ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর শঙ্কা  

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ১২:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 168

দেশের সাহায্য বন্ধ করে লেখা বিএনপি মহাসচিবের চিঠির জন্য তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। একই সাথে বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, এই যে দেশের বিরুদ্ধে তিনি চিঠি দিলেন, সাহায্য বন্ধের কথা বললেন, এটার জন্য তার বিচার হওয়া দরকার। বিএনপিরও বিচার দরকার। বিএনপির সবকিছুতে না বলার বাতিক আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সবকিছুতেই না বলার বাতিক থেকে বিএনপি বের হতে না পারলে তারা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না।

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তারা দেশের সাহায্য বন্ধের জন্য চিঠি লিখেছে। এটা যদি ইউরোপের কোনো দেশে হতো তাৎক্ষণিক মির্জা ফখরুল ও বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হতো। তিনি রাজনীতিতে অযোগ্য হতেন। তার বিচার হতো।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে, রপ্তানি বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, দেশের ভাবমূর্তিকে হেয় করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে যখন আমরা অভিযোগ উপস্থাপন করলাম, প্রথমে তারা অস্বীকার করল। মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, তিনি কোনো চিঠিও দেননি। পরে যখন আমরা বিএনপির প্যাডে মির্জা ফখরুলের সই করা চিঠি উপস্থাপন করলাম, বিএনপির কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগের দলিল যখন আমরা উপস্থাপন করলাম, তখন তারা নিশ্চুপ হয়ে গেল। তারা চুপসে গেল কারণ তাদের জবাব নেই। অপকর্ম ঢাকার জন্য এখন তারা নানা প্রশ্ন উপস্থাপন করার চেষ্টা করবে- এটা খুবই স্বাভাবিক।

সরকারের লবিস্ট নিয়োগের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের পক্ষ থেকে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে পিআর ফার্ম নিয়োগ করা হয়। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও জানানো হয়েছে, আমরা পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছি। এগুলো করার জন্যই তো রপ্তানি বেড়েছে। কোভিডের মধ্যেও রপ্তানি বাড়ছে। এগুলো তো এমনি এমনি হয়নি। রপ্তানি বাড়াতে নানা জায়গায় লবিং করা হচ্ছে দেখেই তো এটা হচ্ছে। এগুলো ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট। এগুলো সরকারি চুক্তি। এখানে প্রশ্ন রাখার কিছু নেই।

এসময় সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যেরও জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। সেখানে দুজন বাদে সবাই সাংবিধানিক পদধারী। যখনই সার্চ কমিটি হবে এই সাংবিধানিক পদধারীরা দায়িত্ব পালন করবেন।

তারা সাংবিধানিক পদধারী, সরকারের কোনো পদধারী নয়। রাষ্ট্রপতিও তাদের সরাতে পারবেন না। সেটির নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। দুজন সিভিল সোসাইটির সদস্য নেয়া হয়েছে। তারা দুজনই অত্যন্ত নিরপক্ষে মানুষ হিসেবে পরিচিত। এই সার্চ কমিটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের সুযোগ নেই।

বিএনপি নেতাদের সমালোচনায় তিনি বলেন, সবকিছুতেই না বলার বাতিক থেকে বিএনপি বের হতে না পারলে তারা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না। নির্বাচন কখনও সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় না। নির্বাচনের সময় সরকার একজন কনস্টেবলও বদলি করতে পারে না। তখন সবার চাকরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়ে যায়। মূল কথা হচ্ছে, বিএনপির তো সরকারের প্রতি কোনো আস্থা নেই। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জল ঘোলা করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর শঙ্কা  

আপডেট : ১২:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

দেশের সাহায্য বন্ধ করে লেখা বিএনপি মহাসচিবের চিঠির জন্য তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। একই সাথে বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, এই যে দেশের বিরুদ্ধে তিনি চিঠি দিলেন, সাহায্য বন্ধের কথা বললেন, এটার জন্য তার বিচার হওয়া দরকার। বিএনপিরও বিচার দরকার। বিএনপির সবকিছুতে না বলার বাতিক আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সবকিছুতেই না বলার বাতিক থেকে বিএনপি বের হতে না পারলে তারা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না।

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তারা দেশের সাহায্য বন্ধের জন্য চিঠি লিখেছে। এটা যদি ইউরোপের কোনো দেশে হতো তাৎক্ষণিক মির্জা ফখরুল ও বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হতো। তিনি রাজনীতিতে অযোগ্য হতেন। তার বিচার হতো।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে, রপ্তানি বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, দেশের ভাবমূর্তিকে হেয় করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে যখন আমরা অভিযোগ উপস্থাপন করলাম, প্রথমে তারা অস্বীকার করল। মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, তিনি কোনো চিঠিও দেননি। পরে যখন আমরা বিএনপির প্যাডে মির্জা ফখরুলের সই করা চিঠি উপস্থাপন করলাম, বিএনপির কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগের দলিল যখন আমরা উপস্থাপন করলাম, তখন তারা নিশ্চুপ হয়ে গেল। তারা চুপসে গেল কারণ তাদের জবাব নেই। অপকর্ম ঢাকার জন্য এখন তারা নানা প্রশ্ন উপস্থাপন করার চেষ্টা করবে- এটা খুবই স্বাভাবিক।

সরকারের লবিস্ট নিয়োগের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের পক্ষ থেকে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে পিআর ফার্ম নিয়োগ করা হয়। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও জানানো হয়েছে, আমরা পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছি। এগুলো করার জন্যই তো রপ্তানি বেড়েছে। কোভিডের মধ্যেও রপ্তানি বাড়ছে। এগুলো তো এমনি এমনি হয়নি। রপ্তানি বাড়াতে নানা জায়গায় লবিং করা হচ্ছে দেখেই তো এটা হচ্ছে। এগুলো ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট। এগুলো সরকারি চুক্তি। এখানে প্রশ্ন রাখার কিছু নেই।

এসময় সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যেরও জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। সেখানে দুজন বাদে সবাই সাংবিধানিক পদধারী। যখনই সার্চ কমিটি হবে এই সাংবিধানিক পদধারীরা দায়িত্ব পালন করবেন।

তারা সাংবিধানিক পদধারী, সরকারের কোনো পদধারী নয়। রাষ্ট্রপতিও তাদের সরাতে পারবেন না। সেটির নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। দুজন সিভিল সোসাইটির সদস্য নেয়া হয়েছে। তারা দুজনই অত্যন্ত নিরপক্ষে মানুষ হিসেবে পরিচিত। এই সার্চ কমিটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের সুযোগ নেই।

বিএনপি নেতাদের সমালোচনায় তিনি বলেন, সবকিছুতেই না বলার বাতিক থেকে বিএনপি বের হতে না পারলে তারা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না। নির্বাচন কখনও সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় না। নির্বাচনের সময় সরকার একজন কনস্টেবলও বদলি করতে পারে না। তখন সবার চাকরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়ে যায়। মূল কথা হচ্ছে, বিএনপির তো সরকারের প্রতি কোনো আস্থা নেই। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জল ঘোলা করা।