ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘নীতিমালা মেনেই শিক্ষাক্রম সময়োপযোগী করা হবে’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৩:১১:০৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 109

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষা কার্যক্রম সময়পযোগী করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিক্ষা নীতিমালা মেনেই শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী করা হবে।

সোমবার সকালে গণভবনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার খসড়ার উপস্থাপনা সংক্রান্ত বৈঠকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সকাল ১০টায় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়, শিক্ষাখাতে বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যে নীতিমালা আছে, নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করব। কিন্তু এক্ষেত্রে সবসময় সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে এবং বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর এই বিজ্ঞান-প্রযুক্তি জ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা কোনো মতেই পিছিয়ে থাকতে পারি না।

তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় আমি খেয়াল করেছিলাম, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা। বিজ্ঞান শিক্ষা তারা নিতেই চাইতো না। বিজ্ঞান বিভাগের লোকই পাওয়া যেত না। এরকম একটি সময় কিন্তু ছিল। আমরা বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দেই। আমরা ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। যেহেতু আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি।

দীর্ঘদিন পর রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি, ধীরে ধীরে সবগুলো খুলে যাবে। আবার নতুনভাবে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য, আমরা প্রায় দেড় বছরের মতো আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি। যদিও অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বা ঘরে বসেই আমরা স্কুলের ধরনের বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, কাজ করেছি। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার আনন্দ, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দ থেকে শিশুরা বঞ্চিত হয়েছে।

তিনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী বৈশ্বিক অগ্রগতির সঙ্গে মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জানান, দেশের শিক্ষাক্রমে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি বিন্যাসসহ দুর্গম এলাকায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ কেবল আওয়ামী লীগ সরকারই নিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘নীতিমালা মেনেই শিক্ষাক্রম সময়োপযোগী করা হবে’

আপডেট : ০৩:১১:০৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষা কার্যক্রম সময়পযোগী করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিক্ষা নীতিমালা মেনেই শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী করা হবে।

সোমবার সকালে গণভবনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার খসড়ার উপস্থাপনা সংক্রান্ত বৈঠকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সকাল ১০টায় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়, শিক্ষাখাতে বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যে নীতিমালা আছে, নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করব। কিন্তু এক্ষেত্রে সবসময় সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে এবং বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর এই বিজ্ঞান-প্রযুক্তি জ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা কোনো মতেই পিছিয়ে থাকতে পারি না।

তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় আমি খেয়াল করেছিলাম, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা। বিজ্ঞান শিক্ষা তারা নিতেই চাইতো না। বিজ্ঞান বিভাগের লোকই পাওয়া যেত না। এরকম একটি সময় কিন্তু ছিল। আমরা বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দেই। আমরা ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। যেহেতু আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি।

দীর্ঘদিন পর রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি, ধীরে ধীরে সবগুলো খুলে যাবে। আবার নতুনভাবে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য, আমরা প্রায় দেড় বছরের মতো আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি। যদিও অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বা ঘরে বসেই আমরা স্কুলের ধরনের বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, কাজ করেছি। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার আনন্দ, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দ থেকে শিশুরা বঞ্চিত হয়েছে।

তিনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী বৈশ্বিক অগ্রগতির সঙ্গে মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জানান, দেশের শিক্ষাক্রমে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি বিন্যাসসহ দুর্গম এলাকায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ কেবল আওয়ামী লীগ সরকারই নিয়েছে।