ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তওবার তাৎপর্য ও সঠিক নিয়ম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৭:০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
  • / 605

ছবি: সংগৃহীত

::ধর্ম ডেস্ক::

ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল ও পরিভাষা হলো তাওবা। তাওবা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ তালার পক্ষ থেকে তার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি ও প্রতিনিধি মানুষের জন্য বড় নেয়ামত, করুণা ও দয়া। এর মাধ্যমে মানুষ পাপ ও পঙ্কিলতা মোচন করে।

পাপমোচনের অন্যতম মাধ্যম হলো তওবা। তাওবা বিশ্বজগতের মালিক মহান আল্লাহ তায়ালার অপার অনুগ্রহ। তার শ্রেষ্ঠতম প্রতিনিধি মানুষের জন্য বড় নেয়ামত ও বিশেষ রহমত হলো দোয়া। মুসলিমসমাজে তওবার ব্যাপক পরিচিত বিষয় হলেও তওবা কেন অপরিহার্য, কী এর গুরুত্ব বা কীভাবে তওবা করতে হয় সে সম্পর্কে অনেকের স্পষ্ট ও সঠিক ধারণা নেই।

তওবা শব্দের আক্ষরিক অর্থ ফিরে আসা ও প্রত্যাবর্তন করা। পারিভাষিক অর্থে তওবা বলা হয়, শরিয়ত বহির্ভূত নিষিদ্ধ কাজ ত্যাগ করে ইসলাম নির্দেশিত কাজ করার মাধ্যমে আল্লাহর পথে ফিরে আসা এবং আল্লাহর বিধানের উপর অটল-অবিচল থাকা। আল্লাহ তায়লা মুসলিম ও অমুসলিম সবাইকে তওবা করার নির্দেশ দিয়ে আহ্বান করেছেন।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তালা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমার সকলেই আল্লাহর কাছে তাওবা করো; যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা নূর, আয়াত: ৩১) আল্লাহ তালা আরো ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা করো; খাঁটি তওবা।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত: ৮)

রাসূলে কারিম (সা.) বলেন, ‘ইয়া আইয়্যুহান নাসু তুবু ইলাল্লাহি’ অর্থাৎ হে মানবজাতি! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা করো, এর অর্থ হলো- আল্লাহর নিকট ফিরে আসো, প্রত্যাবর্তন করো। ‘ (মুসলিম, হাদিস নং: ৭০৩৪)

বিশেষজ্ঞ আলেমগণ সর্বসম্মতিক্রমে বলেন, সর্বদা তওবা করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওয়াজিব। ইমাম কুরতুবি (রহ.) ও ইমাম নববি (রহ.) এই ঐক্যমতের কথা তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন। তওবা জান্নাত প্রাপ্তি ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও ভালোবাসা লাভের একটি বড় সুযোগ ও উপায়। আল্লাহ তালা আরো বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ বেশি বেশি তওবাকারীকে ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২২২)

আল্লাহর ভালোবাসার পাথেয় হলো তওবা। আর এই তওবা হতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য। আমরা জানি যে, কর্মের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের উপর। সুতরাং তওবা আল্লাহর জন্য হলে আমরা তওবার কাঙ্ক্ষিত ফজিলত লাভ করতো পারবো।

তওবা কীভাবে করতে হয়? মহান আল্লাহর হক বা অধিকার সম্পর্কিত হলে তিনটি শর্ত বাস্তবায়ন করলেই তওবা হয়ে যাবে। শর্ত তিনটি হলো—

১. পাপ পুরোপুরিভাবে ছেড়ে দিতে হবে। ২. পাপের জন্য অনুশোচনা করতে হবে, লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে। ৩. ঐ পাপ দ্বিতীয়বার না করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে, দৃঢ় সংকল্প করতে হবে এবং এর উপর অটল ও অবিচল থাকতে হবে। আর মানুষের হক বা অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলে আরো একটি শর্ত যুক্ত হবে, তা হলো সেই ব্যক্তি মানুষের কাছে মাফ চেয়ে নিতে হবে অথবা তার পাওনা-প্রাপ্তি, হক ফিরিয়ে দিতে হবে। এই শর্তগুলো পূরণ করলেই তওবা শুদ্ধ হবে। অন্যথায় তওবা বিশুদ্ধ হবে না।

