ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশিসহ ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটকালো লিবিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:২৩:১১ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
  • / 197
বাংলাদেশসহ প্রায় ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সমুদ্রপথে ইউরোপ যাওয়ার পথে আটকেছে লিবিয়ান কোস্টগার্ড বাহিনী।

রোববার ধরা পড়া এসব লোকের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ, সুদান, সোমালিয়া ও সিরিয়ার নাগরিক। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে আটকানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোন দেশের কতজন নাগরিক রয়েছেন, তা জানানো হয়নি।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জাভিয়ার একটি তেল পরিশোধনাগার পয়েন্টে অভিবাসনপ্রত্যশীদের বহনকারী নৌকাটির যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়।

এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষ লিবিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ধরা পড়ার সবশেষ ঘটনাটি এটি। এর মাত্র একদিন আগে, অর্থাৎ গত শনিবার (২ অক্টোবর) ৯০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ইউরোপ যাওয়ার পথে আটকায় লিবিয়ার কোস্টগার্ড। এদের মধ্যে আট নারী ও তিনটি শিশুও ছিল। তাদের ত্রিপোলিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, নৌকাটি থেকে দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সাগরে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন।

এ ঘটনার আগের দিন (১ অক্টোবর) গারগারেশ শহর থেকে নারী-শিশুসহ প্রায় চার হাজার অভিবাসী বা ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করে লিবিয়া সরকার। অবৈধ অভিবাসন ও মাদকপাচার রোধে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে কোনো পাচারকারী বা মাদককারবারিকে আটকের খবর পাওয়া যায়নি।

লিবিয়ার সমুদ্রে ধরা পড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনেক সময় বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

দরিদ্র আফ্রিকা, যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের বহু মানুষের অবৈধপথে ইউরোপ যাওয়ার অন্যতম প্রধান রুট হয়ে উঠেছে লিবিয়া। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসাবে, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে লিবিয়া ও তিউনিসিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছে অন্তত ৪৪ হাজার মানুষ।

যাওয়ার পথে আরও ২৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটকেছে লিবিয়ান কোস্টগার্ড। একই সময়ে সমুদ্রে নৌকাডুবিতে ১১ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশিসহ ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটকালো লিবিয়া

আপডেট : ০২:২৩:১১ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
বাংলাদেশসহ প্রায় ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সমুদ্রপথে ইউরোপ যাওয়ার পথে আটকেছে লিবিয়ান কোস্টগার্ড বাহিনী।

রোববার ধরা পড়া এসব লোকের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ, সুদান, সোমালিয়া ও সিরিয়ার নাগরিক। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে আটকানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোন দেশের কতজন নাগরিক রয়েছেন, তা জানানো হয়নি।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জাভিয়ার একটি তেল পরিশোধনাগার পয়েন্টে অভিবাসনপ্রত্যশীদের বহনকারী নৌকাটির যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়।

এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষ লিবিয়া হয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ধরা পড়ার সবশেষ ঘটনাটি এটি। এর মাত্র একদিন আগে, অর্থাৎ গত শনিবার (২ অক্টোবর) ৯০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ইউরোপ যাওয়ার পথে আটকায় লিবিয়ার কোস্টগার্ড। এদের মধ্যে আট নারী ও তিনটি শিশুও ছিল। তাদের ত্রিপোলিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, নৌকাটি থেকে দুই অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সাগরে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন।

এ ঘটনার আগের দিন (১ অক্টোবর) গারগারেশ শহর থেকে নারী-শিশুসহ প্রায় চার হাজার অভিবাসী বা ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করে লিবিয়া সরকার। অবৈধ অভিবাসন ও মাদকপাচার রোধে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে কোনো পাচারকারী বা মাদককারবারিকে আটকের খবর পাওয়া যায়নি।

লিবিয়ার সমুদ্রে ধরা পড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনেক সময় বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

দরিদ্র আফ্রিকা, যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের বহু মানুষের অবৈধপথে ইউরোপ যাওয়ার অন্যতম প্রধান রুট হয়ে উঠেছে লিবিয়া। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসাবে, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে লিবিয়া ও তিউনিসিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছে অন্তত ৪৪ হাজার মানুষ।

যাওয়ার পথে আরও ২৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটকেছে লিবিয়ান কোস্টগার্ড। একই সময়ে সমুদ্রে নৌকাডুবিতে ১১ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।