চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন দাবিতে শাহবাগে অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
  • আপডেট : ০৬:৩৩:০৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / 19

৩৫-প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীদের একটি অংশ। ছবি: সংগৃহীত

চাকরির বয়স বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান করছে আন্দোলনকারীরা। সরকারি চাকরিতে প্রবেশে পুরুষের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং নারীর ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার যে সুপারিশ এসেছে, সেই অনুযায়ী অবিলম্বে প্রজ্ঞাপনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

সোমবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। পরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আন্দোলনকারীরা এসে তাতে শামিল হন।

চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, ‘আজ আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি দিনব্যাপী চলবে। সরকার যদি আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন দ্রুত জারি না করে তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।’

তারা বলেন, আমাদের সঙ্গে সরকারের যে বৈঠক হয়েছে সেখানে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এর মধ্যে আমরা ছেলেদের ক্ষেত্রে চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৭ করার জন্য দাবি জানিয়েছি। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে উন্মুক্ত করার কথা বলেছি। সেটা সরকার বিবেচনা করবে। যদি আমাদের দাবি সরকার মেনে নেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে অবসরের সময় যে দুই বছর বাড়ানো হয়েছে, সেটা যেন না করা হয় সেজন্য আমরা সুপারিশ জানিয়েছি।

তারা আরও বলেন, আমরা দেখেছি আমাদের ৩৫ বাস্তবায়ন নিয়ে কাজগুলো চলছে। দ্রুতই কাজ এগোচ্ছে। আমরা চাই আজকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। আমরা এখান থেকে আনন্দ মিছিল করে যেতে চাই। তবে বলতে চাই-কোনোভাবেই অবসরের বয়স বাড়ানো যাবে না।’

আজ সোমবার সচিবালয়ে সরকার গঠিত পর্যালোচনা কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, মহিলারা যেন সুযোগটা বেশি পায়, সেজন্য বয়স ৩৭ দেয়া হয়েছে; পার্শ্ববর্তী দেশেও তা আছে। আর সবার জন্য ৩৫ সুপারিশ করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা এখন ৩০ বছর। এটি ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত কর্মসূচি পালন হচ্ছিল। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেই দাবি একাধিকবার নাকচ করে দেয়।

শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সেই দাবি ফের জোরাল হলে ৩০ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্দোলনকারীদের দাবি পর্যালোচনা করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দিয়েছে ওই কমিটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন দাবিতে শাহবাগে অবস্থান

আপডেট : ০৬:৩৩:০৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
চাকরির বয়স বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান করছে আন্দোলনকারীরা। সরকারি চাকরিতে প্রবেশে পুরুষের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং নারীর ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার যে সুপারিশ এসেছে, সেই অনুযায়ী অবিলম্বে প্রজ্ঞাপনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

সোমবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। পরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আন্দোলনকারীরা এসে তাতে শামিল হন।

চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, ‘আজ আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি দিনব্যাপী চলবে। সরকার যদি আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন দ্রুত জারি না করে তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।’

তারা বলেন, আমাদের সঙ্গে সরকারের যে বৈঠক হয়েছে সেখানে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এর মধ্যে আমরা ছেলেদের ক্ষেত্রে চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৭ করার জন্য দাবি জানিয়েছি। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে উন্মুক্ত করার কথা বলেছি। সেটা সরকার বিবেচনা করবে। যদি আমাদের দাবি সরকার মেনে নেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে অবসরের সময় যে দুই বছর বাড়ানো হয়েছে, সেটা যেন না করা হয় সেজন্য আমরা সুপারিশ জানিয়েছি।

তারা আরও বলেন, আমরা দেখেছি আমাদের ৩৫ বাস্তবায়ন নিয়ে কাজগুলো চলছে। দ্রুতই কাজ এগোচ্ছে। আমরা চাই আজকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। আমরা এখান থেকে আনন্দ মিছিল করে যেতে চাই। তবে বলতে চাই-কোনোভাবেই অবসরের বয়স বাড়ানো যাবে না।’

আজ সোমবার সচিবালয়ে সরকার গঠিত পর্যালোচনা কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, মহিলারা যেন সুযোগটা বেশি পায়, সেজন্য বয়স ৩৭ দেয়া হয়েছে; পার্শ্ববর্তী দেশেও তা আছে। আর সবার জন্য ৩৫ সুপারিশ করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা এখন ৩০ বছর। এটি ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত কর্মসূচি পালন হচ্ছিল। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেই দাবি একাধিকবার নাকচ করে দেয়।

শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সেই দাবি ফের জোরাল হলে ৩০ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্দোলনকারীদের দাবি পর্যালোচনা করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দিয়েছে ওই কমিটি।