সবার ‘সমর্থনযোগ্য’ নতুন ইসি চান সিইসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:০৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 124
সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সমর্থনযোগ্য নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সিইসি বলেন, পরবর্তী কমিশন গঠন করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। অবশ্যই এটা হওয়া উচিত। আমি এটাকে সমর্থন করি। যেন নতুন কমিশন সবার সমর্থনযোগ্য হয়-সেরকম একটি কমিশন হওয়া উচিত।

নতুন কমিশন গঠনে বর্তমান ইসির কোন মতামত আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, নতুন কমিশন কি হবে, সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোন মতামত থাকে না। কমিশনের কাছে সাধারণত মতামত চাওয়া হয় না। যদি চাওয়া হয় তাহলে কমিশন বৈঠকে বসে বিষয়টি দেখবে।

কমিশন গঠনে আইন প্রনয়ণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইন তৈরি করে সংসদ। আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইনগুলো হয়। তাদের কাছ থেকে এ রকম কোন ইঙ্গিত আসেনি যে, আইন তৈরি করতে হবে, কি হবে না। তারা বলেন সাংবিধানিক যে ব্যবস্থা আছে সেই ব্যবস্থা অনুযায়ী করার কথা। এটা টিভি ও পত্রিকায় খবর দেখা যাচ্ছে। আইন করার বিষয়ে ইসির সঙ্গে কোন আলোচনা হয়নি।

ঐক্যমত কীভাবে হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। গত বছর রাষ্ট্রপতি সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে কথা বলেছিলেন। এটা রাষ্ট্রপতির বিষয়। ইসির কিছু করণীয় নেই। ঐক্যমতের বিষয়ে ইসির কোন ভূমিকা থাকে না।

আইন হলেই আস্থার সংকট দূর হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কি ধরনের আইন হবে-তার ওপর নির্ভর করবে। এ বিষয়ে আগে বলা যাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন মোটেই অনাস্থার জায়গা নয়। জনগণের আস্থা কমিশনের ওপর নেই- এ কথা কোনভাবেই বলা যাবে না। কারণ জনগণ বলেনি যে আস্থা নেই। রাজনৈতিক দলের লোকরা এটা বলেন। অনেক সময় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তারা করেন না। অথচ তারা বলেন যে নির্বাচনে জনগণের আস্থা নেই। জনগণের আস্থা যদি না-ই থাকতো তাহলে ভোটে উপচে ভড়া ভিড়, লম্বা লাইন, লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়। ৬০-৮০ শতাংশ ভোট পড়ে। এটা কি আস্থার জায়গা নয়? জনগণের আস্থা অবশ্যই আছে। তারা অবশ্যই ভোট দিতে যায়।

রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সিইসি বলেন, সে দেশের ডিজিটাল সিস্টেম অত্যন্ত উঁচুমানের বলে তেমন ভোট বাংলাদেশে আপাতত সম্ভবপর নয়। তিনি বলেন, রাশিয়ার নির্বাচন ব্যবস্থা ভালো। নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে এখানে প্রার্থী বা তার সমর্থকরা প্রচারণা চালান, রাশিয়ায় সেই সুযোগ নেই। নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা মূলত অনলাইনভিত্তিক বেশি হয়। ডিজিটাল সিস্টেম অত্যন্ত উঁচুমানের। আমাদের দেশে কর্মীরা যেমন ঘরে ঘরে ভোটারদের কাছে যায়, অথবা লিফলেট দেয়- এই জাতীয় কালচার সেখানে দেখিনি।

রাশিয়ায় ইভিএম ব্যবহার হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মতো রাশিয়ায় ইভিএম পদ্ধতি নেই। অন্য প্রযুক্তিতে ভোট করে। পাসপোর্ট দেখে ভোটারকে শনাক্ত করে। পরে একটা ব্যালট পেপার দেয়, সেটা বাক্সে রাখে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সেটা ভেতরে ঢুকে যায়। অ্যাপ ব্যবহার করে তারা যেকোনো জায়গায় বসে ভোট দিতে পারেন।

