ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৪২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
  • / 121

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা নেওয়া যাবে না’ এমন পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়ায় বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আগামীকাল রবিবার প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হবে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

৭২ ঘণ্টার বেশি হলে মামলা না নেওয়ার সুপারিশের বিষয়ে আইনমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি উনার রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে উনি যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। এই কারণে আগামীকাল প্রধান বিচারপতির কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে। ’

আলোচিত রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলায় খালাস পেয়েছেন অভিযুক্তরা। সেই মামলার রায়ে নানা পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহার।

রায়ে বিচারক বলেছেন, ‘৭২ ঘণ্টার পর ভিকটিমের মেডিক্যাল টেস্ট করা হলেই ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না। ৭২ ঘণ্টার বেশি হলে মামলা না নেওয়ার সুপারিশ করছি। কেননা তাতে মামলা প্রমাণ করা দুরূহ হয়ে পড়ে। মামলার দুই ভুক্তভোগী আগে থেকেই সেক্সুয়াল (যৌন) কর্মে অভ্যস্ত। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন।

এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।’ রায়ে এই পর্যবেক্ষণের পর নানা সমালোচনা করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী

আপডেট : ১২:৪২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা নেওয়া যাবে না’ এমন পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়ায় বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আগামীকাল রবিবার প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হবে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

৭২ ঘণ্টার বেশি হলে মামলা না নেওয়ার সুপারিশের বিষয়ে আইনমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি উনার রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে উনি যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। এই কারণে আগামীকাল প্রধান বিচারপতির কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে। ’

আলোচিত রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলায় খালাস পেয়েছেন অভিযুক্তরা। সেই মামলার রায়ে নানা পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহার।

রায়ে বিচারক বলেছেন, ‘৭২ ঘণ্টার পর ভিকটিমের মেডিক্যাল টেস্ট করা হলেই ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না। ৭২ ঘণ্টার বেশি হলে মামলা না নেওয়ার সুপারিশ করছি। কেননা তাতে মামলা প্রমাণ করা দুরূহ হয়ে পড়ে। মামলার দুই ভুক্তভোগী আগে থেকেই সেক্সুয়াল (যৌন) কর্মে অভ্যস্ত। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন।

এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।’ রায়ে এই পর্যবেক্ষণের পর নানা সমালোচনা করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।