জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করবে বিএনপি
- আপডেট : ০৭:১৫:২২ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
- / 111
সোমবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেক শোর বিএনপির উদ্যোগে ‘দলটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে গুম করার ১০ বছর উপলক্ষে’ আলোচনা সভায় এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রতিদিন বাংলাদেশে মানুষের অধিকার নিয়ে মানুষ কথা বলার চেষ্টা করছে, বলতে পারছে না। তাকিয়ে দেখুন চারদিকে একটা ভয়াবহ রকমের মতো একটা অক্টোপাসের মতো সমস্ত কিছু দম বন্ধ করার একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমরা চেষ্টা করছি যে, আমাদের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে আগামীদিনে অবশ্যই সেই ধরণের একটা আন্দোলন তৈরি করতে সক্ষম হবো যে আন্দোলরের মধ্য দিয়ে আমরা যে ভয়াবহ দানব আমাদের ওপর চেপে বসে আছে তাকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো, পার্লামেন্ট তৈরি করতে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষার জন্য, আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরে পাবার জন্য এবং গুম হয়ে যাওয়া সন্তানদের ফিরে পাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করি, আন্দোলন করি। একটা সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনি। যেখানে জবাবদিহিতা থাকবে, যেন এই ধরণের কোনো মা কাঁদবে না, কোনো সন্তান তার বাবাকে খুঁজবে না-এই পরিবেশ আমরা তৈরি করি।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, এই আন্দোলন হবে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য এবং জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
একদলীয় ও বাকশালীয় শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যেসব তরুণরা প্রতিবাদ জানাচ্ছে তাদের নির্মূল ও নিশ্চিহ্ন করতেই সরকার তাদের গুম করে দিচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তা এখানে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তারা তাদের নির্মূল ও নিশ্চিহ্ন করতে চায়।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল ও ইলিয়াস আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াসের সঞ্চালনায় সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, গণ-অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ এবং বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভেকেট আসাদুজ্জামান আসাদ বক্তব্য রাখেন।