ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর পৌরসসভায় ভোগান্তিতে দুই শত পরিবার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১
  • / 160

প্রথম শ্রেণীর নওগাঁ পৌরসভার চার নং ওয়াডলাটা পাড়ার রাস্তা এ যাবৎ পর্যন্ত পাকা করন করা হয়নি। ফলে বন্যায় আর একটু বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নওগাঁ পৌরসভাটি উনিশ শত সপ্তাশি সালে প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা লাভ করলেও রাস্তা ঘাট দেখে তৃতীয় শ্রেনীর পৌরসভার ভাবার কোন অবকাশ নেই বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

কেননা শুধু চার নং ওযার্ডটিই নয় এক হতে নয়টি ওয়াড নিয়ে নওগাঁ পৌরসভাটি গঠিত প্রায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের একই সমস্যাবলে জানা যায়।নওগাঁ পৌরসভাটি উনিশ শত সপ্তাশি সালে প্রথম শ্রেণীর মর্যদা লাভ করলেও রাস্তা ঘাট দেখে তৃতীয় শ্রেণীর তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নওগাঁ পৌরসভার আরজী নওগাঁ লাটা পাড়া মহল্লায় প্রায় দুই শতাধীক পরিবারের বসবাস। এ এলাকার বাসিন্দারা প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার নাগরিক শুধু পৌর ট্যাক্স ও ভ্যাট দেওয়ার সময়। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার কোন সুযোগ সুবিধা পায়নি তারা। নওগাঁর লাটাপাড়ায় কোন রাস্তাঘাট এখন পর্যন্ত পাকা হয়নি। নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবন্থা। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার পৌর-মেয়র বরাবর লিখিত দরখাস্ত দিয়েও কোন লাভ হয়নি।

দরখাস্ত দিতে গেলে তাদের ভাগ্যে মিলে শুধু প্রতিশ্রুতি। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পলিটেকনিক কলেজের দুই শতাধীক শিক্ষার্থীসহ সহশ্রাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা।রাস্তাটি দ্রুত পাকা করনের জন্য পৌর মেয়রসহ সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসীরা।

স্থানীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা নাকি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার নাগরিক। এটি শুধু কাগজ কলমে বাস্তবে মনে হয় চার নং ওয়ার্ড তৃতীয় শ্রেণীর। এর আগেও বিভিন্ন পত্রিকায় এ এলাকার নিউজ হয়েও কোন কাজ হয়নি বলে জানান।

এলাকার ময়েন উদ্দিনএর ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এমন রাস্তা দিয়ে কি ভাবে আমরা হেঁটে চলাচল করবো। একটু বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু পানি কাঁদা আরযেখানে সেখানে গতের সৃষ্টি হয়। সমজিদে নামাজ পড়তে গেলে পায়ের জুতা হাতে নিয়ে যেতে হয়। আমরা এ কষ্ট থেকে রেহাই পতে চাই।

একই গ্রামের দু’জন শাররীক প্রতিবন্ধী জালাল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা মূলত দু’পায়ে চলাফেরা করতে পারি না। তাই আমাদের দাবী ও এলাকাবাসীরপ্যাণের দাবী ওই রাস্তা যেন দূত সংস্কার হয়।

বিশেষ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার এমন পরিস্থিতি ঘটেছে। বলে আমরা মনে করি।তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পৌর সভার প্রতি দৃষ্টি আকষণ করে বিশেষ অনুরোধ করছি। এই রাস্তাটি দূত সংস্কারের জন্য।

এ বিষয়ে চার নং ওয়ার্ড কমিশনার আব্দুল মালেক শেখ খোয়াজ এর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।এরপর তার মোবাইল নাম্বরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোন উত্তর দেননি।

পৌসভার মেয়র নাজমূল হক সনি বলেন, লাটাপাড়ার রাস্তার ব্যাপারে বহুবার লিখিত দরখাস্ত পেয়েছি। বরাদ্ধের অভাবে এখন পযন্ত রাস্তাটি পাকা করণ করা সম্ভব হয়নি। এখন পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তার কাজ চলছে। এবার বরাদ্ধ পেলেই রাস্তার কাজ করা হবে।আগামীতে রাস্তাটিপাকা করনকরার জন্য আমার পক্ষ থেকে চেষ্টার কোন অভাব থাকবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নওগাঁর পৌরসসভায় ভোগান্তিতে দুই শত পরিবার

