ঢাকা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের পাঠদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 62
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্বজ্ঞানের সঙ্গে ব্যক্তিক ও সামষ্টিক চেতনার সমন্বয় ঘটানোই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হওয়া উচিত। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে প্রতিযোগিতারও আন্তর্জাতিকীকরণ হয়েছে। তাই একজন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কারিক্যুলাম নির্ধারণ ও পাঠদানের ক্ষেত্রে বিশ্বমানের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান শতাব্দীতে উন্নয়নশীল বিশ্বে উচ্চশিক্ষার গতি-প্রকৃতি নিয়ে আমাদেরকে নানাভাবে ভাবতে হচ্ছে। বিশ্বায়ন ও তথ্য-প্রযুক্তির অভাবনীয় বিস্ফোরণে সৃষ্ট ডিজিটাল বিভক্তি, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে উন্নয়নশীল বিশ্বের যে ব্যবধান সৃষ্টি করেছে, তার মোকাবেলা এবং পুঁজি ও শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞাননির্ভর-অর্থনীতিতে উত্তরণ এখন শিক্ষার প্রধান বিবেচ্য।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি জাতির শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য, গবেষণা-উদ্ভাবন, মুক্তবুদ্ধি চর্চা, প্রগতিশীল ভাবনা, জাতি-গঠন ও দেশাত্মবোধের চেতনার এক তেজোদীপ্ত আলোকবর্তিকা; বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার এক অনন্য বাতিঘর। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গে একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের এ মাহেন্দ্রক্ষণ শতবর্ষ পালনের অনুষ্ঠানকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।

তিনি আরও বলেন, ১২টি বিভাগ ও ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক পথচলা শুরু হয়েছিল, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ৮৪টি বিভাগ ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। দুইজন নারী শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে ছাত্রীর সংখ্যা ৪০ শতাংশের বেশী। দেশে নারীর ক্ষমতায়নের এটি একটি বিশাল সাফল্য।

রাষ্ট্রপতি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এগিয়ে চলছে। কয়েক বছর পরই পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের ঢেউ বইতে শুরু করবে। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ লক্ষ্যে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে তথ্যপ্রযুক্তিসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখায় বিশ্বব্যাপী সফলতার সাথে এগিয়ে যেতে পারে সেভাবে তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ডিপার্টমেন্ট ও ইনস্টিটিউটের সম্প্রসারণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, কিন্তু এক্ষেত্রে শিক্ষা ও গবেষণার মানই মূল সূচক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের চাহিদা ও যোগ্যতা বিবেচনা করে শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি আশা করব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ যাত্রাপথে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের পাঠদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

আপডেট : ১২:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্বজ্ঞানের সঙ্গে ব্যক্তিক ও সামষ্টিক চেতনার সমন্বয় ঘটানোই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হওয়া উচিত। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে প্রতিযোগিতারও আন্তর্জাতিকীকরণ হয়েছে। তাই একজন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কারিক্যুলাম নির্ধারণ ও পাঠদানের ক্ষেত্রে বিশ্বমানের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান শতাব্দীতে উন্নয়নশীল বিশ্বে উচ্চশিক্ষার গতি-প্রকৃতি নিয়ে আমাদেরকে নানাভাবে ভাবতে হচ্ছে। বিশ্বায়ন ও তথ্য-প্রযুক্তির অভাবনীয় বিস্ফোরণে সৃষ্ট ডিজিটাল বিভক্তি, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে উন্নয়নশীল বিশ্বের যে ব্যবধান সৃষ্টি করেছে, তার মোকাবেলা এবং পুঁজি ও শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞাননির্ভর-অর্থনীতিতে উত্তরণ এখন শিক্ষার প্রধান বিবেচ্য।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি জাতির শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য, গবেষণা-উদ্ভাবন, মুক্তবুদ্ধি চর্চা, প্রগতিশীল ভাবনা, জাতি-গঠন ও দেশাত্মবোধের চেতনার এক তেজোদীপ্ত আলোকবর্তিকা; বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার এক অনন্য বাতিঘর। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গে একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের এ মাহেন্দ্রক্ষণ শতবর্ষ পালনের অনুষ্ঠানকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।

তিনি আরও বলেন, ১২টি বিভাগ ও ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক পথচলা শুরু হয়েছিল, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ৮৪টি বিভাগ ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। দুইজন নারী শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে ছাত্রীর সংখ্যা ৪০ শতাংশের বেশী। দেশে নারীর ক্ষমতায়নের এটি একটি বিশাল সাফল্য।

রাষ্ট্রপতি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এগিয়ে চলছে। কয়েক বছর পরই পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের ঢেউ বইতে শুরু করবে। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ লক্ষ্যে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে তথ্যপ্রযুক্তিসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখায় বিশ্বব্যাপী সফলতার সাথে এগিয়ে যেতে পারে সেভাবে তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ডিপার্টমেন্ট ও ইনস্টিটিউটের সম্প্রসারণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, কিন্তু এক্ষেত্রে শিক্ষা ও গবেষণার মানই মূল সূচক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের চাহিদা ও যোগ্যতা বিবেচনা করে শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি আশা করব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ যাত্রাপথে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকবে।