শুরু হয় দুর্বার মুক্তিযুদ্ধ : মোস্তাফা জব্বার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:১২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১
  • / 145

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী ২১ নভেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ফোর্সেস’-এর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী-এর সদস্যগণের সহযোগে গঠিত হয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী অস্তিত্ব লাভ করে। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকেট, দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ (পাঁচ) টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড ও একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার রোববার (২১ নভেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটাকার্ড প্রকাশ করেন। মন্ত্রী এই সময় বিশেষ সীলমোহর ব্যবহার করেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ২১ নভেম্বর-কে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে একটি মহান দিন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলেন বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে। এই মহান দিনটির সুবর্ণ জয়ন্তী ৫০ বছর আগে যুদ্ধের ময়দানে বীরত্ব ও ত্যাগের মহিমা স্মারক ডাকটিকেটের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে পারা আমাদের জন্য খুবই গৌরবের।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাঙালি জাতিকে স্বাধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ ও প্রস্তুত করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি সেনা, ছাত্র, ও সাধারণ জনতা মিলে গড়ে তোলেন সামরিক বাহিনী। শুরু হয় দুর্বার মুক্তিযুদ্ধ।

মন্ত্রী বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের মাঠেই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম হয়। জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনী মনে-প্রাণে একাত্ম হয়ে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তার মধ্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে সেনাবাহিনীর আত্মার ও রক্তের সম্পর্ক তৈরি হয়।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জাতির সাহস, আস্থা, আত্মবিশ্বাস এবং গর্বের প্রতীক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ অতি গুরুত্ববহ ও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছেন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও তিনি তাঁর আজীবনের স্বপ্ন একটা আধুনিক ও গর্ব করার মতো সশস্ত্র বাহিনী গঠনের কাজ শুরু করেন।

সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠন করে ব্রিগেড পর্যায়ে উন্নীত করেন। সীমাহীন বৈদেশিক মুদ্রার সংকট সত্ত্বেও তিন বাহিনীর জন্য আধুনিক অস্ত্র সরঞ্জামাদি আনেন এবং সেনাবাহিনীর মর্যাদার প্রতীক বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। পঁচাত্তরের পর দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দীর্ঘ ২১ বছরের অপশাসনে সৃষ্ট পশ্চাদপদতা থেকে আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সংগ্রাম চলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে।

গত ১৩ বছরে সশস্ত্র বাহিনী একটি আধুনিকতার মহাসড়কে ওঠে এসেছে। মন্ত্রী বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করে যাঁরা নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সেই সকল বীর শহীদদের প্রতি গভীর সম্মান এবং প্রগাঢ় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, সশস্ত্র বিভাগের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল আহমেদ, এনডিসি, এএফ ডব্রিউসি, পিএসসি, বিটিআরসি‘র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিরাজ উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধিন বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ডাকটিকেট প্রকাশের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

 

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এই ধরণের একটি উদ্েযাগ গ্রহণ করার জন্য মন্ত্রীকে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শুরু হয় দুর্বার মুক্তিযুদ্ধ : মোস্তাফা জব্বার

আপডেট : ১২:১২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী ২১ নভেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ফোর্সেস’-এর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী-এর সদস্যগণের সহযোগে গঠিত হয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী অস্তিত্ব লাভ করে। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকেট, দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ (পাঁচ) টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড ও একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার রোববার (২১ নভেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটাকার্ড প্রকাশ করেন। মন্ত্রী এই সময় বিশেষ সীলমোহর ব্যবহার করেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ২১ নভেম্বর-কে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে একটি মহান দিন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলেন বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে। এই মহান দিনটির সুবর্ণ জয়ন্তী ৫০ বছর আগে যুদ্ধের ময়দানে বীরত্ব ও ত্যাগের মহিমা স্মারক ডাকটিকেটের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে পারা আমাদের জন্য খুবই গৌরবের।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাঙালি জাতিকে স্বাধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ ও প্রস্তুত করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি সেনা, ছাত্র, ও সাধারণ জনতা মিলে গড়ে তোলেন সামরিক বাহিনী। শুরু হয় দুর্বার মুক্তিযুদ্ধ।

মন্ত্রী বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের মাঠেই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম হয়। জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনী মনে-প্রাণে একাত্ম হয়ে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তার মধ্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে সেনাবাহিনীর আত্মার ও রক্তের সম্পর্ক তৈরি হয়।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জাতির সাহস, আস্থা, আত্মবিশ্বাস এবং গর্বের প্রতীক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ অতি গুরুত্ববহ ও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছেন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও তিনি তাঁর আজীবনের স্বপ্ন একটা আধুনিক ও গর্ব করার মতো সশস্ত্র বাহিনী গঠনের কাজ শুরু করেন।

সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠন করে ব্রিগেড পর্যায়ে উন্নীত করেন। সীমাহীন বৈদেশিক মুদ্রার সংকট সত্ত্বেও তিন বাহিনীর জন্য আধুনিক অস্ত্র সরঞ্জামাদি আনেন এবং সেনাবাহিনীর মর্যাদার প্রতীক বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। পঁচাত্তরের পর দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দীর্ঘ ২১ বছরের অপশাসনে সৃষ্ট পশ্চাদপদতা থেকে আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সংগ্রাম চলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে।

গত ১৩ বছরে সশস্ত্র বাহিনী একটি আধুনিকতার মহাসড়কে ওঠে এসেছে। মন্ত্রী বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করে যাঁরা নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সেই সকল বীর শহীদদের প্রতি গভীর সম্মান এবং প্রগাঢ় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, সশস্ত্র বিভাগের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল আহমেদ, এনডিসি, এএফ ডব্রিউসি, পিএসসি, বিটিআরসি‘র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিরাজ উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধিন বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ডাকটিকেট প্রকাশের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

 

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এই ধরণের একটি উদ্েযাগ গ্রহণ করার জন্য মন্ত্রীকে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।