ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমার মা ছিলেন বাবার ছায়াসঙ্গী: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৫:১৩:০৯ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
  • / 260
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবন সাথী হিসেবে ফজিলাতুন নেছা মুজিবের মত একজন নারীকে পেয়েছিলেন বলেই বাঙালির সংগ্রাম সফল হতে পেরেছে।

সোমবার বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার মা ছিলেন বাবার ছায়াসঙ্গী। তিনি বাবার আদর্শ ধারণ করেছিলেন। প্রতিটি কাজে বাবাকে সহযোগিতা করেছেন, তার পাশে ছিলেন।

তিনি বলেন, বাবা টাকা এনে মায়ের কাছে দিতেন, মা এই টাকা সংসারে খরচ করতেন। নেতাকর্মীদের জন্য বিনা দ্বিধায় খরচ করতেন। অনেকসময় নিজের গহনা বিক্রি করেও নেতাকর্মীদের জন্য টাকা দিয়েছেন।

সরকারপ্রধান বলেন, বাবা বারবার কারাগারে যেতেন। কিন্তু কখনও বাবাকে সংসারের ব্যাপারে চিন্তা করতে দেননি। বলতেন, আমি সব দেখব, তোমার চিন্তা করতে হবে না। বাবা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করতেন বলেই মা তাকে ফ্রি করে দিতেন।

শেখ হাসিনা বলেন, শেখ ফজিলাতুন নেছার মতো একজন আদর্শ সহধর্মিণী পাওয়া বঙ্গবন্ধুর জন্য সৌভাগ্য ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটুকুই বলব, আমাদের দেশের নারী সমাজ, তারাও যেন এই আদর্শটা ধারণ করে যে শুধু চাওয়া পাওয়া বিলাসিতা- এটাই জীবন না। একটা মানুষের জীবনে মানুষের কল্যাণে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। কিন্তু একটা আদর্শ নিয়ে চললে মানুষের জন্য অনেক অবদান রাখা যেতে পারে।

আমার মা, তার এই মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে… আমার বাবা যে মহৎ অর্জন করেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশ, সেটাই কিন্তু তিনি দিয়ে গেছেন। আমাদের দেশের নারী সমাজকে এই আহ্বানই করব, এই আদর্শ নিয়ে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে মানুষের কল্যাণে সবাই কাজ করবেন, সেটাই আমি চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আমার মা ছিলেন বাবার ছায়াসঙ্গী: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৫:১৩:০৯ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবন সাথী হিসেবে ফজিলাতুন নেছা মুজিবের মত একজন নারীকে পেয়েছিলেন বলেই বাঙালির সংগ্রাম সফল হতে পেরেছে।

সোমবার বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার মা ছিলেন বাবার ছায়াসঙ্গী। তিনি বাবার আদর্শ ধারণ করেছিলেন। প্রতিটি কাজে বাবাকে সহযোগিতা করেছেন, তার পাশে ছিলেন।

তিনি বলেন, বাবা টাকা এনে মায়ের কাছে দিতেন, মা এই টাকা সংসারে খরচ করতেন। নেতাকর্মীদের জন্য বিনা দ্বিধায় খরচ করতেন। অনেকসময় নিজের গহনা বিক্রি করেও নেতাকর্মীদের জন্য টাকা দিয়েছেন।

সরকারপ্রধান বলেন, বাবা বারবার কারাগারে যেতেন। কিন্তু কখনও বাবাকে সংসারের ব্যাপারে চিন্তা করতে দেননি। বলতেন, আমি সব দেখব, তোমার চিন্তা করতে হবে না। বাবা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করতেন বলেই মা তাকে ফ্রি করে দিতেন।

শেখ হাসিনা বলেন, শেখ ফজিলাতুন নেছার মতো একজন আদর্শ সহধর্মিণী পাওয়া বঙ্গবন্ধুর জন্য সৌভাগ্য ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটুকুই বলব, আমাদের দেশের নারী সমাজ, তারাও যেন এই আদর্শটা ধারণ করে যে শুধু চাওয়া পাওয়া বিলাসিতা- এটাই জীবন না। একটা মানুষের জীবনে মানুষের কল্যাণে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। কিন্তু একটা আদর্শ নিয়ে চললে মানুষের জন্য অনেক অবদান রাখা যেতে পারে।

আমার মা, তার এই মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে… আমার বাবা যে মহৎ অর্জন করেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশ, সেটাই কিন্তু তিনি দিয়ে গেছেন। আমাদের দেশের নারী সমাজকে এই আহ্বানই করব, এই আদর্শ নিয়ে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে মানুষের কল্যাণে সবাই কাজ করবেন, সেটাই আমি চাই।