দেশকে মেধাশূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা
- আপডেট : ১০:২৫:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
- / 225
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। আমি দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৭১- এর ঘাতক, মানবতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী জামাত মৌলবাদীচক্রের রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৩ বছরের পাকিস্তানি বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে দেশের আপামর জনসাধারণকে সংগঠিত করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।’
‘জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় পাকিস্তানের দোসর জামাতসহ ধর্মান্ধ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তারা রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী গঠন করে পাক হানাদারবাহিনীকে সহায়তা করার পাশাপাশি হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় খুন-হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন চালায়। মুক্তমনা, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালায়। এই সন্ত্রাসী- জঙ্গিগোষ্ঠী ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে দেশব্যাপী আগুন সন্ত্রাস চালায়, মানুষ খুন করে এবং পরিকল্পিত নাশকতা চালায়। এখনও নানাভাবে তারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’
এসময় শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। সূত্র- বাসস