ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৮:২০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
  • / 127
মুসলমানদের অন্যতম ইবাদত পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। করোনভাইরাসের কারণে দুই বছর সংখ্যা হ্রাসের পরে এবার বিদেশ থেকে সাড়ে আট লাখসহ মোট ১০ লাখ মুসলমান নিয়ে হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা করলেন ১০ লাখেরও বেশি হাজি। মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে শুক্রবার (৮ জুলাই) ফজরের নামাজের পর আরাফাতের উদ্দেশে রওনা করবেন হাজিরা। আরাফাতের ময়দানে পবিত্র হজের খুতবা শুনবেন এবং ইবাদাত-বন্দেগিতে ব্যস্ত সময় পার করবেন হাজিরা।

মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মিনা। হজযাত্রীরা মিনায় কেউ বাসে করে। কেউ হেঁটে যান হজের অংশ হিসেবে। হাজিরা পাঁচ দিন মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা, মক্কা ও মিনায় অবস্থান করবেন।

চলতি বছর আরাফতের মাঠে অবস্থিত মসজিদে নামিরায় পবিত্র হজের খুতবা পাঠ করবেন দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক শায়খ ড. আবদুল করিম মুহাম্মদ আল ঈসা। প্রত্যেক হজযাত্রীকে নিজ নিজ মোয়াল্লেম কার্যালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, নিজ নিজ হোটেলের সামনে থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা দেন হাজিরা। একইভাবে মিনা, আরাফাত, মুজদালিফায় কীভাবে ও কখন রওনা হবেন, তা-ও জানিয়ে দেয়া হয় আগেভাগে।

হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তছলিম জানান, এ বছর অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী।

১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন হাজিরা। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ শেষে মিনায় ফিরে গিয়ে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন।

এদিকে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ২৩টি হাসপাতাল এবং ১৪৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত করেছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া মিনায় হজযাত্রীদের চিকিৎসার জন্য চারটি হাসপাতাল ও ২৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। রোগীদের নিবিড় পরিচর্যার জন্য এক হাজারেরও বেশি শয্যা রয়েছে এবং বিশেষ করে হিটস্ট্রোক করা রোগীদের জন্য ২০০টিরও বেশি শয্যা রয়েছে। একই সঙ্গে ২৫ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী কেউ অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু

আপডেট : ০৮:২০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
মুসলমানদের অন্যতম ইবাদত পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। করোনভাইরাসের কারণে দুই বছর সংখ্যা হ্রাসের পরে এবার বিদেশ থেকে সাড়ে আট লাখসহ মোট ১০ লাখ মুসলমান নিয়ে হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা করলেন ১০ লাখেরও বেশি হাজি। মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে শুক্রবার (৮ জুলাই) ফজরের নামাজের পর আরাফাতের উদ্দেশে রওনা করবেন হাজিরা। আরাফাতের ময়দানে পবিত্র হজের খুতবা শুনবেন এবং ইবাদাত-বন্দেগিতে ব্যস্ত সময় পার করবেন হাজিরা।

মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মিনা। হজযাত্রীরা মিনায় কেউ বাসে করে। কেউ হেঁটে যান হজের অংশ হিসেবে। হাজিরা পাঁচ দিন মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা, মক্কা ও মিনায় অবস্থান করবেন।

চলতি বছর আরাফতের মাঠে অবস্থিত মসজিদে নামিরায় পবিত্র হজের খুতবা পাঠ করবেন দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক শায়খ ড. আবদুল করিম মুহাম্মদ আল ঈসা। প্রত্যেক হজযাত্রীকে নিজ নিজ মোয়াল্লেম কার্যালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, নিজ নিজ হোটেলের সামনে থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা দেন হাজিরা। একইভাবে মিনা, আরাফাত, মুজদালিফায় কীভাবে ও কখন রওনা হবেন, তা-ও জানিয়ে দেয়া হয় আগেভাগে।

হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তছলিম জানান, এ বছর অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী।

১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন হাজিরা। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ শেষে মিনায় ফিরে গিয়ে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন।

এদিকে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ২৩টি হাসপাতাল এবং ১৪৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত করেছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া মিনায় হজযাত্রীদের চিকিৎসার জন্য চারটি হাসপাতাল ও ২৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। রোগীদের নিবিড় পরিচর্যার জন্য এক হাজারেরও বেশি শয্যা রয়েছে এবং বিশেষ করে হিটস্ট্রোক করা রোগীদের জন্য ২০০টিরও বেশি শয্যা রয়েছে। একই সঙ্গে ২৫ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী কেউ অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।