ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুইক রেন্টালের মেয়াদ বৃদ্ধি করে বিল পাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 150
বিরোধী দলের সদস্যদের বিরোধিতার মধ্যেই কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র আরও ৫ বছর চালানোর বিল পাস হয়েছে সংসদে।

বুধবার ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ উত্থাপন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে মাধ্যমে পাস হয়।

এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনীর প্রস্তাবগুলোর ওপর আলোচনা শেষে স্পিকার তা নিষ্পত্তি করেন।

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা এর বিরোধিতা করেন। তাদের অভিযোগ, জনগণের করের টাকা অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এই আইন করা হচ্ছে।

এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যই এ বিলটি আনা হয়েছে।

বিলটি সংশোধনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস হতে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য দ্রুত আরও কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।

২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিদ্যুৎ সংকট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর এটা করার জন্য ২০১০ সালে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন প্রণয়ন করা হয়।’ শুরুতে দুই বছরের জন্য এ আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়।

২০১০ সালে সর্বশেষ প্রণীত আইনটির মেয়াদ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সরকারের ভাষ্য মতে তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় তিন বছর, পাঁচ বছর ও ১৬ বছর মেয়াদী এসব রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বেড়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হয়েছে।

অন্যদিকে এসব কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারকে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হয়, যা আসে করদাতাদের পকেট থেকে। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কুইক রেন্টালের মেয়াদ বৃদ্ধি করে বিল পাস

আপডেট : ০২:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
বিরোধী দলের সদস্যদের বিরোধিতার মধ্যেই কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র আরও ৫ বছর চালানোর বিল পাস হয়েছে সংসদে।

বুধবার ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ উত্থাপন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে মাধ্যমে পাস হয়।

এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনীর প্রস্তাবগুলোর ওপর আলোচনা শেষে স্পিকার তা নিষ্পত্তি করেন।

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা এর বিরোধিতা করেন। তাদের অভিযোগ, জনগণের করের টাকা অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এই আইন করা হচ্ছে।

এর জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যই এ বিলটি আনা হয়েছে।

বিলটি সংশোধনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস হতে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য দ্রুত আরও কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।

২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিদ্যুৎ সংকট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর এটা করার জন্য ২০১০ সালে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন প্রণয়ন করা হয়।’ শুরুতে দুই বছরের জন্য এ আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়।

২০১০ সালে সর্বশেষ প্রণীত আইনটির মেয়াদ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সরকারের ভাষ্য মতে তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় তিন বছর, পাঁচ বছর ও ১৬ বছর মেয়াদী এসব রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বেড়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হয়েছে।

অন্যদিকে এসব কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারকে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হয়, যা আসে করদাতাদের পকেট থেকে। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে।