মামলাজট কমাতে উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে: আইনমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 114

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলাজট কমাতে উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির ওপর জোর দিতে হবে।

তিনি বলেন, গতানুগতিক ধারায় মামলাজট কমাতে গেলে বেশ সময় লাগবে। সেজন্য এ ব্যাপারে অবিরাম চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।রোববার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজদের ২৫তম জুডিসিয়াল এডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে একটি সুদক্ষ ও বিশ্বমানের বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে চায়। এরই অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। বিচারকদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও জাপানে ৮৫৫ জন বিচারককে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। করোনার প্রার্দুভাব না হলে এ সংখ্যা এতদিনে হয়তো ১৫০০ ছাড়িয়ে যেত। দেশিও প্রশিক্ষণ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

দেশেই বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে মাদারীপুর জেলার শিবচরে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল একাডেমি গড়ে তোলা হবে। এখানে দেশিও বিচারকদের পাশাপাশি সারা দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিচারকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের উপযোগী একাডেমি গড়ে তোলা হবে। এর কাজ আগামী বছর শুরু করা হবে, বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা ডিজিটাইজেশনের সুফল ভোগ করছি। কিন্তু এর কুফলও আছে। সেটা হচ্ছে সাইবার অপরাধ। এটিকে মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই আইনে যেসব অপরাধ আনা হয়েছে, তা পেনাল কোডেও আছে। প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা কী ছিল। উত্তর হচ্ছে পেনাল কোডে যেটা আছে, সেটা ডিজিটালি করলে আইনের দিক থেকে তা অপরাধ নয়। সেজন্যই ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের পাতায় পাতায় গণতন্ত্রকে জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য করা হয়নি।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মামলাজট কমাতে উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে: আইনমন্ত্রী

আপডেট : ১১:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলাজট কমাতে উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির ওপর জোর দিতে হবে।

তিনি বলেন, গতানুগতিক ধারায় মামলাজট কমাতে গেলে বেশ সময় লাগবে। সেজন্য এ ব্যাপারে অবিরাম চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।রোববার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজদের ২৫তম জুডিসিয়াল এডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে একটি সুদক্ষ ও বিশ্বমানের বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে চায়। এরই অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। বিচারকদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও জাপানে ৮৫৫ জন বিচারককে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। করোনার প্রার্দুভাব না হলে এ সংখ্যা এতদিনে হয়তো ১৫০০ ছাড়িয়ে যেত। দেশিও প্রশিক্ষণ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

দেশেই বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে মাদারীপুর জেলার শিবচরে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল একাডেমি গড়ে তোলা হবে। এখানে দেশিও বিচারকদের পাশাপাশি সারা দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিচারকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের উপযোগী একাডেমি গড়ে তোলা হবে। এর কাজ আগামী বছর শুরু করা হবে, বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা ডিজিটাইজেশনের সুফল ভোগ করছি। কিন্তু এর কুফলও আছে। সেটা হচ্ছে সাইবার অপরাধ। এটিকে মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই আইনে যেসব অপরাধ আনা হয়েছে, তা পেনাল কোডেও আছে। প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা কী ছিল। উত্তর হচ্ছে পেনাল কোডে যেটা আছে, সেটা ডিজিটালি করলে আইনের দিক থেকে তা অপরাধ নয়। সেজন্যই ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের পাতায় পাতায় গণতন্ত্রকে জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য করা হয়নি।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বক্তব্য রাখেন।