ঢাকা ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৩২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
  • / 67
সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) মাধ্যমে প্রায় এক দশক আগে হাতে নেয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প হচ্ছে না। তবে এর পরিবর্তে বর্তমানের চারলেন মহাসড়কক আরও সম্প্রসারণ করা হবে, যা সরকার নিজে করবে।

রোববার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন।

সামসুল আরেফিন জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ফলে পিপিপিতে হচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে।

একশ’ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার পর প্রকল্প বাতিল হলো কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওটা একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল। সেজন্য টাকাটা গচ্ছা যায়নি। খরচ হওয়া টাকা গচ্ছা থেকে বাঁচিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, যেকোনো কাজের তো ফিজিবালিটি স্টাডি করতে হবে। এই টাকা জিওবির হয়। এটি নিয়ে আজকের সভায়ও আলোচনা হয়েছে, সেখানে বলা হয় ফিজিবালিটি স্টাডি হয়েছে। যেহেতু জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা হবে এবং পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে। সারাদেশব্যাপী এটা হচ্ছে। সরকার এটি করবে, এটাই হচ্ছে মূল সিদ্ধান্ত। এটা পিপিপিতে হওয়ার কথা ছিল। এখন পিপিপিতে হচ্ছে না, তবে সেখানে চার লেনের মহাসড়ক হবে এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’

উল্লেখ্য, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ সিসিইএ সভায় নীতিগত অনুমোদন পায়। এজন্য সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রণয়নও করা হয়েছে; যা ২০১৬ সালে অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েটি আর নির্মাণ করা হচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিল

আপডেট : ০১:৩২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) মাধ্যমে প্রায় এক দশক আগে হাতে নেয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প হচ্ছে না। তবে এর পরিবর্তে বর্তমানের চারলেন মহাসড়কক আরও সম্প্রসারণ করা হবে, যা সরকার নিজে করবে।

রোববার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সংক্রান্ত এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন।

সামসুল আরেফিন জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ফলে পিপিপিতে হচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে।

একশ’ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার পর প্রকল্প বাতিল হলো কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওটা একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল। সেজন্য টাকাটা গচ্ছা যায়নি। খরচ হওয়া টাকা গচ্ছা থেকে বাঁচিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, যেকোনো কাজের তো ফিজিবালিটি স্টাডি করতে হবে। এই টাকা জিওবির হয়। এটি নিয়ে আজকের সভায়ও আলোচনা হয়েছে, সেখানে বলা হয় ফিজিবালিটি স্টাডি হয়েছে। যেহেতু জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা হবে এবং পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে। সারাদেশব্যাপী এটা হচ্ছে। সরকার এটি করবে, এটাই হচ্ছে মূল সিদ্ধান্ত। এটা পিপিপিতে হওয়ার কথা ছিল। এখন পিপিপিতে হচ্ছে না, তবে সেখানে চার লেনের মহাসড়ক হবে এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’

উল্লেখ্য, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ সিসিইএ সভায় নীতিগত অনুমোদন পায়। এজন্য সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রণয়নও করা হয়েছে; যা ২০১৬ সালে অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েটি আর নির্মাণ করা হচ্ছে না।