 

আগামী সপ্তাহের তৃতীয় ধাপের ইউপি ভোটের সিদ্ধান্ত

নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী সভায় দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ইসি সচিবালয় কাজ করছে। আগামী সপ্তাহে কমিশনের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলেও অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান।

জানুয়ারিতে জেলা পরিষদের ভোট

আগামী জানুয়ারি মাসে দেশের জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ডিসেম্বরের মধ্যে সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। জানুয়ারির দিকে জেলা পরিষদ নির্বাচন করা হবে।

কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়া গেছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদ সহ স্থানীয় পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাই জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার। ফলে এই ভোট গুলোর শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গেলে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হবে। যে কারণে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিষদের নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জানুয়ারি মাসে এর ভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের পার্বত্য তিন জেলা বাদে ৬১টি জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়।

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের উপ-নির্বাচন ২ নভেম্বর

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের উপ-নির্বাচন ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১০ অক্টেবর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১১ অক্টোবর, আপিল ১২-১৪ অক্টোবর, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৭ অক্টোবর ও প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর।

সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাসিবুর রহমান স্বপন গত ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ আসনে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনটি শাহজাদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসন থেকে হাসিবুর রহমান দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন।

১০ পৌরসভায় ভোট ২ নভেম্বর

দেশের ১০টি পৌরসভায় নির্বাচন আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- সপ্তম ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৯ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তির ১৬ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ ২ নভেম্বর।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, সপ্তম ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী সপ্তাহে কমিশনের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় পরবর্তী নির্বাচনের তফসিলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

যেসব পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে- দশটি জেলায় ১০টি পৌরসভায় এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, ফেনীর ছাগলনাইয়া, খাগড়াছড়ির রামগড়, বগুড়ার সোনাতলী, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, নীলফামারীর ডোমার, নড়াইলের লোহাগড়া, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এসব পৌরসভায় সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসার রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সবার ‘সমর্থনযোগ্য’ নতুন ইসি চান সিইসি

আপডেট : ০২:০৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সমর্থনযোগ্য নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সিইসি বলেন, পরবর্তী কমিশন গঠন করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। অবশ্যই এটা হওয়া উচিত। আমি এটাকে সমর্থন করি। যেন নতুন কমিশন সবার সমর্থনযোগ্য হয়-সেরকম একটি কমিশন হওয়া উচিত।

নতুন কমিশন গঠনে বর্তমান ইসির কোন মতামত আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, নতুন কমিশন কি হবে, সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোন মতামত থাকে না। কমিশনের কাছে সাধারণত মতামত চাওয়া হয় না। যদি চাওয়া হয় তাহলে কমিশন বৈঠকে বসে বিষয়টি দেখবে।

কমিশন গঠনে আইন প্রনয়ণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইন তৈরি করে সংসদ। আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইনগুলো হয়। তাদের কাছ থেকে এ রকম কোন ইঙ্গিত আসেনি যে, আইন তৈরি করতে হবে, কি হবে না। তারা বলেন সাংবিধানিক যে ব্যবস্থা আছে সেই ব্যবস্থা অনুযায়ী করার কথা। এটা টিভি ও পত্রিকায় খবর দেখা যাচ্ছে। আইন করার বিষয়ে ইসির সঙ্গে কোন আলোচনা হয়নি।

ঐক্যমত কীভাবে হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। গত বছর রাষ্ট্রপতি সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে কথা বলেছিলেন। এটা রাষ্ট্রপতির বিষয়। ইসির কিছু করণীয় নেই। ঐক্যমতের বিষয়ে ইসির কোন ভূমিকা থাকে না।

