‘বাঙালির চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’
- আপডেট : ০১:০৮:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১
- / 172
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, দেশ প্রেমিক বাঙালির চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তির সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত মূল্যবোধ আমাদের উন্নয়নের মূল মন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলা। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
রোববার (২১ নভেম্বর) রাজধানীতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকা-তে ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। উল্লেখ্য, আলোচনা সভা শেষে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫০ বছর পূর্তির লোগো উন্মোচন করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত রাস্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, গৃহহীন মানুষকে গৃহ প্রদান কর্মসূচী, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, খাদ্যের স্বনির্ভরতা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, তথ্য প্রযুক্তির প্রসার, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক নেতৃত্বে দেশ উন্নীত হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশে, উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সারা বিশ্বে বর্তমানে বাংলাদেশ এক উন্নয়ন বিস্ময়ের নাম।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকাকে বুকে ধারণ করে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এই দেশের মানুষকে পৌঁছে দেয়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দেশের এভিয়েশন শিল্পের বিকাশে বিমান পথপ্রদর্শক। প্রতিষ্ঠার পর হতে বিগত ৪৯ বছরে বিমান নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে পথ পরিক্রম করেছে। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ ও নির্দেশনায় বিমানকে নতুনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে, বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে ১৫টি সর্বাধুনিক সম্পূর্ণ নতুন উড়োজাহাজ। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট বৃদ্ধির মাধ্যমে বিমানের অপারেশনের পরিধি ও ব্যাপ্তি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেবার মান বৃদ্ধি করে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে বিমানকে যাত্রীদের আস্থা ও ভালবাসার ব্র্যান্ডে পরিণত করার কাজ চলছে।
মাহবুব আলী বলেন, সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ এর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প। বিশ্বের সকল এয়ারলাইন্স একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করেছে। বিমানও এর বাইরে নয়। সেই সময় দেশে দেশে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তাদের কর্মী ছাঁটাই করেছে কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নির্দেশনার কারণে বিমানের একজন কর্মীকেও চাকরি হারাতে হয়নি। তখন অপারেশনাল ব্যয় হ্রাস এবং বিমানের সকল সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে বিমানের আয় বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ কমে আসায় আকাশ পথে চলাচল আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এই সুযোগ সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে। এখন সময় এসেছে কাজের মাধ্যমে বিমানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার ও প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধের।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মনে রাখতে হবে যাত্রীসেবার মান ও নিরাপদ ভ্রমণের সাথে বিমানের ভাবমূর্তি যেমন জরুরি তেমনি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর সাথে দেশের ভাবমূর্তির জড়িত। যারা বিমানের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করবে তাদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। তাদের কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে। বিমানের সকলকে সম্মিলিতভাবে যাত্রীসেবার মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে বিমান ‘আকাশে শান্তির নীড়’ কথাটির সত্যতা প্রমাণ হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।