ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসপাতাল নির্মাণে অনিয়ম, ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
  • / 76
যাদের অনিয়মের কারণে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে তিনি এ নির্দেশ দেন।

এ প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান থেকে শুরু করে আরও কিছু বিষয়ে অনিয়ম পেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি। আজ একনেক সভায় আইএমইডির তদন্ত প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন সচিব প্রদীপ রঞ্জন।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের অনিয়মের কারণে এ প্রকল্পের কাজ এত দেরি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ প্রকল্পের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা অবসরে গেলে, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে তিনি এ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য নাসিমা বেগম।

তিনি আরও জানান, একনেক সভায় ‘কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১২ সালে। ওই সময় এর প্রস্তাবিত ব্যয় ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালে। দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব অনুসারে ২০২৩ সালে প্রকল্পের সমাপ্তি ধরা হয়েছে।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১২ সালে যখন পাস হয়, তখন এর ব্যয় ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। এখন সেই ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮২ কোটি টাকা।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেক সভায় উঠালে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন না দিয়ে ফেরত পাঠান। অনিয়মে কারা জড়িত, তা বের করতে আইএমইডিকে দায়িত্ব দেন। আট মাস তদন্ত শেষে আইএমইডি একটি প্রতিবেদন আজ দাখিল করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হাসপাতাল নির্মাণে অনিয়ম, ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট : ০১:৪৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
যাদের অনিয়মের কারণে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে তিনি এ নির্দেশ দেন।

এ প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান থেকে শুরু করে আরও কিছু বিষয়ে অনিয়ম পেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি। আজ একনেক সভায় আইএমইডির তদন্ত প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন সচিব প্রদীপ রঞ্জন।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের অনিয়মের কারণে এ প্রকল্পের কাজ এত দেরি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ প্রকল্পের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা অবসরে গেলে, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে তিনি এ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য নাসিমা বেগম।

তিনি আরও জানান, একনেক সভায় ‘কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১২ সালে। ওই সময় এর প্রস্তাবিত ব্যয় ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালে। দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব অনুসারে ২০২৩ সালে প্রকল্পের সমাপ্তি ধরা হয়েছে।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১২ সালে যখন পাস হয়, তখন এর ব্যয় ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। এখন সেই ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮২ কোটি টাকা।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেক সভায় উঠালে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন না দিয়ে ফেরত পাঠান। অনিয়মে কারা জড়িত, তা বের করতে আইএমইডিকে দায়িত্ব দেন। আট মাস তদন্ত শেষে আইএমইডি একটি প্রতিবেদন আজ দাখিল করে।