আপডেট : ০১:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১

প্রথম শ্রেণীর নওগাঁ পৌরসভার চার নং ওয়াডলাটা পাড়ার রাস্তা এ যাবৎ পর্যন্ত পাকা করন করা হয়নি। ফলে বন্যায় আর একটু বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নওগাঁ পৌরসভাটি উনিশ শত সপ্তাশি সালে প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা লাভ করলেও রাস্তা ঘাট দেখে তৃতীয় শ্রেনীর পৌরসভার ভাবার কোন অবকাশ নেই বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

কেননা শুধু চার নং ওযার্ডটিই নয় এক হতে নয়টি ওয়াড নিয়ে নওগাঁ পৌরসভাটি গঠিত প্রায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের একই সমস্যাবলে জানা যায়।নওগাঁ পৌরসভাটি উনিশ শত সপ্তাশি সালে প্রথম শ্রেণীর মর্যদা লাভ করলেও রাস্তা ঘাট দেখে তৃতীয় শ্রেণীর তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নওগাঁ পৌরসভার আরজী নওগাঁ লাটা পাড়া মহল্লায় প্রায় দুই শতাধীক পরিবারের বসবাস। এ এলাকার বাসিন্দারা প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার নাগরিক শুধু পৌর ট্যাক্স ও ভ্যাট দেওয়ার সময়। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার কোন সুযোগ সুবিধা পায়নি তারা। নওগাঁর লাটাপাড়ায় কোন রাস্তাঘাট এখন পর্যন্ত পাকা হয়নি। নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবন্থা। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার পৌর-মেয়র বরাবর লিখিত দরখাস্ত দিয়েও কোন লাভ হয়নি।

দরখাস্ত দিতে গেলে তাদের ভাগ্যে মিলে শুধু প্রতিশ্রুতি। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পলিটেকনিক কলেজের দুই শতাধীক শিক্ষার্থীসহ সহশ্রাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা।রাস্তাটি দ্রুত পাকা করনের জন্য পৌর মেয়রসহ সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসীরা।

স্থানীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা নাকি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার নাগরিক। এটি শুধু কাগজ কলমে বাস্তবে মনে হয় চার নং ওয়ার্ড তৃতীয় শ্রেণীর। এর আগেও বিভিন্ন পত্রিকায় এ এলাকার নিউজ হয়েও কোন কাজ হয়নি বলে জানান।

এলাকার ময়েন উদ্দিনএর ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এমন রাস্তা দিয়ে কি ভাবে আমরা হেঁটে চলাচল করবো। একটু বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু পানি কাঁদা আরযেখানে সেখানে গতের সৃষ্টি হয়। সমজিদে নামাজ পড়তে গেলে পায়ের জুতা হাতে নিয়ে যেতে হয়। আমরা এ কষ্ট থেকে রেহাই পতে চাই।

একই গ্রামের দু’জন শাররীক প্রতিবন্ধী জালাল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা মূলত দু’পায়ে চলাফেরা করতে পারি না। তাই আমাদের দাবী ও এলাকাবাসীরপ্যাণের দাবী ওই রাস্তা যেন দূত সংস্কার হয়।

বিশেষ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার এমন পরিস্থিতি ঘটেছে। বলে আমরা মনে করি।তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পৌর সভার প্রতি দৃষ্টি আকষণ করে বিশেষ অনুরোধ করছি। এই রাস্তাটি দূত সংস্কারের জন্য।

এ বিষয়ে চার নং ওয়ার্ড কমিশনার আব্দুল মালেক শেখ খোয়াজ এর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।এরপর তার মোবাইল নাম্বরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোন উত্তর দেননি।

পৌসভার মেয়র নাজমূল হক সনি বলেন, লাটাপাড়ার রাস্তার ব্যাপারে বহুবার লিখিত দরখাস্ত পেয়েছি। বরাদ্ধের অভাবে এখন পযন্ত রাস্তাটি পাকা করণ করা সম্ভব হয়নি। এখন পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তার কাজ চলছে। এবার বরাদ্ধ পেলেই রাস্তার কাজ করা হবে।আগামীতে রাস্তাটিপাকা করনকরার জন্য আমার পক্ষ থেকে চেষ্টার কোন অভাব থাকবে না।