ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতুতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৫২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
  • / 91
বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর সড়ক পথের পিচ ঢালাইয়ের কাজ (কার্পেটিং) আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে থেকে শুরু হয়েছে।

গণমাধ্যমকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু নাসের টিপু। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই কাজের তদারকি করছেন বলে জানান উপসচিব।

গত ১৯ অক্টোবর থেকে পদ্মা সেতুর সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর তৈরির কাজ শুরু হয়। চার মিলিমিটার পুরুত্বের এই স্তরকে প্রকৌশলীরা ‘ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন’ নামে অভিহিত করছেন।

এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে সেতুর ৪০ নম্বর খুঁটির কাছে ৬০ মিটার অংশে কার্পেটিং হয়েছিল। ইংল্যান্ড ও ইতালি থেকে এই স্তর তৈরির জন্য রাসায়নিক আমদানি করা হয়েছে। সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তারপর শুরু হয়েছে কার্পেটিং।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্টে পানি নিরোধক স্তর বসানো হচ্ছে না। তাই ভায়াডাক্টের ৬০ মিটার অংশে পিচ ঢালাই করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশ। প্রায় ৮৯ শতাংশ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে। আর নদী শাসন কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮৬ শতাংশ। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সংযোগ সড়কের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

আগামী বছরের জুন মাসের আগেই পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ উপযোগী হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। একই সঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ অন্যান্য কাজ। সেতুর মূল আকৃতি দোতলা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পদ্মা সেতুতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু

আপডেট : ১২:৫২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর সড়ক পথের পিচ ঢালাইয়ের কাজ (কার্পেটিং) আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে থেকে শুরু হয়েছে।

গণমাধ্যমকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু নাসের টিপু। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই কাজের তদারকি করছেন বলে জানান উপসচিব।

গত ১৯ অক্টোবর থেকে পদ্মা সেতুর সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর তৈরির কাজ শুরু হয়। চার মিলিমিটার পুরুত্বের এই স্তরকে প্রকৌশলীরা ‘ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন’ নামে অভিহিত করছেন।

এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে সেতুর ৪০ নম্বর খুঁটির কাছে ৬০ মিটার অংশে কার্পেটিং হয়েছিল। ইংল্যান্ড ও ইতালি থেকে এই স্তর তৈরির জন্য রাসায়নিক আমদানি করা হয়েছে। সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তারপর শুরু হয়েছে কার্পেটিং।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্টে পানি নিরোধক স্তর বসানো হচ্ছে না। তাই ভায়াডাক্টের ৬০ মিটার অংশে পিচ ঢালাই করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশ। প্রায় ৮৯ শতাংশ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে। আর নদী শাসন কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮৬ শতাংশ। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সংযোগ সড়কের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

আগামী বছরের জুন মাসের আগেই পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ উপযোগী হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। একই সঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ অন্যান্য কাজ। সেতুর মূল আকৃতি দোতলা।