ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রদীপ-লিয়াকতের ‘ডেথ রেফারেন্স’ হাইকোর্টে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০১:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 108
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর ডেথ রেফেরেন্স সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত সিনহা হত্যা মামলার রায়ে প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একই রায়ে টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব, বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা দায়ের করে।

ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

পরে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।

গত ২৭ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যা শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। পরে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আসামিদের ৩৪২ ধারায় বক্তব্য গ্রহণ। সবশেষে গত ৩১ জানুয়ারির মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রদীপ-লিয়াকতের ‘ডেথ রেফারেন্স’ হাইকোর্টে

আপডেট : ০১:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর ডেথ রেফেরেন্স সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত সিনহা হত্যা মামলার রায়ে প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একই রায়ে টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব, বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা দায়ের করে।

ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

পরে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।

গত ২৭ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যা শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। পরে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আসামিদের ৩৪২ ধারায় বক্তব্য গ্রহণ। সবশেষে গত ৩১ জানুয়ারির মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।