সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশকে তৈরি করা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট : ১১:৪৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১
- / 105
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অবস্থিত শহীদ শিরু মিয়া মিলনায়তনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সুফল পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কমিউনিটি পুলিশের অনেক দায়িত্ব। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমরা তো ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না। যেসব জনসাধারণ ঘরে আছেন, তারা যদি সচেতন থাকেন এবং রিয়েল টাইমে পুলিশকে তথ্য দেন তাহলে অনেক ঘটনা ঘটবে না। আমরাও অনেক ঘটনাই প্রতিরোধ করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পুলিশ ধীরে ধীরে জনতার পুলিশ হয়ে উঠছে। করোনার প্রথম সময়ে আমরা দেখেছি, বাবা-মা মারা যাওয়ার পর ছেলে মেয়েরা ভয়ে দাফনের জন্য তাদের মরদেহ নিচ্ছে না৷ তখন পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসেছে। দায়িত্ব নিয়ে এসব মরদেহের দাফন সম্পন্ন করেছে। করোনায় ফ্রন্ট ফাইটার হিসেবে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।’
কমিউনিটি পুলিশিং নিয়ে তিনি বলেন, ৫০-৭০ বছর আগের চিত্র দেখলে দেখা যায় অভিযোগ করার একদিন পরে হয়ত গ্রামবাংলায় পুলিশ যেত। ঢাকা জেলার অনেক স্থানেও একই অবস্থা ছিল। তাহলে তখন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ হতো কীভাবে? তখন মাতব্বর, চেয়ারম্যান পুলিশের ভূমিকাটা পালন করত। পুলিশ গিয়েও তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিত। ’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটি পুলিশের আইডিয়াটাও একই রকম। কমিউনিটি পুলিশ কমিউনিটিকে সচেতন করায় অনেক ঘটনা ঘটার আগেই তা রুখে দেয়। সেজন্যই আমরা কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছি। পৃথিবীর অনেক দেশই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সুফল পেয়েছে, আমরাও পাচ্ছি।’
সাম্প্রদায়িক উস্কানির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে ধরনের উস্কানি আসছিল, যেভাবে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। আমাদের পুলিশ ও জনগণ একত্রিত হওয়ার কারণে এ অবস্থা থেকে আমরা নিস্তার পেয়েছি।’
এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ও ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।