ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে মুরাদকে গ্রেপ্তারের দাবি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 89

মঙ্গলবার সন্ধার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, মুরাদের মতো আরও অনেক মুরাদ এই আওয়ামী লীগের ভেতর আছে। এই মুরাদের পাগলামি মানুষকে এমনভাবে আক্রমণ করেছে, মানুষের ভেতরে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে যে, মানুষের চাপ সামলানোর জন্য আপনারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এরকম আরও মুরাদ আপনাদের সংগঠনের ভেতরে আছে, প্রত্যেকটা মুরাদকে আপনারা সতর্ক করে দেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন শুধু ছাত্রদের মেরেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা কুয়েটের একজন শিক্ষকের প্রাণ কেড়ে নিল। বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরণের দখলদারত্ব তারা কায়েম করে রেখেছে। এই দখলদারত্বের শৃঙ্খল যদি আমরা ভাঙাতে না পারি, তাহলে এই মুরাদরা আপনাকে-আমাকে পুলিশ-এনএসআই দিয়ে তুলে নিয়ে আসবে, জুলুম করবে, নির্যাতন করবে। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী যেমন নারীদের তুলে নিয়ে এসে সম্ভ্রমহানি করতো, নির্যাতন করতো, এরাও ঠিক একই কায়দায় এ দেশের মা-বোনদের তুলে নিয়ে এসে সম্ভ্রমহানি করবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছর ধরে কয়েকজন লোক যে ধরণের মন্তব্য করছে, তাতে মনে হয় সংসদকে তারা একটি নাট্যশালায় রুপান্তর করেছে। রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন কোনো অপরাধ করে, তখন তাদেরকে শুধু তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তাদেরকে কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হয় না। এ কারণে যারা এ পদে পদায়ন হয়, তাদের একটি বদ্যমূল ধরণা হয়ে যায়, আমি যত বড় অন্যায় করি, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করি, আমার তো কোন ধরণের শাস্তি হবে না।

অন্যদিকে, একই দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের (ইশা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মানববন্ধনে তারা ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে ২৪ ঘণ্টা মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি করেন।

মানববন্ধনে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জামাল উদ্দীন মোহম্মদ খালিদ বলেন, এই মুরাদ হাসান এতোদিন আলেমদের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে এবং সম্প্রতি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে। তারপরও তার কোনো বিচার বা তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলেনি। কিন্তু সর্বশেষ যখন ছাত্রলীগের আপুদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, তখন টনক নড়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আজকে এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে এই মুরাদ কথা বলেছে সেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতাদের কেউ বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ করছে না, এটি লজ্জাজনক।

বক্তব্যে তিনি মুরাদ হাসানের সেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ইউটিউবার নাহিদের সাথে কারা জড়িত এবং তাকে কারা মদদ দিচ্ছে, তাদের খু্ঁজে বের করার দাবি জানান। তিনি বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, শুধু মন্ত্রিপরিষদ থেকে তাকে পদত্যাগ করালে হবে না, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার সংসদ সদস্য পদও বাতিল করে তাকে নারী অবমাননা আইনে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে মুরাদকে গ্রেপ্তারের দাবি

আপডেট : ০১:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

মঙ্গলবার সন্ধার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, মুরাদের মতো আরও অনেক মুরাদ এই আওয়ামী লীগের ভেতর আছে। এই মুরাদের পাগলামি মানুষকে এমনভাবে আক্রমণ করেছে, মানুষের ভেতরে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে যে, মানুষের চাপ সামলানোর জন্য আপনারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এরকম আরও মুরাদ আপনাদের সংগঠনের ভেতরে আছে, প্রত্যেকটা মুরাদকে আপনারা সতর্ক করে দেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন শুধু ছাত্রদের মেরেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা কুয়েটের একজন শিক্ষকের প্রাণ কেড়ে নিল। বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরণের দখলদারত্ব তারা কায়েম করে রেখেছে। এই দখলদারত্বের শৃঙ্খল যদি আমরা ভাঙাতে না পারি, তাহলে এই মুরাদরা আপনাকে-আমাকে পুলিশ-এনএসআই দিয়ে তুলে নিয়ে আসবে, জুলুম করবে, নির্যাতন করবে। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী যেমন নারীদের তুলে নিয়ে এসে সম্ভ্রমহানি করতো, নির্যাতন করতো, এরাও ঠিক একই কায়দায় এ দেশের মা-বোনদের তুলে নিয়ে এসে সম্ভ্রমহানি করবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছর ধরে কয়েকজন লোক যে ধরণের মন্তব্য করছে, তাতে মনে হয় সংসদকে তারা একটি নাট্যশালায় রুপান্তর করেছে। রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন কোনো অপরাধ করে, তখন তাদেরকে শুধু তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তাদেরকে কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হয় না। এ কারণে যারা এ পদে পদায়ন হয়, তাদের একটি বদ্যমূল ধরণা হয়ে যায়, আমি যত বড় অন্যায় করি, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করি, আমার তো কোন ধরণের শাস্তি হবে না।

অন্যদিকে, একই দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের (ইশা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মানববন্ধনে তারা ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে ২৪ ঘণ্টা মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি করেন।

মানববন্ধনে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জামাল উদ্দীন মোহম্মদ খালিদ বলেন, এই মুরাদ হাসান এতোদিন আলেমদের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে এবং সম্প্রতি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে। তারপরও তার কোনো বিচার বা তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলেনি। কিন্তু সর্বশেষ যখন ছাত্রলীগের আপুদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, তখন টনক নড়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আজকে এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে এই মুরাদ কথা বলেছে সেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতাদের কেউ বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ করছে না, এটি লজ্জাজনক।

বক্তব্যে তিনি মুরাদ হাসানের সেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ইউটিউবার নাহিদের সাথে কারা জড়িত এবং তাকে কারা মদদ দিচ্ছে, তাদের খু্ঁজে বের করার দাবি জানান। তিনি বলেন, সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, শুধু মন্ত্রিপরিষদ থেকে তাকে পদত্যাগ করালে হবে না, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার সংসদ সদস্য পদও বাতিল করে তাকে নারী অবমাননা আইনে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।