ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৪১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 152
শিল্প কারখানায় মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে একটা সুন্দর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বর্তমান প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থা সচল রাখার পাশাপাশি রপ্তানীর গতি বৃদ্ধিতে মালিক ও শ্রমিক সুসম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মালিক ও শ্রমিকসহ সকলকে আমি সবসময় একটা অনুরোধই করবো- মালিক ও শ্রমিকের একটা সুন্দর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে।

শিল্প কারখানায় মালিক ও শ্রমিকদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মালিকদের সবসময় মনে রাখতে হবে, এই শ্রমিকরা শ্রম দিয়েই তাদের কারখানা চালু রাখে এবং অর্থ উপার্জনের পথ করে দেয়। সেই সাথে শ্রমিকদেরও এই কথাটা মনে রাখতে হবে যে, এই কারখানাগুলো আছে বলেই তারা কাজ করে খেতে পারছেন এবং তাদের পরিবার প্রতিপালন ও নিজেরা আর্থিকভাবে উপার্জন করতে পারছেন। কাজেই কারখানা যদি না চলে তাহলে নিজেদেরই ক্ষতি হবে।

শ্রমিকদেরকে উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কারখানা আপনাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা ও জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে, সেই কারখানার প্রতি আপনাদের যত্নবান হতে হবে।

শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ বিনষ্টের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সময় আমরা দেখি, বাইরে থেকে কিছু কিছু শ্রমিক নেতা বা কোন কোন মহল উস্কানি দেয় এবং একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে।

বিশ্ব এখন প্রতিযোগিতামূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে শিল্প কলকারখানা, উৎপাদন এবং রপ্তানি যদি সঠিকভাবে চলতে হয় তাহলে কিন্তু কারখানাগুলো যথাযথভাবে যাতে চলে- তার ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি সেখানে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাহলে রপ্তানি যেমন বন্ধ হবে, সেখানে কর্মপরিস্থিতি থাকবে না এবং নিজেরাও কাজ হারাবেন। তখন বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ঘুরতে হবে। সেকথা মনে রেখে শ্রমিকদেরকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কাজেই এখানে মালিক-শ্রমিকের সম্পর্কটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‘মালিকদের যেমন শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখতে হবে, শ্রমের ন্যায্য মূল্য এবং সঠিক কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে তেমনি শ্রমিকদেরও দায়িত্ব থাকবে কারখানাটা সুন্দরভাবে যেন চলে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, বলেন তিনি।’

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ কয়েকটি স্থাপনা উদ্বোধন করেন। সেগুলো হচ্ছে: নারায়ণগঞ্জ বন্দরে মহিলা শ্রমজীবী হোস্টেল এবং ৫ শয্যার হাসপাতাল সুবিধাসহ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র, চট্টগ্রামে ৬ তলা বিশিষ্ট শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তন ভবন, নারায়ণগঞ্জে ৫ তলা ভবন বিশিষ্ট আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, বগুড়ায় ৩ তলা ভবন বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র ও আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, গাইবান্ধায় ৩ তলা ভবন বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র, বাগেরহাটের মোংলায় ৩ তলা বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র, খুলনার রূপসায় ৪ তলা ভবন বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র এবং রাঙ্গামাটির ঘাগড়ায় শ্রম কল্যাণ কমপ্লেক্স।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে

আপডেট : ১০:৪১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
শিল্প কারখানায় মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে একটা সুন্দর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বর্তমান প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থা সচল রাখার পাশাপাশি রপ্তানীর গতি বৃদ্ধিতে মালিক ও শ্রমিক সুসম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মালিক ও শ্রমিকসহ সকলকে আমি সবসময় একটা অনুরোধই করবো- মালিক ও শ্রমিকের একটা সুন্দর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে।

শিল্প কারখানায় মালিক ও শ্রমিকদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মালিকদের সবসময় মনে রাখতে হবে, এই শ্রমিকরা শ্রম দিয়েই তাদের কারখানা চালু রাখে এবং অর্থ উপার্জনের পথ করে দেয়। সেই সাথে শ্রমিকদেরও এই কথাটা মনে রাখতে হবে যে, এই কারখানাগুলো আছে বলেই তারা কাজ করে খেতে পারছেন এবং তাদের পরিবার প্রতিপালন ও নিজেরা আর্থিকভাবে উপার্জন করতে পারছেন। কাজেই কারখানা যদি না চলে তাহলে নিজেদেরই ক্ষতি হবে।

শ্রমিকদেরকে উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কারখানা আপনাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা ও জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে, সেই কারখানার প্রতি আপনাদের যত্নবান হতে হবে।

শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ বিনষ্টের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সময় আমরা দেখি, বাইরে থেকে কিছু কিছু শ্রমিক নেতা বা কোন কোন মহল উস্কানি দেয় এবং একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে।

বিশ্ব এখন প্রতিযোগিতামূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে শিল্প কলকারখানা, উৎপাদন এবং রপ্তানি যদি সঠিকভাবে চলতে হয় তাহলে কিন্তু কারখানাগুলো যথাযথভাবে যাতে চলে- তার ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি সেখানে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাহলে রপ্তানি যেমন বন্ধ হবে, সেখানে কর্মপরিস্থিতি থাকবে না এবং নিজেরাও কাজ হারাবেন। তখন বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ঘুরতে হবে। সেকথা মনে রেখে শ্রমিকদেরকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কাজেই এখানে মালিক-শ্রমিকের সম্পর্কটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‘মালিকদের যেমন শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখতে হবে, শ্রমের ন্যায্য মূল্য এবং সঠিক কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে তেমনি শ্রমিকদেরও দায়িত্ব থাকবে কারখানাটা সুন্দরভাবে যেন চলে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, বলেন তিনি।’

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ কয়েকটি স্থাপনা উদ্বোধন করেন। সেগুলো হচ্ছে: নারায়ণগঞ্জ বন্দরে মহিলা শ্রমজীবী হোস্টেল এবং ৫ শয্যার হাসপাতাল সুবিধাসহ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র, চট্টগ্রামে ৬ তলা বিশিষ্ট শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তন ভবন, নারায়ণগঞ্জে ৫ তলা ভবন বিশিষ্ট আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, বগুড়ায় ৩ তলা ভবন বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র ও আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, গাইবান্ধায় ৩ তলা ভবন বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র, বাগেরহাটের মোংলায় ৩ তলা বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র, খুলনার রূপসায় ৪ তলা ভবন বিশিষ্ট শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র এবং রাঙ্গামাটির ঘাগড়ায় শ্রম কল্যাণ কমপ্লেক্স।