তওবা করার পদ্ধতি তওবা করার সুন্দর একটি পদ্ধতি হলো, তওবা করার জন্য প্রথমে সুন্দর করে অজু করা চাই। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহ তালার কাছে মাগফিরাত ও ক্ষমা চাইতে হবে। বিগত জীবনের সকল পাপ এবং আদেশ অমান্য করার অপরাধ থেকে মার্জনা চাইতে হবে। তবে এই নফল নামাজ তওবার জন্য জরুরি নয়। তওবার সময়-সীমা হলো, মৃত্যুর নিদর্শন প্রকাশ পাওয়ার আগ পর্যন্ত। এ সম্পর্কে নবী কারিম সা. বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তার বান্দার তওবা কবুল করেন, যতক্ষণ না সে (মৃত্যু যন্ত্রণায়) গরগর করে।’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৫৩৭)

এটা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, তওবা মানে এই নয় যে, আমরা সেই শেষ সময়ের প্রতীক্ষা করবো আর মৃত্যুর সময় কাছাকাছি এলে তওবা করে নেবো। বরং প্রকৃত ব্যাপার হলো আমরা কেউ জানি না ঠিক কখন আমাদের মৃত্যুসময় এসে পড়বে। তাই অবারিত পাপের সাগরে ডুবে থাকার কোনো সুযোগ নেই। আল্লাহর বান্দা মানুষের জন্য বিশেষ ইহসান। আমরা যদি হাদিসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই রাসূল (সা.) বলেন, ‘হে মানবজাতি! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা করো; কেননা আমি প্রতিদিনে শতবার তার নিকট তওবা করি।’ (মুসলিম, হাদিস নং ৭০৩৪)।

সুতরাং মুহাম্মাদ (সা.) এর সুন্নত অনুযায়ী আমাদের প্রতিনিয়ত ও সার্বক্ষণিক তওবার উপর আমল থাকা চাই। তওবা ব্যক্তির একান্ত অনুভূতি, মন ও অন্তরের বিষয়। আমাদের সমাজে দেখা যায় তওবা পড়ানোর রীতি প্রচলিত। কোনো একজন মানুষ খুবই মুমূর্ষূ অবস্থায় আছে, বেঁচে থাকার আশা নেই, তখন মসজিদের ইমাম বা কোনো হুজুর ডেকে এনে তওবা পড়ানো হয়। অথচ তওবা কাউকে ডেকে এনে করানো বা পড়ানোর বিষয় নয় বরং তওবা হলো ব্যক্তি মানুষের একান্ত হৃদয়-মনের ব্যাপার; ব্যক্তি নিজেই স্বয়ং আল্লাহর কাছে তওবা করবে। অপ্রিয় হলেও সত্য বলতে হয় যে, এরকম তওবার কোনো দৃষ্টান্ত কোরআন-হাদিসের কোথাও উল্লেখ নেই। কোনো সাহাবি ও তাবেয়িদের জীবনে কিংবা মুসলিম উম্মাহর প্রাথমিক যুগের কোনো আল্লাহওয়ালা প্রাজ্ঞ ব্যক্তির কিতাবপত্র বা আমলেও নেই।

তাই আসুন, উপযুক্ত তওবার শর্তগুলো পূর্ণ করার মাধ্যমে সুন্নাতসম্মত তওবা করে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করি। আর সুযোগ পেলে মন দিয়ে ও অর্থের প্রতি খেয়াল রেখে এই দোয়া পড়ি ‘আসতাগফিরুল্লাহ ওয়া আতু-বু ইলাইহি’। অর্থ: ‘আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইছি ও তার নিকট তওবা করছি।’ আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তার দরবারে অনুতপ্ত হয়ে বারে বারে ফিরে আসার তাওফিক দিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তওবার তাৎপর্য ও সঠিক নিয়ম

