বাড়তি ভাড়া দাবি করছে পরিবহন শ্রমিকরা, ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ
- আপডেট : ০৬:৪২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অগাস্ট ২০২২
- / 275
সড়কে গণপরিবহন কমে যাওয়ার সুযোগে বেশি ভাড়া হাকছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা ও চুক্তিতে চলাচলকারী উবার-পাঠাও চালকরা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বাসের জন্য অনেক মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে দু-একটি বাস এলেও সেগুলো ফাঁকা নেই। ঠেলাঠেলি করে দু-একজন বাসে চড়তে পারলেও অধিকাংশকেই হতাশ হয়ে পরের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও বাস না পেয়ে বাধ্য হয়ে হেঁটেই রওনা করেন অনেকে।
বাংলামোটর মোড়ে বাস স্টপেজে যাত্রীতে পরিপূর্ণ শিকড় পরিবহনের একটি বাস থামলে সেটিতে কয়েজন যাত্রী ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের থামিয়ে বাস সহকারীকে বলতে শোনা যায়, ‘যেখানেই নামেন ১৫ টাকার কম হলে কেউ বাসে উইঠেন না’।
ওই বাসটি থেকে নামা মামুন নামের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে জানান, তিনি দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর কোনোরকম বাসে উঠেছিলেন। ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা নিয়েছে বাস কন্ডাক্টর।
শাহবাগ মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা টিটু নামের অপর একজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। সকালে অফিসে গেলে মালিক তাকে অফিসের একটি কাজে শাহবাগে পাঠান। আসার সময় অনেক অপেক্ষা করে একটি বাসে পাঁচ টাকা বেশি ভাড়া দিয়ে এসেছেন। এখন কাওরানবাজারে অবস্থিত অফিসে ফেরার পথে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। দুয়েকটি বাস পেলেও যাত্রীতে ঠাসা থাকায় ওঠতে পারছেন না। তাই অপেক্ষা করছেন। তার অফিসে পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ বাস কম থাকার সুযোগে বাড়তি ভাড়া দাবি করছেন রিকশাচালক, সিএনজি ও ক্ষেপে চলা উবার-পাঠাও চালকরা।
শাহবাগে সিএনজি চালিত অটোরিকশার জন্য অপক্ষো করা শুভ্র নামের একজন বলেন, তিনি যাবেন মিরপুরে। সাধারণ সময়ে সিএনজি চালকরা দেড় থেকে দুইশ’ টাকায় গেলেও আজ তিনশ’ থেকে সাড়ে ‘তিনশ’ টাকা দাবি করছেন।
তানজিনা আহমেদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মহাখালী যেতে শাহবাগে প্রায় ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়েও কাঙ্ক্ষিত বাস পাচ্ছিলেন না তিনি। সিএনজি ২৫০ টাকার বেশি ভাড়া চাচ্ছে। অনেকটা বিরক্ত হয়ে পাঠাও অ্যাপে যেতে চাইলেও বাইকাররা চুক্তিতে ২০০ টাকা নিচে মহাখালী যেতে রাজি হয়নি- বলেন তানজিনা।