রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের চুল্লি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট : ০৯:৩৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
- / 78
রোববার বেলা ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন “আমাদের যেটা লক্ষ্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ আমরা এখন পরমানু শক্তির একটা অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আজকে আমরা একটা স্থান করে নিতে পারলাম”।
তিনি বলেন “এবং সেটা শান্তির জন্য, এটাই বাস্তবতা, এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পারমানবিক শক্তি আমরা আমাদের শান্তির জন্য ব্যবহার করছি। অর্থাৎ বিদ্যুত উৎপাদন হবে, সেই বিদ্যুৎ গ্রাম পর্যায়ে মানুষের কাছে যাবে। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হবে”।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোসাটমের প্রধান নির্বাহী এলেক্সে লিখাচেভ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়নের সচিব জিয়াউল হাসান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি, নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি, গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, রাশিয়ান বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, রূপপুর কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য এই রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেলটি রাশিয়া থেকে জলপথে ১৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে গত বছরের অক্টোবরে দেশে পৌঁছে। সেটি স্থাপনের জন্য এক বছর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অবকাঠামো প্রস্তুত করা হয়। রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেখানে মূল জ্বালানি থাকে। সেখান থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে।
রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম জানায়, পারমাণবিক চুল্লি পাত্রটির ওজন ৩৩৩ দশমিক ৬ টন। এই চুল্লি কৃষ্ণ সাগর ও সুয়েজ খাল পাড়ি দিয়ে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। সেখান থেকে নৌপথে ঈশ্বরদীর পাকশীর পদ্মা নদী হয়ে রূপপুরে আনা হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর্থিক বিবেচনায় এটি দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। সিংহ ভাগ খরচ (৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি) রাশিয়া সরকারের ঋণ সহায়তা থেকে নির্বাহ করা হচ্ছে।