ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলক্ষেতে বিক্ষোভ

ঢাবি প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৫:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
  • / 269
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও সর্বত্র গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’ ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর নীলক্ষেত মোড়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাত কলেজ আন্দোলন, হাফ পাস আন্দোলনের সদস্যরা এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, যে গত ৫ আগস্ট রাতে ১২ টা থেকে হঠাৎ আকস্মিক জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়। যার ফলে গণপরিবহনের ভাড়াও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বহন করা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে এটি আরও বেশি অসম্ভব। এই তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যা জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই।

এসময় আন্দোলনকারীরা তিন দফা দাবি জানান। সেগুলো হলো-

১. ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বৃদ্ধিকৃত জ্বালানি তেলের দাম কমাতে হবে।

২. এক পয়সাও গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না।

৩. গণপরিবহনে ভাড়ার নামে নৈরাজ বন্ধ করতে হবে, সাথে সাথে সকল শিক্ষার্থীর হার পাস নিশ্চিত হবে।

কর্মসূচিতে অনুষ্ঠানের সভাপতি, ও সাত কলেজ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইসমাইল সম্রাট বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ১১ টায়। কিন্তু তখন আমাদেরকে বড় মাইক আনতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে এখানে আমাদের অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। আমাদের অনেকেই আসতে পারেনি। সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের কেন ভয় পায়? ছাত্র ও যুবদের যৌক্তিক সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়া হলে তারা জঙ্গিবাদসহ নানা অপরাধেক দিকে ধেয়ে পড়বে।’

তিনি আরও বলেন, একেবারে হঠাৎ করেই তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। ১০ টায় ঘোষণা দিয়ে ১২ টায় কার্যকর করা জনগণের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই না। তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। যেগুলোর সাথে তেলের কোনো সম্পর্ক নেই সেগুলোরও দাম বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা সাধারণ মানুষের জীবন-যাপন স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে দাঁড়িয়েছি। আজকে এই দামবৃদ্ধি পরিবহন সমিতি ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরী করে দিচ্ছে। অবিলম্বে এসবের সমাধান করা চাই।

কর্মসূচি শেষে তারা বামজোটের ডাকা মিছিলে যোগদানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে রওনা করে। এসময় আন্দোলনরতরা, ‘তেলের দাম কমিয়ে দাও, কমাতে হবে কমাতে হবে, তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়ে আমলা পোষা বন্ধ করো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলক্ষেতে বিক্ষোভ

আপডেট : ০৫:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও সর্বত্র গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’ ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর নীলক্ষেত মোড়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাত কলেজ আন্দোলন, হাফ পাস আন্দোলনের সদস্যরা এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, যে গত ৫ আগস্ট রাতে ১২ টা থেকে হঠাৎ আকস্মিক জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়। যার ফলে গণপরিবহনের ভাড়াও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বহন করা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে এটি আরও বেশি অসম্ভব। এই তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যা জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই।

এসময় আন্দোলনকারীরা তিন দফা দাবি জানান। সেগুলো হলো-

১. ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বৃদ্ধিকৃত জ্বালানি তেলের দাম কমাতে হবে।

২. এক পয়সাও গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না।

৩. গণপরিবহনে ভাড়ার নামে নৈরাজ বন্ধ করতে হবে, সাথে সাথে সকল শিক্ষার্থীর হার পাস নিশ্চিত হবে।

কর্মসূচিতে অনুষ্ঠানের সভাপতি, ও সাত কলেজ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইসমাইল সম্রাট বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ১১ টায়। কিন্তু তখন আমাদেরকে বড় মাইক আনতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে এখানে আমাদের অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। আমাদের অনেকেই আসতে পারেনি। সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের কেন ভয় পায়? ছাত্র ও যুবদের যৌক্তিক সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়া হলে তারা জঙ্গিবাদসহ নানা অপরাধেক দিকে ধেয়ে পড়বে।’

তিনি আরও বলেন, একেবারে হঠাৎ করেই তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। ১০ টায় ঘোষণা দিয়ে ১২ টায় কার্যকর করা জনগণের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই না। তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। যেগুলোর সাথে তেলের কোনো সম্পর্ক নেই সেগুলোরও দাম বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা সাধারণ মানুষের জীবন-যাপন স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে দাঁড়িয়েছি। আজকে এই দামবৃদ্ধি পরিবহন সমিতি ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরী করে দিচ্ছে। অবিলম্বে এসবের সমাধান করা চাই।

কর্মসূচি শেষে তারা বামজোটের ডাকা মিছিলে যোগদানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে রওনা করে। এসময় আন্দোলনরতরা, ‘তেলের দাম কমিয়ে দাও, কমাতে হবে কমাতে হবে, তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়ে আমলা পোষা বন্ধ করো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।