির মাঠে তারা নেই বললেই চলে। আবার বিএনপি ইতোমধ্যেই অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে জাতীয় পার্টি অনেক সোচ্চার ভাবে সক্রিয় আছে। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও জাতীয় পার্টি সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই নির্বাচনের মাঠে আছে।

আমরা নির্বাচনে জয়ী হতেই শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়াই করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকছে। জাতীয় পার্টি নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়েই রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতির বাইরে জাতীয় পার্টির রাজনীতি। তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের ৯০ ভাগ মানুষের হৃদয়ের প্রত্যাশা পূরণ করতেই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করে একই সঙ্গে সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।

কিন্তু কেউ যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করবো। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে চাইলে আমরা তা প্রতিহত করবোই।

এ সময়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি জাতীয় পার্টির হাত ধরেই এগিয়ে যাবে। জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেউ কিছু করতে পারবে না। তিনি বলেন, খুব অল্প সময় আছে, তাই দ্রুততার সাথে তৃণমূলে জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে জাতীয় পার্টি।

বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাড. মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাড. শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মিঃ সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখ্ত, নাজমা আখতার এমপি, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, মো. জহিরুল ইসলাম, ক্কারী মো. হাবিবুল্লাহ বেলালী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ : গোলাম মোহাম্মদ কাদের

আপডেট : ১১:২০:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

 

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনের বদলে রাজনীতির পরিবর্তন চায়। তাই সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে দেশের মানুষ অংশ নিচ্ছে না।

সাধারণ মানুষ জানে, আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন আরো বেড়ে যাবে। কারণ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাই, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না সাধারণ মানুষ।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে এক বুক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশে অনেক বেশি সুশাসন দিতে পারবে। শনিবার ( ১৩ নভেম্বর ) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে প্রেসিডিয়াম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ এতটাই ব্যস্ত যে রাজনীতির মাঠে তারা নেই বললেই চলে। আবার বিএনপি ইতোমধ্যেই অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে জাতীয় পার্টি অনেক সোচ্চার ভাবে সক্রিয় আছে। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও জাতীয় পার্টি সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই নির্বাচনের মাঠে আছে।

আমরা নির্বাচনে জয়ী হতেই শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত লড়াই করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকছে। জাতীয় পার্টি নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়েই রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতির বাইরে জাতীয় পার্টির রাজনীতি। তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের ৯০ ভাগ মানুষের হৃদয়ের প্রত্যাশা পূরণ করতেই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করে একই সঙ্গে সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।

কিন্তু কেউ যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করবো। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে চাইলে আমরা তা প্রতিহত করবোই।

এ সময়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি জাতীয় পার্টির হাত ধরেই এগিয়ে যাবে। জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেউ কিছু করতে পারবে না। তিনি বলেন, খুব অল্প সময় আছে, তাই দ্রুততার সাথে তৃণমূলে জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে জাতীয় পার্টি।

বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাড. মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাড. শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মিঃ সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখ্ত, নাজমা আখতার এমপি, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, মো. জহিরুল ইসলাম, ক্কারী মো. হাবিবুল্লাহ বেলালী।