আইন হলেই আস্থার সংকট দূর হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কি ধরনের আইন হবে-তার ওপর নির্ভর করবে। এ বিষয়ে আগে বলা যাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন মোটেই অনাস্থার জায়গা নয়। জনগণের আস্থা কমিশনের ওপর নেই- এ কথা কোনভাবেই বলা যাবে না। কারণ জনগণ বলেনি যে আস্থা নেই। রাজনৈতিক দলের লোকরা এটা বলেন। অনেক সময় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তারা করেন না। অথচ তারা বলেন যে নির্বাচনে জনগণের আস্থা নেই। জনগণের আস্থা যদি না-ই থাকতো তাহলে ভোটে উপচে ভড়া ভিড়, লম্বা লাইন, লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়। ৬০-৮০ শতাংশ ভোট পড়ে। এটা কি আস্থার জায়গা নয়? জনগণের আস্থা অবশ্যই আছে। তারা অবশ্যই ভোট দিতে যায়।

রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সিইসি বলেন, সে দেশের ডিজিটাল সিস্টেম অত্যন্ত উঁচুমানের বলে তেমন ভোট বাংলাদেশে আপাতত সম্ভবপর নয়। তিনি বলেন, রাশিয়ার নির্বাচন ব্যবস্থা ভালো। নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে এখানে প্রার্থী বা তার সমর্থকরা প্রচারণা চালান, রাশিয়ায় সেই সুযোগ নেই। নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা মূলত অনলাইনভিত্তিক বেশি হয়। ডিজিটাল সিস্টেম অত্যন্ত উঁচুমানের। আমাদের দেশে কর্মীরা যেমন ঘরে ঘরে ভোটারদের কাছে যায়, অথবা লিফলেট দেয়- এই জাতীয় কালচার সেখানে দেখিনি।

রাশিয়ায় ইভিএম ব্যবহার হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মতো রাশিয়ায় ইভিএম পদ্ধতি নেই। অন্য প্রযুক্তিতে ভোট করে। পাসপোর্ট দেখে ভোটারকে শনাক্ত করে। পরে একটা ব্যালট পেপার দেয়, সেটা বাক্সে রাখে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সেটা ভেতরে ঢুকে যায়। অ্যাপ ব্যবহার করে তারা যেকোনো জায়গায় বসে ভোট দিতে পারেন।

 

আগামী সপ্তাহের তৃতীয় ধাপের ইউপি ভোটের সিদ্ধান্ত

নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী সভায় দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ইসি সচিবালয় কাজ করছে। আগামী সপ্তাহে কমিশনের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলেও অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান।

জানুয়ারিতে জেলা পরিষদের ভোট

আগামী জানুয়ারি মাসে দেশের জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ডিসেম্বরের মধ্যে সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। জানুয়ারির দিকে জেলা পরিষদ নির্বাচন করা হবে।

কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়া গেছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদ সহ স্থানীয় পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাই জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার। ফলে এই ভোট গুলোর শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গেলে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হবে। যে কারণে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিষদের নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জানুয়ারি মাসে এর ভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের পার্বত্য তিন জেলা বাদে ৬১টি জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়।

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের উপ-নির্বাচন ২ নভেম্বর

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের উপ-নির্বাচন ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১০ অক্টেবর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১১ অক্টোবর, আপিল ১২-১৪ অক্টোবর, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৭ অক্টোবর ও প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর।

সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাসিবুর রহমান স্বপন গত ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ আসনে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনটি শাহজাদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসন থেকে হাসিবুর রহমান দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন।

১০ পৌরসভায় ভোট ২ নভেম্বর

দেশের ১০টি পৌরসভায় নির্বাচন আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- সপ্তম ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৯ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তির ১৬ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ ২ নভেম্বর।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, সপ্তম ধাপে পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী সপ্তাহে কমিশনের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় পরবর্তী নির্বাচনের তফসিলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

যেসব পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে- দশটি জেলায় ১০টি পৌরসভায় এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, ফেনীর ছাগলনাইয়া, খাগড়াছড়ির রামগড়, বগুড়ার সোনাতলী, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, নীলফামারীর ডোমার, নড়াইলের লোহাগড়া, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এসব পৌরসভায় সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসার রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।