আপডেট : ০৭:০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
::ধর্ম ডেস্ক::

ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল ও পরিভাষা হলো তাওবা। তাওবা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ তালার পক্ষ থেকে তার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি ও প্রতিনিধি মানুষের জন্য বড় নেয়ামত, করুণা ও দয়া। এর মাধ্যমে মানুষ পাপ ও পঙ্কিলতা মোচন করে।

পাপমোচনের অন্যতম মাধ্যম হলো তওবা। তাওবা বিশ্বজগতের মালিক মহান আল্লাহ তায়ালার অপার অনুগ্রহ। তার শ্রেষ্ঠতম প্রতিনিধি মানুষের জন্য বড় নেয়ামত ও বিশেষ রহমত হলো দোয়া। মুসলিমসমাজে তওবার ব্যাপক পরিচিত বিষয় হলেও তওবা কেন অপরিহার্য, কী এর গুরুত্ব বা কীভাবে তওবা করতে হয় সে সম্পর্কে অনেকের স্পষ্ট ও সঠিক ধারণা নেই।

তওবা শব্দের আক্ষরিক অর্থ ফিরে আসা ও প্রত্যাবর্তন করা। পারিভাষিক অর্থে তওবা বলা হয়, শরিয়ত বহির্ভূত নিষিদ্ধ কাজ ত্যাগ করে ইসলাম নির্দেশিত কাজ করার মাধ্যমে আল্লাহর পথে ফিরে আসা এবং আল্লাহর বিধানের উপর অটল-অবিচল থাকা। আল্লাহ তায়লা মুসলিম ও অমুসলিম সবাইকে তওবা করার নির্দেশ দিয়ে আহ্বান করেছেন।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তালা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমার সকলেই আল্লাহর কাছে তাওবা করো; যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা নূর, আয়াত: ৩১) আল্লাহ তালা আরো ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা করো; খাঁটি তওবা।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত: ৮)

রাসূলে কারিম (সা.) বলেন, ‘ইয়া আইয়্যুহান নাসু তুবু ইলাল্লাহি’ অর্থাৎ হে মানবজাতি! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা করো, এর অর্থ হলো- আল্লাহর নিকট ফিরে আসো, প্রত্যাবর্তন করো। ‘ (মুসলিম, হাদিস নং: ৭০৩৪)

বিশেষজ্ঞ আলেমগণ সর্বসম্মতিক্রমে বলেন, সর্বদা তওবা করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওয়াজিব। ইমাম কুরতুবি (রহ.) ও ইমাম নববি (রহ.) এই ঐক্যমতের কথা তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন। তওবা জান্নাত প্রাপ্তি ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও ভালোবাসা লাভের একটি বড় সুযোগ ও উপায়। আল্লাহ তালা আরো বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ বেশি বেশি তওবাকারীকে ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২২২)

আল্লাহর ভালোবাসার পাথেয় হলো তওবা। আর এই তওবা হতে হবে শুধু আল্লাহর জন্য। আমরা জানি যে, কর্মের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের উপর। সুতরাং তওবা আল্লাহর জন্য হলে আমরা তওবার কাঙ্ক্ষিত ফজিলত লাভ করতো পারবো।

তওবা কীভাবে করতে হয়? মহান আল্লাহর হক বা অধিকার সম্পর্কিত হলে তিনটি শর্ত বাস্তবায়ন করলেই তওবা হয়ে যাবে। শর্ত তিনটি হলো—

১. পাপ পুরোপুরিভাবে ছেড়ে দিতে হবে। ২. পাপের জন্য অনুশোচনা করতে হবে, লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে। ৩. ঐ পাপ দ্বিতীয়বার না করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে, দৃঢ় সংকল্প করতে হবে এবং এর উপর অটল ও অবিচল থাকতে হবে। আর মানুষের হক বা অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলে আরো একটি শর্ত যুক্ত হবে, তা হলো সেই ব্যক্তি মানুষের কাছে মাফ চেয়ে নিতে হবে অথবা তার পাওনা-প্রাপ্তি, হক ফিরিয়ে দিতে হবে। এই শর্তগুলো পূরণ করলেই তওবা শুদ্ধ হবে। অন্যথায় তওবা বিশুদ্ধ হবে না।

