ঘরে ঘরে প্রবেশ করে মশা মারা সিটি কর্পোরেশনের কাজ নয়
- আপডেট : ১২:৩২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
- / 91
শনিবার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাসফসহ ১৭টি সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম জোরদার এবং গণ উদ্যোগ বৃদ্ধি করার দাবি আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান সংগঠনগুলো।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণের দায় নাগরিক, সিটি কর্পোরেশন এবং স্থানীয় সরকারের। তেমনি ডেঙ্গু সংক্রমণের দায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তর, সেবা প্রদানকারী সংস্থা, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ আরও অনেক সংস্থারও রয়েছে। আর ঘরে ঘরে প্রবেশ করে মশা মারা যেমন ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাজ নয়। তেমনি ঘরের বাইরে এডিস মশার ডিম পাড়া এবং বংশ বৃদ্ধি রোধ করা সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব।
‘মহানগরীর নালা-নর্দমা, আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, মশা-মাছির প্রজনন স্থল ধ্বংসে লার্ভিসাইডিং এবং মশা নিধনে ফগিং করা দুই সিটি কর্পোরেশনের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য।’
বক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করার লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা না হলে আগামী বছরগুলোতে সারাদেশে ডেঙ্গু ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস এবং জনসচেনতা সৃষ্টি করা জরুরি। এডিস মশাকে ফগিং করে এবং রিপ্লেন্ট ও এরোসলের মাধ্যমে মেরে ফেলতে হবে। মশা ও মানুষের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে হাসপাতালগুলিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
মানববন্ধনে পবা নাসফসহ ১৭টি সংগঠনের ৯ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।
এগুলো হলো: ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সর্বস্তরের জনসাধারনকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা, সব ধরনের মশার বংশবিস্তার রোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন কর্তৃক ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি, পরিবার ও কমিউনিটি পর্যায়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, পরিবেশ বান্ধব কার্যকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করা এবং উড়ন্ত মশা মারা, এডিস মশার প্রজনন, বিস্তার, প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা, মশাবাহিত রোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ-প্রতিকারে দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন করা, মশক নিধন কার্যক্রম বছরব্যাপী নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে জনস্বাস্থ্যের উপর যে বিরুপ প্রভাব পড়ছে তা নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)-র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহাননের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, বাংলাদেশ গ্রীণরুফ মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. গোলাম হয়দার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।