ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষেপলেন খাদ্যমন্ত্রী, ছাড়তে চাইলেন মন্ত্রিত্ব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:০১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 95
রাইস মিলের মালিক হিসেবে অভিহিত করায় চরমভাবে ক্ষেপেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ক্ষোভে ফুঁসে মন্ত্রীত্বই ছেড়ে দিতে চাইলেন তিনি। তিনি এও জানালেন, তার নির্বাচনী এলাকাতে একটি রাইস মিলও নেই। তিনি একজন কৃষক। তার পরিবারও কৃষক পরিবার।

বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজার পরিস্থিতি: প্রেক্ষিত খাদ্য অধিকার’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। ওয়েবিনারে মিল মালিকরা কিভাবে চালের বাজারে প্রভাব বিস্তার করছে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। তার বক্তব্য শেষ হতেই একজন বলে উঠেন, ‘মন্ত্রীর নিজেই তো রাইস মিলের মালিক।’

এমন মন্তব্য শুনেই তাৎক্ষনিক ক্ষেপে যান সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বেশ বিরক্ত ও মন খারাপ করেন। বারবার জানতে চান কে এই মন্তব্য করেছেন। এবং অনুষ্ঠান ছেড়ে যাওয়ার কথাও বলেন।

ক্ষোভে খাদ্যমন্ত্রী বলতে থাকেন, ‘এ কথা বলে গোটা মিটিংটা কলুষিত করা হয়েছে। এই কলঙ্ক নিয়ে আমি মন্ত্রিত্ব চালাতে চাই না। প্রয়োজনে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিব। আপনারা মনে করলে আমি এখনই চাকরি ছেড়ে দিব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন কৃষক। আমার পরিবারও কৃষক পরিবার। তারপরও বিভিন্ন জায়গায় চাল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রশ্ন শুনতে হয়। অথচ আমার এলাকা নিয়ামতপুরে একটি রাইস মিলও নেই আমার।’

পরে ওয়েবিনারের উপস্থাপকের সহায়তায় মন্তব্যকারী খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের কর্মী সুবল সরকারকে খুঁজে বের করা হয়। তিনি তার মন্তব্যের জন্য মন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চান। পরে মন্ত্রীও তাকে ক্ষমা করে দেন।

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার সাইদ শাহীন প্রমুখ অংশ গ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ক্ষেপলেন খাদ্যমন্ত্রী, ছাড়তে চাইলেন মন্ত্রিত্ব

আপডেট : ০২:০১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাইস মিলের মালিক হিসেবে অভিহিত করায় চরমভাবে ক্ষেপেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ক্ষোভে ফুঁসে মন্ত্রীত্বই ছেড়ে দিতে চাইলেন তিনি। তিনি এও জানালেন, তার নির্বাচনী এলাকাতে একটি রাইস মিলও নেই। তিনি একজন কৃষক। তার পরিবারও কৃষক পরিবার।

বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজার পরিস্থিতি: প্রেক্ষিত খাদ্য অধিকার’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। ওয়েবিনারে মিল মালিকরা কিভাবে চালের বাজারে প্রভাব বিস্তার করছে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। তার বক্তব্য শেষ হতেই একজন বলে উঠেন, ‘মন্ত্রীর নিজেই তো রাইস মিলের মালিক।’

এমন মন্তব্য শুনেই তাৎক্ষনিক ক্ষেপে যান সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বেশ বিরক্ত ও মন খারাপ করেন। বারবার জানতে চান কে এই মন্তব্য করেছেন। এবং অনুষ্ঠান ছেড়ে যাওয়ার কথাও বলেন।

ক্ষোভে খাদ্যমন্ত্রী বলতে থাকেন, ‘এ কথা বলে গোটা মিটিংটা কলুষিত করা হয়েছে। এই কলঙ্ক নিয়ে আমি মন্ত্রিত্ব চালাতে চাই না। প্রয়োজনে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিব। আপনারা মনে করলে আমি এখনই চাকরি ছেড়ে দিব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন কৃষক। আমার পরিবারও কৃষক পরিবার। তারপরও বিভিন্ন জায়গায় চাল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রশ্ন শুনতে হয়। অথচ আমার এলাকা নিয়ামতপুরে একটি রাইস মিলও নেই আমার।’

পরে ওয়েবিনারের উপস্থাপকের সহায়তায় মন্তব্যকারী খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের কর্মী সুবল সরকারকে খুঁজে বের করা হয়। তিনি তার মন্তব্যের জন্য মন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চান। পরে মন্ত্রীও তাকে ক্ষমা করে দেন।

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার সাইদ শাহীন প্রমুখ অংশ গ্রহণ করেন।