ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জিয়া নামে কাউকে দেশের মানুষ চিনতো না: আইনমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
  • / 108

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিল না তার প্রমাণ হলো— তার দলের  ক্রমাগত ইতিহাস বিকৃতি এবং রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানানো। খুনি জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকার্য বন্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে এ বিচারকার্য শুরু করেন।’ এই হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম প্রতিটি পদে পদে কীভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল সেই বর্ণনাও দেন আইনমন্ত্রী।

রবিবার (২৯ আগস্ট) আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বিশ্লেষণধর্মী আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য সচিব এবং দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। প্রধান আলোচক ছিলেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। আলোচক ছিলেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী,  আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী সিকদার (অব.), সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন।

আনিসুল হক বলেন, বিএনপি সরকার খুনিদের আশ্বস্ত করেছিল— আমরা যদি আবারও ক্ষমতায় আসতে পারি,এই মামলা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেবো, তোমাদের কিছু হবে না।

শেখ হাসিনা যদি ২০০৯ সালে ক্ষমতায় না আসতেন, তাহলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হতো না বলে দাবি করেন আইনমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিমা ১২ বছর ক্ষমতায় থেকে, সেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদাসম্পন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। একটি স্বাধীন কমিশন তৈরি করতে হবে এবং গবেষণা করে তরুণ প্রজন্মের কাছে সত্য পৌঁছে দিতে হবে।’ জিয়াউর রহমানের বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাগিদ অনুভব করেন তিনি।

‘সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাভোগী কারা?’ – এই শিরোনামে রবিবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির উদ্যোগে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘ইতিহাসের একটা দাবি থাকে, একটা প্রায়োরিটির বিষয় থাকে। জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী, দেশের প্রচলিত আইনে খুনিদের বিচার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে অনেককেই বিচারের আওতায় আনা যায়নি। তবে আজ  ইতিহাসের দাবি অনুযায়ী, সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী কারা, মূল বেনিফিশিয়ারী কারা—  এই বিষয়গুলো উম্মোচিত হওয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে, এই ব্যক্তিগুলো কারা।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জিয়া নামে কাউকে দেশের মানুষ চিনতো না: আইনমন্ত্রী

আপডেট : ১২:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিল না তার প্রমাণ হলো— তার দলের  ক্রমাগত ইতিহাস বিকৃতি এবং রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানানো। খুনি জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকার্য বন্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে এ বিচারকার্য শুরু করেন।’ এই হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম প্রতিটি পদে পদে কীভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল সেই বর্ণনাও দেন আইনমন্ত্রী।

রবিবার (২৯ আগস্ট) আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বিশ্লেষণধর্মী আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য সচিব এবং দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। প্রধান আলোচক ছিলেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। আলোচক ছিলেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী,  আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী সিকদার (অব.), সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন।

আনিসুল হক বলেন, বিএনপি সরকার খুনিদের আশ্বস্ত করেছিল— আমরা যদি আবারও ক্ষমতায় আসতে পারি,এই মামলা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেবো, তোমাদের কিছু হবে না।

শেখ হাসিনা যদি ২০০৯ সালে ক্ষমতায় না আসতেন, তাহলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হতো না বলে দাবি করেন আইনমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিমা ১২ বছর ক্ষমতায় থেকে, সেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদাসম্পন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। একটি স্বাধীন কমিশন তৈরি করতে হবে এবং গবেষণা করে তরুণ প্রজন্মের কাছে সত্য পৌঁছে দিতে হবে।’ জিয়াউর রহমানের বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাগিদ অনুভব করেন তিনি।

‘সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাভোগী কারা?’ – এই শিরোনামে রবিবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির উদ্যোগে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

স্বাগত বক্তব্যে ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘ইতিহাসের একটা দাবি থাকে, একটা প্রায়োরিটির বিষয় থাকে। জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী, দেশের প্রচলিত আইনে খুনিদের বিচার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে অনেককেই বিচারের আওতায় আনা যায়নি। তবে আজ  ইতিহাসের দাবি অনুযায়ী, সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী কারা, মূল বেনিফিশিয়ারী কারা—  এই বিষয়গুলো উম্মোচিত হওয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে, এই ব্যক্তিগুলো কারা।’