ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমাদের সামনে বিকল্প কোন পথ নেই: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৪:৫২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • / 117
বিএনপির সামনে বিকল্প কোন পথ নেই বলে মনে করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার খায়েশ হয়েছে। তাই তারা নীল নকশার মাধ্যমে ২০২৪ এ নির্বাচন করতে চায়। তারা আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়৷ এদেশ হচ্ছে তাদের জমিদারি। আমাদের সঙ্গে প্রজার মত ব্যবহার করছে। আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। জনজণের উত্তাল তরঙ্গে আন্দোলন সৃষ্টি করে তাদের পরাজিত করতে হবে।

‘ভয় পেয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসবে’ মন্ত্রীদের এমন মন্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, পরিষ্কার করে বলে দিতে চায় বিএনপি এই সরকারের অধীনে, হাসিনার অধীনে, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। আমরা ১০ দফা ঘোষণা করেছি। সেখানে বলেছি সরকারের পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীনরা নতুন করে গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো শুরু করেছে। তারা গ্রেপ্তার, মামলা দিয়ে দেশের মানুষকে দমিয়ে রাখতে চায়। গত ১৪ বছর তারা একই অস্ত্র ব্যবহার করেছে। কিন্তু তারা সফল হয়নি। তারা বিএনপির নেতৃত্ব ধ্বংস করতে চায়। জনগণের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে একদলীয় বাকশাল করতে চায়৷ সরকার দেশকে আজ নরকে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, সিদ্দিকবাজারে ভবন বিস্ফোরণ, চট্টগ্রামে ও সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণ হলো। কারণ সরকারের যে সব ডিপার্টমেন্টের এসব দেখার কথা তারা তা দেখছে না৷ তারা দায়িত্ব উপেক্ষা করছে। এসব ঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে।

ফখরুল বলেন, অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৭৩ দিন সহিংস আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ- জামায়াত। মানুষ হত্যা করেছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। তা দেখে সরকারের গাত্রদাহ হচ্ছে। সরকার এখন উস্কানি দিচ্ছে, বারবার উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে। আমাদের সামনে বিকল্প কোন পথ নেই। অনেক দুষ্টামি করেছে সরকার। পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক ঘটনা সৃষ্টি করেছে। সেখানে প্রশাস নীরব ভুমিকা পালন করেছে৷ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিএনপির ১৮১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে। এভাবে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি নষ্ট করে এদেশের মানুষকে বোকা বানানো যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আমাদের সামনে বিকল্প কোন পথ নেই: ফখরুল

আপডেট : ০৪:৫২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
বিএনপির সামনে বিকল্প কোন পথ নেই বলে মনে করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার খায়েশ হয়েছে। তাই তারা নীল নকশার মাধ্যমে ২০২৪ এ নির্বাচন করতে চায়। তারা আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়৷ এদেশ হচ্ছে তাদের জমিদারি। আমাদের সঙ্গে প্রজার মত ব্যবহার করছে। আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। জনজণের উত্তাল তরঙ্গে আন্দোলন সৃষ্টি করে তাদের পরাজিত করতে হবে।

‘ভয় পেয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসবে’ মন্ত্রীদের এমন মন্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, পরিষ্কার করে বলে দিতে চায় বিএনপি এই সরকারের অধীনে, হাসিনার অধীনে, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। আমরা ১০ দফা ঘোষণা করেছি। সেখানে বলেছি সরকারের পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীনরা নতুন করে গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো শুরু করেছে। তারা গ্রেপ্তার, মামলা দিয়ে দেশের মানুষকে দমিয়ে রাখতে চায়। গত ১৪ বছর তারা একই অস্ত্র ব্যবহার করেছে। কিন্তু তারা সফল হয়নি। তারা বিএনপির নেতৃত্ব ধ্বংস করতে চায়। জনগণের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে একদলীয় বাকশাল করতে চায়৷ সরকার দেশকে আজ নরকে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, সিদ্দিকবাজারে ভবন বিস্ফোরণ, চট্টগ্রামে ও সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণ হলো। কারণ সরকারের যে সব ডিপার্টমেন্টের এসব দেখার কথা তারা তা দেখছে না৷ তারা দায়িত্ব উপেক্ষা করছে। এসব ঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে।

ফখরুল বলেন, অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৭৩ দিন সহিংস আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ- জামায়াত। মানুষ হত্যা করেছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। তা দেখে সরকারের গাত্রদাহ হচ্ছে। সরকার এখন উস্কানি দিচ্ছে, বারবার উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে। আমাদের সামনে বিকল্প কোন পথ নেই। অনেক দুষ্টামি করেছে সরকার। পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক ঘটনা সৃষ্টি করেছে। সেখানে প্রশাস নীরব ভুমিকা পালন করেছে৷ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিএনপির ১৮১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে। এভাবে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি নষ্ট করে এদেশের মানুষকে বোকা বানানো যাবে না।