ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশু সানির লাশের সঙ্গেও বলাৎকার করে চাঁন মিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:২৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
  • / 124
রাজধানীতে শিশু সানি (৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ এর গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতের নাম মো. চাঁন মিয়া। বুধবার পল্টন থানার বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজ দুপুরের দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, গত ৯ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হয় সানি। তার মা ঝর্ণা বেগম ওইদিন রাতে তার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে পরেরদিন ১০ নভেম্বর সকালে তার বোন জামাই চাঁন মিয়াকে বিষয়টি জানায়। একই দিন রাত ৯টায় চাঁন মিয়ার মাধ্যমে ঝর্ণা বেগম সংবাদ পান পল্টন মডেল থানা এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে সানির বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে পল্টন মডেল থানায় সানির মা ঝর্ণা বেগম চাঁন মিয়ার সহায়তায় ল্যাংড়া রাসেল, পিন্টু, জুয়েল, কালাম, পায়েল ও হীরার নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি প্রথমে পল্টন থানা পুলিশ তদন্ত করে এবং পরবর্তীতে মামলাটি গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ তদন্ত শুরু করে।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ঘটনার আগের দিন রাতে চাঁন মিয়া সানিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন বিকেলে ফুটপাত থেকে ৬০ টাকা দিয়ে সে একটি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট কেনে। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় স্টেডিয়াম এলাকা থেকে ৫০ টাকা দিয়ে পাঁচটি ঘুমের ওষুধ কেনে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় একটি জুসের বোতল কিনে সেটাতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। পরে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটটি নিজে খেয়ে ফেলে।

পরবর্তীতে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় সানিকে স্টেডিয়ামের ২নং ও ৩নং গেইটের মাঝামাঝি ঝর্ণার পাড়ে অন্য পথশিশুদের সঙ্গে খেলতে দেখে তাকে ডাক দেয়। সানি কাছে আসলে তাকে ওষুধ মেশানো জুস খাওয়ায় চাঁন মিয়া। জুসটি খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে সানি দুর্বল হয়ে পড়লে রাত ১১টায় পল্টন মডেল থানার গুলিস্তান পার্ক এলাকায় নির্জন স্থানে পাশবিক নির্যাতন শেষে সানিকে গলাটিপে হত্যা করে।

ডিবি প্রধান বলেন, শিশু সানির মৃত্যু নিশ্চিত করার পরেও তার লাশের সঙ্গে পাশবিক নির্যাতন (বলাৎকার) চালায় চাঁন মিয়া। পরবর্তীতে সে নিজেই লাশ বস্তাবন্দি করে রাতে পুলিশ বক্সের সামনে ফেলে যায়।

ঘটনার পরের দিন সানির লাশ পাওয়ার বিষয়ে সানির মাকে খবর দেয়ার মিথ্যা নাটকও করে আসামি চাঁন মিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিশু সানির লাশের সঙ্গেও বলাৎকার করে চাঁন মিয়া

আপডেট : ১১:২৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীতে শিশু সানি (৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ এর গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতের নাম মো. চাঁন মিয়া। বুধবার পল্টন থানার বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজ দুপুরের দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, গত ৯ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হয় সানি। তার মা ঝর্ণা বেগম ওইদিন রাতে তার ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে পরেরদিন ১০ নভেম্বর সকালে তার বোন জামাই চাঁন মিয়াকে বিষয়টি জানায়। একই দিন রাত ৯টায় চাঁন মিয়ার মাধ্যমে ঝর্ণা বেগম সংবাদ পান পল্টন মডেল থানা এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে সানির বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে পল্টন মডেল থানায় সানির মা ঝর্ণা বেগম চাঁন মিয়ার সহায়তায় ল্যাংড়া রাসেল, পিন্টু, জুয়েল, কালাম, পায়েল ও হীরার নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি প্রথমে পল্টন থানা পুলিশ তদন্ত করে এবং পরবর্তীতে মামলাটি গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ তদন্ত শুরু করে।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ঘটনার আগের দিন রাতে চাঁন মিয়া সানিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন বিকেলে ফুটপাত থেকে ৬০ টাকা দিয়ে সে একটি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট কেনে। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় স্টেডিয়াম এলাকা থেকে ৫০ টাকা দিয়ে পাঁচটি ঘুমের ওষুধ কেনে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় একটি জুসের বোতল কিনে সেটাতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। পরে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটটি নিজে খেয়ে ফেলে।

পরবর্তীতে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় সানিকে স্টেডিয়ামের ২নং ও ৩নং গেইটের মাঝামাঝি ঝর্ণার পাড়ে অন্য পথশিশুদের সঙ্গে খেলতে দেখে তাকে ডাক দেয়। সানি কাছে আসলে তাকে ওষুধ মেশানো জুস খাওয়ায় চাঁন মিয়া। জুসটি খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে সানি দুর্বল হয়ে পড়লে রাত ১১টায় পল্টন মডেল থানার গুলিস্তান পার্ক এলাকায় নির্জন স্থানে পাশবিক নির্যাতন শেষে সানিকে গলাটিপে হত্যা করে।

ডিবি প্রধান বলেন, শিশু সানির মৃত্যু নিশ্চিত করার পরেও তার লাশের সঙ্গে পাশবিক নির্যাতন (বলাৎকার) চালায় চাঁন মিয়া। পরবর্তীতে সে নিজেই লাশ বস্তাবন্দি করে রাতে পুলিশ বক্সের সামনে ফেলে যায়।

ঘটনার পরের দিন সানির লাশ পাওয়ার বিষয়ে সানির মাকে খবর দেয়ার মিথ্যা নাটকও করে আসামি চাঁন মিয়া।