ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমরা আর কত ভর্তুকি দেব: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৩৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
  • / 87
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আর কত ভর্তুকি দেব? আমাদের কতটুকুই বা সম্পদ আছে? বাস্তবতাটা সবাইকে বুঝতে হবে। তবে মানুষের কষ্ট যেন না হয় সে বিষয়ে আমরা সব সময়ই আন্তরিক।

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে সদ্যসমাপ্ত সফর নিয়ে বুধবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।বুধবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক বাংলাদেশ জার্নাল সম্পাদক শাহজাহান সরদার প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন- আপনি যখন দেশের বাইরে ছিলেন, তখন হঠাৎই ডিজেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো। এ ঘোষণার পরপরই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেল পরিবহন ধর্মঘট। যাতে দুর্ভোগে পড়ে যায় দেশের মানুষ। এরপর বাস-লঞ্চসহ গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। আমরা জেনেছি বিদ্যুতের দামও বাড়বে। এতে কৃষকরাও ভোগান্তিতে পড়বেন। তো এ ব্যাপারে আপনি রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কিনা?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেখুন আমাদের সামর্থের দিকটাও আপনাদের দেখতে হবে। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়লে আমাদের কিছু করার থাকে না। কারণ তখন তো আমাদেরও উচ্চ দামে তা কিনতে হয়। আপনারা কি জানেন, শুধু ডিজেলেই আমাদেরকে ২৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। সব মিলিয়ে ৫৩ হাজার কোটি টাকা আমরা ভর্তুকি দিয়ে থাকি। বিদ্যুতেও ভর্তুকি দিচ্ছি। উৎপাদন খরচও তুলতে পারছি না। সারের দামেও অনেক ভর্তুকি দিতে হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষকদেরও ভর্তুকি দিচ্ছি। এখন ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের হাতে পৌঁছে যায়। ১০ টাকায় কৃষকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সরাসরি টাকা তাদের হাতে চলে যাচ্ছে। আমরা কিন্তু সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছি।

করোনা সঙ্কটকালের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে আমরা সব শ্রেণির মানুষকে সহায়তা করেছি। একবার নয়। বারবার সহায়তা দিয়েছি। জিনিসপত্রের দাম যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। আপনারা জানেন, করোনায় বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। প্রতিটি ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে চালু থাকে, শ্রমিকরা বেতনটা যেন পায় সেজন্য প্রণোদনা দিয়েছি। অথচ আমাদের কী এমন সম্পদ আছে? প্রতিটা দেশে হাহাকার চলছে। ইউরোপের সুপারশপগুলো খালি। আমাদের সবাইতো টাকা উপার্জন করে। কিন্তু কতজন সত্যিকারভাবে ট্যাক্সটা দেয়?

সরকারপ্রধান বলেন, ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার দিকেই সবার লক্ষ্য। তাহলে সরকারের টাকাটা আসবে কোত্থেকে! তাহলে কি দেউলিয়া হয়ে যেতে হবে? এ দেশ আমার। আমার বাবা এদেশ স্বাধীন করেছেন। এদেশের মাটি-মানুষ সম্পর্কে আমার জানা আছে। মানুষের কষ্ট যেন না হয় সে ব্যাপারে আমি সব সময়ই ভাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আমরা আর কত ভর্তুকি দেব: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ১১:৩৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আর কত ভর্তুকি দেব? আমাদের কতটুকুই বা সম্পদ আছে? বাস্তবতাটা সবাইকে বুঝতে হবে। তবে মানুষের কষ্ট যেন না হয় সে বিষয়ে আমরা সব সময়ই আন্তরিক।

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে সদ্যসমাপ্ত সফর নিয়ে বুধবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।বুধবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক বাংলাদেশ জার্নাল সম্পাদক শাহজাহান সরদার প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন- আপনি যখন দেশের বাইরে ছিলেন, তখন হঠাৎই ডিজেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো। এ ঘোষণার পরপরই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেল পরিবহন ধর্মঘট। যাতে দুর্ভোগে পড়ে যায় দেশের মানুষ। এরপর বাস-লঞ্চসহ গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। আমরা জেনেছি বিদ্যুতের দামও বাড়বে। এতে কৃষকরাও ভোগান্তিতে পড়বেন। তো এ ব্যাপারে আপনি রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কিনা?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেখুন আমাদের সামর্থের দিকটাও আপনাদের দেখতে হবে। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়লে আমাদের কিছু করার থাকে না। কারণ তখন তো আমাদেরও উচ্চ দামে তা কিনতে হয়। আপনারা কি জানেন, শুধু ডিজেলেই আমাদেরকে ২৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। সব মিলিয়ে ৫৩ হাজার কোটি টাকা আমরা ভর্তুকি দিয়ে থাকি। বিদ্যুতেও ভর্তুকি দিচ্ছি। উৎপাদন খরচও তুলতে পারছি না। সারের দামেও অনেক ভর্তুকি দিতে হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষকদেরও ভর্তুকি দিচ্ছি। এখন ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের হাতে পৌঁছে যায়। ১০ টাকায় কৃষকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সরাসরি টাকা তাদের হাতে চলে যাচ্ছে। আমরা কিন্তু সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছি।

করোনা সঙ্কটকালের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে আমরা সব শ্রেণির মানুষকে সহায়তা করেছি। একবার নয়। বারবার সহায়তা দিয়েছি। জিনিসপত্রের দাম যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। আপনারা জানেন, করোনায় বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। প্রতিটি ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে চালু থাকে, শ্রমিকরা বেতনটা যেন পায় সেজন্য প্রণোদনা দিয়েছি। অথচ আমাদের কী এমন সম্পদ আছে? প্রতিটা দেশে হাহাকার চলছে। ইউরোপের সুপারশপগুলো খালি। আমাদের সবাইতো টাকা উপার্জন করে। কিন্তু কতজন সত্যিকারভাবে ট্যাক্সটা দেয়?

সরকারপ্রধান বলেন, ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার দিকেই সবার লক্ষ্য। তাহলে সরকারের টাকাটা আসবে কোত্থেকে! তাহলে কি দেউলিয়া হয়ে যেতে হবে? এ দেশ আমার। আমার বাবা এদেশ স্বাধীন করেছেন। এদেশের মাটি-মানুষ সম্পর্কে আমার জানা আছে। মানুষের কষ্ট যেন না হয় সে ব্যাপারে আমি সব সময়ই ভাবি।