ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেই দলকে কি আশায় মানুষ ভোট দেবে :শেখ হাসিনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:০৩:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • / 129

বিরোধীদলে থাকাকালে নিজের ওপর একাধিকবার হামলা, দফায় দফায় হত্যা চেষ্টার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সবাই ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকারীদের মদদ দিয়েছে। তাদের পুনর্বাসন করেছে। বিএনপিকে কোন আশায় মানুষ এখন ভোট দেবে?

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনাপর্বে বক্তব্যকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার টার্গেট সবসময় আমি। খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিল- আমি প্রধানমন্ত্রী কেন, বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারব না। শতবছরেও ক্ষমতা আসতে পারব না। এ সব ঘোষণার পরই হামলা।’

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন তারেক রহমানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, পলাতক আসামি যে দল চালায়, সেই দলকে কি আশায় মানুষ ভোট দেবে।’

‘এরা দেশের গরিবের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিদেশে বসে আরাম আয়েশে আছে। গরিবের ধনসম্পদ চুরি করে অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত উন্নয়নেরও পর কিছু মানুষ বিদেশে ও দেশে বসে অপপ্রচার করছে। এদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে এসে গেছে। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করছি। উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সকল শ্রেণি পেশার মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ মিটিং করছেন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা যাবে না। কিন্তু আমরা তো জনগণের শক্তি আওয়ামী লীগের শক্তি। আমরা জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। আমরা যতই ভালো কাজ করি না কেন বিদেশে বসে কিছু লোক দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। জবাব দিতে হবে।’

‘যে কেউ রাজনৈতিক দল করতে পারবে এতে বাধা দেওয়া হবে না। আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমাদের কিছু মানুষ আছে যারা হাজার অপরাধ করলেও অপরাধী হিসেবে দেখে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও দুর্নীতির জন্য সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ নেয়। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা যারা বিদেশে পাচার করেছে , এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে, সাজাপ্রাপ্তদের জন্য তারা মায়াকান্না করছে।’

আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা এবং মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে হনুমানের পায়ের ওপর কোরআন শরিফ রেখে হনুমানের গদাটা নিয়ে হেঁটে চলে গেল। একজন মুসলমান হয়ে এই কোরআন শরীফের অবমাননা কীভাবে করে?’

তিনি বলেন, ‘যে কোরআন শরীফটা নিয়ে মন্দিরে রেখেছে, হনুমানের পায়ের ওপর রেখেছে সে কি কম দোষী। সেই তো কোরআন শরীফের অবমাননা করেছে? সেটাই তো বড় কথা। আর সেটা নিয়ে একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। যাক সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি এবং এ ব্যাপারে আমাদের নেতাকর্মীরা যথেষ্ট সক্রিয় ছিল।’

‘এর পেছনে কারা? সেটাও কিন্তু তদন্ত করে বের হয়েছে, যেহেতু মামলা চলছে সেজন্য হয়তো সব বলবো না আমরা কিন্তু সেই তথ্য জানি।’-যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যত আমরা ভালো কাজ করি, সেখানে একটা বির্তক সৃষ্টি করার চেষ্টা সবসময় এদের আছে। এটা বিএনপি জামায়াতই সব থেকে বেশি সক্রিয়। এখন আবার নতুন কিছু (দল) গজাচ্ছে।’

বিএনপি আমলে নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সময়ে বিএনপির হাতে যারা নির্যাতিত তাদের নিজেদের অন্য বক্তৃতা করার দরকার নাই। কী অত্যাচার করেছে সেটা মানুষকে জানানো উচিত। যাতে আমাদের যারা এই যে বুদ্ধি বিকিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের বুদ্ধির গোড়ায় অন্তত কিছুটা হলেও যেন জ্ঞান ঢোকে এবং বাস্তব অবস্থাটা যেন তারা জানতে পারে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সেই দলকে কি আশায় মানুষ ভোট দেবে :শেখ হাসিনা

আপডেট : ১২:০৩:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

বিরোধীদলে থাকাকালে নিজের ওপর একাধিকবার হামলা, দফায় দফায় হত্যা চেষ্টার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সবাই ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকারীদের মদদ দিয়েছে। তাদের পুনর্বাসন করেছে। বিএনপিকে কোন আশায় মানুষ এখন ভোট দেবে?

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনাপর্বে বক্তব্যকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার টার্গেট সবসময় আমি। খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিল- আমি প্রধানমন্ত্রী কেন, বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারব না। শতবছরেও ক্ষমতা আসতে পারব না। এ সব ঘোষণার পরই হামলা।’

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন তারেক রহমানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, পলাতক আসামি যে দল চালায়, সেই দলকে কি আশায় মানুষ ভোট দেবে।’

‘এরা দেশের গরিবের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিদেশে বসে আরাম আয়েশে আছে। গরিবের ধনসম্পদ চুরি করে অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত উন্নয়নেরও পর কিছু মানুষ বিদেশে ও দেশে বসে অপপ্রচার করছে। এদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে এসে গেছে। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করছি। উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সকল শ্রেণি পেশার মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ মিটিং করছেন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা যাবে না। কিন্তু আমরা তো জনগণের শক্তি আওয়ামী লীগের শক্তি। আমরা জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। আমরা যতই ভালো কাজ করি না কেন বিদেশে বসে কিছু লোক দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। জবাব দিতে হবে।’

‘যে কেউ রাজনৈতিক দল করতে পারবে এতে বাধা দেওয়া হবে না। আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমাদের কিছু মানুষ আছে যারা হাজার অপরাধ করলেও অপরাধী হিসেবে দেখে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও দুর্নীতির জন্য সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ নেয়। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা যারা বিদেশে পাচার করেছে , এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে, সাজাপ্রাপ্তদের জন্য তারা মায়াকান্না করছে।’

আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা এবং মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে হনুমানের পায়ের ওপর কোরআন শরিফ রেখে হনুমানের গদাটা নিয়ে হেঁটে চলে গেল। একজন মুসলমান হয়ে এই কোরআন শরীফের অবমাননা কীভাবে করে?’

তিনি বলেন, ‘যে কোরআন শরীফটা নিয়ে মন্দিরে রেখেছে, হনুমানের পায়ের ওপর রেখেছে সে কি কম দোষী। সেই তো কোরআন শরীফের অবমাননা করেছে? সেটাই তো বড় কথা। আর সেটা নিয়ে একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। যাক সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি এবং এ ব্যাপারে আমাদের নেতাকর্মীরা যথেষ্ট সক্রিয় ছিল।’

‘এর পেছনে কারা? সেটাও কিন্তু তদন্ত করে বের হয়েছে, যেহেতু মামলা চলছে সেজন্য হয়তো সব বলবো না আমরা কিন্তু সেই তথ্য জানি।’-যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যত আমরা ভালো কাজ করি, সেখানে একটা বির্তক সৃষ্টি করার চেষ্টা সবসময় এদের আছে। এটা বিএনপি জামায়াতই সব থেকে বেশি সক্রিয়। এখন আবার নতুন কিছু (দল) গজাচ্ছে।’

বিএনপি আমলে নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সময়ে বিএনপির হাতে যারা নির্যাতিত তাদের নিজেদের অন্য বক্তৃতা করার দরকার নাই। কী অত্যাচার করেছে সেটা মানুষকে জানানো উচিত। যাতে আমাদের যারা এই যে বুদ্ধি বিকিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের বুদ্ধির গোড়ায় অন্তত কিছুটা হলেও যেন জ্ঞান ঢোকে এবং বাস্তব অবস্থাটা যেন তারা জানতে পারে।’