ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দলের কলহ-বিবাদ মীমাংসার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 95

ফাইল ছবি

দলীয় কলহ ও বিবাদ মীমাংসা করতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

দীর্ঘ এক বছর পর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৫ ঘণ্টাব্যাপি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী সংসদের অর্ধ শতাধিক সদস্য অংশ গ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, সভার মেইন ফোকাসটা ছিল সাংগঠনিক বিষয় এবং পরবর্তি (জাতীয়) নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টগুলোকে সেমিনারের মাধ্যমে যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য বিষয়গুলো আপডেট (সংস্কার) করার জন্য উপ-কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সভায় উপ-কমিটির কয়েকজন সদস্যের বক্তব্যও শুনেছেন নেত্রী।

‌‘তবে সভায় তিনি (শেখ হাসিনা) আটটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমাদের আট অর্গানাইজেশন সেক্রেটারির বক্তব্য শুনেছেন। এরমধ্যে চট্রগ্রামের অর্গানাইজেশন সেক্রেটারি দেশে নাই, তার জায়গায় মাহবুবুল-আলম-হানিফ রিপোর্ট উত্থাপণ করেছেন। বাকীরা উপস্থিত ছিলেন তারা একেবারে নিজেদের লিখিত বক্তব্য শুনিয়েছেন। তারা তাদের এলাকার একদম ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যন্ত বিস্তারিত রিপোর্ট শুনিয়েছেন নেত্রীর কাছে। নেত্রী তাদের বক্তব্য শুনেছেন। যেগুলো ইমিডিয়েটলি সমাধান করা দরকার সেগুলোর বিষয়ে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া কিছু ছোট কলহ ও বিবাদ আছে সেগুলোও মিমাংসা করার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, পাবনায় পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে সেখানে অনেক বিদ্রোহ করেছিল। পৌর ও সদর মিলে ২০ জনের মতো তারা ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন নেত্রী বরাবর। তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি এটাও বলেছেন, যারা দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিকভাবে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে কোন ব্যাপারে ছাড় দেয়া যাবে না।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও চক্রান্ত চলছে। যতই নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে ততই অপপ্রচারের মাত্রা বাড়ছে। সভায় নেত্রী বলেছেন, এসব অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে। চক্রান্তমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা সারাদেশে ঘুরে ঘুরে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন। এ ব্যাপারটিও সভায় আলোচনা হয়েছে। এজন্য নেত্রী সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে সভায় কোন আলোচনা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্মেলনের ব্যাপারে কোন এজেন্ডাই ছিল না।

নোয়াখালী প্রসঙ্গে কিছু বলেছেন কিনা, আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে এ নিয়ে কোন কথা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দলের কলহ-বিবাদ মীমাংসার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট : ০১:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
দলীয় কলহ ও বিবাদ মীমাংসা করতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

দীর্ঘ এক বছর পর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৫ ঘণ্টাব্যাপি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী সংসদের অর্ধ শতাধিক সদস্য অংশ গ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, সভার মেইন ফোকাসটা ছিল সাংগঠনিক বিষয় এবং পরবর্তি (জাতীয়) নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টগুলোকে সেমিনারের মাধ্যমে যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য বিষয়গুলো আপডেট (সংস্কার) করার জন্য উপ-কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সভায় উপ-কমিটির কয়েকজন সদস্যের বক্তব্যও শুনেছেন নেত্রী।

‌‘তবে সভায় তিনি (শেখ হাসিনা) আটটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমাদের আট অর্গানাইজেশন সেক্রেটারির বক্তব্য শুনেছেন। এরমধ্যে চট্রগ্রামের অর্গানাইজেশন সেক্রেটারি দেশে নাই, তার জায়গায় মাহবুবুল-আলম-হানিফ রিপোর্ট উত্থাপণ করেছেন। বাকীরা উপস্থিত ছিলেন তারা একেবারে নিজেদের লিখিত বক্তব্য শুনিয়েছেন। তারা তাদের এলাকার একদম ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যন্ত বিস্তারিত রিপোর্ট শুনিয়েছেন নেত্রীর কাছে। নেত্রী তাদের বক্তব্য শুনেছেন। যেগুলো ইমিডিয়েটলি সমাধান করা দরকার সেগুলোর বিষয়ে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া কিছু ছোট কলহ ও বিবাদ আছে সেগুলোও মিমাংসা করার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, পাবনায় পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে সেখানে অনেক বিদ্রোহ করেছিল। পৌর ও সদর মিলে ২০ জনের মতো তারা ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন নেত্রী বরাবর। তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি এটাও বলেছেন, যারা দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিকভাবে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে কোন ব্যাপারে ছাড় দেয়া যাবে না।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও চক্রান্ত চলছে। যতই নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে ততই অপপ্রচারের মাত্রা বাড়ছে। সভায় নেত্রী বলেছেন, এসব অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে। চক্রান্তমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা সারাদেশে ঘুরে ঘুরে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন। এ ব্যাপারটিও সভায় আলোচনা হয়েছে। এজন্য নেত্রী সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে সভায় কোন আলোচনা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্মেলনের ব্যাপারে কোন এজেন্ডাই ছিল না।

নোয়াখালী প্রসঙ্গে কিছু বলেছেন কিনা, আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে এ নিয়ে কোন কথা হয়নি।