তওবা করার পদ্ধতি তওবা করার সুন্দর একটি পদ্ধতি হলো, তওবা করার জন্য প্রথমে সুন্দর করে অজু করা চাই। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহ তালার কাছে মাগফিরাত ও ক্ষমা চাইতে হবে। বিগত জীবনের সকল পাপ এবং আদেশ অমান্য করার অপরাধ থেকে মার্জনা চাইতে হবে। তবে এই নফল নামাজ তওবার জন্য জরুরি নয়। তওবার সময়-সীমা হলো, মৃত্যুর নিদর্শন প্রকাশ পাওয়ার আগ পর্যন্ত। এ সম্পর্কে নবী কারিম সা. বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তার বান্দার তওবা কবুল করেন, যতক্ষণ না সে (মৃত্যু যন্ত্রণায়) গরগর করে।’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৫৩৭)

এটা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, তওবা মানে এই নয় যে, আমরা সেই শেষ সময়ের প্রতীক্ষা করবো আর মৃত্যুর সময় কাছাকাছি এলে তওবা করে নেবো। বরং প্রকৃত ব্যাপার হলো আমরা কেউ জানি না ঠিক কখন আমাদের মৃত্যুসময় এসে পড়বে। তাই অবারিত পাপের সাগরে ডুবে থাকার কোনো সুযোগ নেই। আল্লাহর বান্দা মানুষের জন্য বিশেষ ইহসান। আমরা যদি হাদিসের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই রাসূল (সা.) বলেন, ‘হে মানবজাতি! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা করো; কেননা আমি প্রতিদিনে শতবার তার নিকট তওবা করি।’ (মুসলিম, হাদিস নং ৭০৩৪)।

সুতরাং মুহাম্মাদ (সা.) এর সুন্নত অনুযায়ী আমাদের প্রতিনিয়ত ও সার্বক্ষণিক তওবার উপর আমল থাকা চাই। তওবা ব্যক্তির একান্ত অনুভূতি, মন ও অন্তরের বিষয়। আমাদের সমাজে দেখা যায় তওবা পড়ানোর রীতি প্রচলিত। কোনো একজন মানুষ খুবই মুমূর্ষূ অবস্থায় আছে, বেঁচে থাকার আশা নেই, তখন মসজিদের ইমাম বা কোনো হুজুর ডেকে এনে তওবা পড়ানো হয়। অথচ তওবা কাউকে ডেকে এনে করানো বা পড়ানোর বিষয় নয় বরং তওবা হলো ব্যক্তি মানুষের একান্ত হৃদয়-মনের ব্যাপার; ব্যক্তি নিজেই স্বয়ং আল্লাহর কাছে তওবা করবে। অপ্রিয় হলেও সত্য বলতে হয় যে, এরকম তওবার কোনো দৃষ্টান্ত কোরআন-হাদিসের কোথাও উল্লেখ নেই। কোনো সাহাবি ও তাবেয়িদের জীবনে কিংবা মুসলিম উম্মাহর প্রাথমিক যুগের কোনো আল্লাহওয়ালা প্রাজ্ঞ ব্যক্তির কিতাবপত্র বা আমলেও নেই।

তাই আসুন, উপযুক্ত তওবার শর্তগুলো পূর্ণ করার মাধ্যমে সুন্নাতসম্মত তওবা করে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করি। আর সুযোগ পেলে মন দিয়ে ও অর্থের প্রতি খেয়াল রেখে এই দোয়া পড়ি ‘আসতাগফিরুল্লাহ ওয়া আতু-বু ইলাইহি’। অর্থ: ‘আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইছি ও তার নিকট তওবা করছি।’ আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তার দরবারে অনুতপ্ত হয়ে বারে বারে ফিরে আসার তাওফিক দিন।