ঢাকা ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাবল হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়লেন ক্যাম্ফার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • / 79
পরপর চার বলে নেদারল্যান্ডসের চার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ইতিহাস গড়লেন আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার। আইরিশ এ পেসার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে করেছেন ডাবল হ্যাটট্রিক।

সোমবার আবু ধাবিতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে কলিন আকারম্যান, রায়ান টেন ডেসকাট, স্কট এডওয়ার্ডস ও রুলফ ফন ডার মেরওয়াকে ফিরিয়ে দেন ক্যাম্ফার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে একটি হ্যাটট্রিক ছিল। ২০০৭ সালে প্রথম আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলার ব্রেট লি।

শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই নয়, নিজ দেশ আয়ারল্যান্ডের হয়েও এটি প্রথম হ্যাটট্রিক। এর আগে আয়ারল্যান্ডের কোনো ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করেননি।

এদিন আরব আমিরাতের আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস। শুরুর ধাক্কা বেশ সামাল দিয়ে উঠছিল তারা। ৯ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৫০। কিন্তু এর পরই ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়। আর এ ঝড় হয়ে আসেন ক্যাম্ফার।

প্রথমে তিনি আকারম্যানকে ফেরান। লেগ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে কিপারের হাতে ধরা পড়েন আকারম্যান। পরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন টেন ডেসকাট।

হ্যাটট্রিক বল ব্যাটে খেলতে পারেননি এডওয়ার্ডস, লাগে প্যাডে। কিন্তু এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিলে এ উইকেটটিও পেয়ে যান ক্যাম্ফার। এভাবে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।

পরের বলে চমৎকার এক ডেলিভারিতে ফন ডার মেরওয়াকে বোল্ড করে দেন ক্যাম্পার। গড়েন বিশ্বকাপে ডাবল হ্যাটট্রিকের কীর্তি। ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নেন পিটার সিলার। প্রথম ওভারে ১২ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ৪ রান দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডাবল হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়লেন ক্যাম্ফার

আপডেট : ০১:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
পরপর চার বলে নেদারল্যান্ডসের চার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ইতিহাস গড়লেন আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার। আইরিশ এ পেসার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে করেছেন ডাবল হ্যাটট্রিক।

সোমবার আবু ধাবিতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে কলিন আকারম্যান, রায়ান টেন ডেসকাট, স্কট এডওয়ার্ডস ও রুলফ ফন ডার মেরওয়াকে ফিরিয়ে দেন ক্যাম্ফার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে একটি হ্যাটট্রিক ছিল। ২০০৭ সালে প্রথম আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলার ব্রেট লি।

শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই নয়, নিজ দেশ আয়ারল্যান্ডের হয়েও এটি প্রথম হ্যাটট্রিক। এর আগে আয়ারল্যান্ডের কোনো ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করেননি।

এদিন আরব আমিরাতের আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস। শুরুর ধাক্কা বেশ সামাল দিয়ে উঠছিল তারা। ৯ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৫০। কিন্তু এর পরই ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়। আর এ ঝড় হয়ে আসেন ক্যাম্ফার।

প্রথমে তিনি আকারম্যানকে ফেরান। লেগ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে কিপারের হাতে ধরা পড়েন আকারম্যান। পরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন টেন ডেসকাট।

হ্যাটট্রিক বল ব্যাটে খেলতে পারেননি এডওয়ার্ডস, লাগে প্যাডে। কিন্তু এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিলে এ উইকেটটিও পেয়ে যান ক্যাম্ফার। এভাবে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।

পরের বলে চমৎকার এক ডেলিভারিতে ফন ডার মেরওয়াকে বোল্ড করে দেন ক্যাম্পার। গড়েন বিশ্বকাপে ডাবল হ্যাটট্রিকের কীর্তি। ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নেন পিটার সিলার। প্রথম ওভারে ১২ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ৪ রান দেন তিনি।