অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই
- আপডেট : ০১:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
- / 129
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল দিবস-২০২১ এর উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বাংলাদেশ সামনে কেমন হবে, তার জন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে দিয়েছি’ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী দিনে বাংলাদেশের চলার পথে যেন কোনো রকম হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্র না হয়। দেশের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। কোনো শিশুকে ঘাতকের বুলেটে আর যেন এভাবে জীবন দিতে না হয়।’
জাতির প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কাজেই তাদের নিরাপত্তা দেয়া, তাদের ভালোবাসা দেয়া, তাদের সুন্দরভাবে গড়ে তোলা, তাদের জীবনটাকে স্বার্থক করা এবং অর্থবহ করা- এটাই যেন সকলের আকাক্সক্ষা হয়। এটাই যেন সকলের আদর্শ হয়- সেটাই আমি চাই।’
‘এক শিশুকে হত্যা মানেই লাখো-কোটি শিশুর জীবনে একটা আশঙ্কা এসে যায়’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা দেখেছি যে, পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এ দেশে যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিল, তারাও কিন্তু শিশুদের রেহাই দেয়নি। ছোট্ট নবজাতক শিশুকেও তারা হত্যা করেছে। এমন কী মায়ের পেটের শিশুকেও হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘সেই ঘটনার আবার পুনরাবৃত্তি আমরা দেখেছি, ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর। বিএনপি-জামায়াত একই কায়দায়, ঠিক যেন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিল ওই ভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ধরনের অত্যাচার পচাত্তরের পর বার বার এসেছে। আবারও সেই একই ঘটনা ২০০১ সালের নির্বাচনের পর। এরপর অগ্নি-সন্ত্রাস থেকে শুরু করে কতভাবে মানুষকে হত্যা করেছে। বাসে আগুন দিয়েছে। শিশু পুড়ে মারা গেছে। এই ঘটনাও আমরা বাংলাদেশে দেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা তো এ রকম চাই না। আমরা চাই, বাংলাদেশ একটা শান্তিপূর্ণ দেশ হবে। প্রত্যেকটা শিশুর জীবন অর্থবহ ও সুন্দর হবে। এভাবে অকালে ঝরে যাবে, সেটা আমরা চাই না। একটি ফুল পূর্ণাঙ্গভাবে ফোটার আগে অকালে ঝরে যাক, এটা কারো আকাক্সক্ষা নয়। এটা কেউ চায় না।’
পচাত্তরের পর শুধু হত্যা না, সাথে সাথে ইতিহাসকেও মুছে ফেলা হয়েছিল জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রজন্ম জানতেই পারে না যে সেখানে কত জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, কীভাবে হত্যা করা হয়েছে বা একাত্তর সালে কীভাবে গণহত্যা হয়েছিল আমাদের দেশে।’
‘বাংলাদেশে প্রথম ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশু নিরাপত্তার জন্য আইন করে দিয়ে যান’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কী দুর্ভাগ্য আমাদের ঘাতকের হাতে তারই সন্তানদের হত্যার শিকার হতে হয়। বাংলাদেশে যেন আর এ ধরনের কোনো ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে, সেটাই আমরা চাই।’
শেখ রাসেলের প্রতি স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি জিজ্ঞেস করতো তুমি কী হবে? সে বলতো, আমি আর্মি হবো। সে একটা আর্মি অফিসার হবে। এটাই তার জীবনের স্বপ্ন ছিল।’