সারাদেশে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ এটা বলা যাবে না : সিইসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:০৩:১০ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
  • / 174
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যে সহিংসতা হয়েছে সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন কমিশন ভবনে কমিশনের বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, মাত্র কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা হয়েছে, তার মানে সারাদেশে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ এটা বলা যাবে না। সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

সিইসি বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব প্রাণহানির ঘটনার সবগুলো নির্বাচনী সংঘর্ষের কারণে হয়েছে কি না তা অনুসন্ধানের দাবি রাখে। এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি ঘটনা ভোটকেন্দ্রে বা ভোটের দিন ঘটেছে। কোনো ঘটনা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই ঘটেছে আবার কোনোটা রাতের আধারে ঘটেছে- এসব হত্যার মোটিভ কী তা তত্ত্বের বিষয়।

তিনি বলেন, আমাদের জায়গা থেকে শতভাগ পাওয়ার (ক্ষমতা) প্রয়োগ করতে পারছি। কিন্তু যারা মারামারি করছে সেটা আসলে তাদের ব্যাপার। তবে আমরা পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছি কেউ যদি নির্বাচনের সময় কোন সহিংসতা করে তাহলে অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১ম ধাপে ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর ৩৬৯টি এবং ১১ নভেম্বর ২য় ধাপের ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩য় ধাপে ২৮ নভেম্বর ২০০৭টি এবং ৪র্থ ধাপে ২৩ ডিসেম্বর ৮৪০টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া শিগগিরই ৫ম ধাপে আরো প্রায় ১০০০ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ বছরের মধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে।

২য় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮৪৭২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন পদে প্রার্থী ছিল ৪১ হাজার ২১৮ জন। মোট ১৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং ব্যাপক সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে ৩ হাজার ৩১০ প্রার্থী, সাধারণ সদস্য পদের বিপরীতে ২৮ হাজার ৭৪৭ এবং সংরক্ষিত আসন সদস্য পদের বিপরীতে ১ হাজার ১৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দেখা গেছে, প্রতি চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে গড়ে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোট প্রদানের গড় হার ৭৪.২২%।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন, ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক এম এম আসাদুজ্জামান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সারাদেশে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ এটা বলা যাবে না : সিইসি

আপডেট : ০১:০৩:১০ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যে সহিংসতা হয়েছে সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন কমিশন ভবনে কমিশনের বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, মাত্র কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা হয়েছে, তার মানে সারাদেশে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ এটা বলা যাবে না। সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

সিইসি বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব প্রাণহানির ঘটনার সবগুলো নির্বাচনী সংঘর্ষের কারণে হয়েছে কি না তা অনুসন্ধানের দাবি রাখে। এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি ঘটনা ভোটকেন্দ্রে বা ভোটের দিন ঘটেছে। কোনো ঘটনা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই ঘটেছে আবার কোনোটা রাতের আধারে ঘটেছে- এসব হত্যার মোটিভ কী তা তত্ত্বের বিষয়।

তিনি বলেন, আমাদের জায়গা থেকে শতভাগ পাওয়ার (ক্ষমতা) প্রয়োগ করতে পারছি। কিন্তু যারা মারামারি করছে সেটা আসলে তাদের ব্যাপার। তবে আমরা পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছি কেউ যদি নির্বাচনের সময় কোন সহিংসতা করে তাহলে অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১ম ধাপে ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর ৩৬৯টি এবং ১১ নভেম্বর ২য় ধাপের ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩য় ধাপে ২৮ নভেম্বর ২০০৭টি এবং ৪র্থ ধাপে ২৩ ডিসেম্বর ৮৪০টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া শিগগিরই ৫ম ধাপে আরো প্রায় ১০০০ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ বছরের মধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে।

২য় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮৪৭২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন পদে প্রার্থী ছিল ৪১ হাজার ২১৮ জন। মোট ১৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং ব্যাপক সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে ৩ হাজার ৩১০ প্রার্থী, সাধারণ সদস্য পদের বিপরীতে ২৮ হাজার ৭৪৭ এবং সংরক্ষিত আসন সদস্য পদের বিপরীতে ১ হাজার ১৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দেখা গেছে, প্রতি চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে গড়ে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোট প্রদানের গড় হার ৭৪.২২%।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন, ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক এম এম আসাদুজ্জামান।