ঢাকা ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এবার হালাল পণ্যের সনদ দেবে বিএসটিআই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:১৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 196

বিএসটিআই

এতদিন হালাল পণ্যের সনদ শুধুমাত্র ইসলামি ফাউন্ডেশন দিয়ে আসহিল। এখন থেকে ইসলামি ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি এই সনদ দেবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএসটিআই। এর আগে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল শিল্প মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের সার্টিফিকেশন মার্কস উইংয়ের (সিএম) পরিচালক নুরুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, এখন থেকে বিএসটিআইয়ে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেটের পথটি উন্মক্ত। রপ্তানির ক্ষেত্রে এ সার্টিফিকেট খুবই সহায়ক হবে। বিএসটিআই দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি দেবে।

এদিকে প্রক্রিয়াজাত দ্রব্য, প্রসাধনসামগ্রী, ওষুধ ও অন্যান্য প্রক্রিয়া বা সেবার জন্য হালাল সনদ নেয়া যাবে। এজন্য ক্ষুদ্র শিল্পে সনদ বা নবায়ন ফি এক হাজার টাকা, মাঝারি শিল্পে তিন হাজার ও বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকা।

নুরুল আমিন বলেন, কোনো প্রক্রিয়াজাত দ্রব্যের গায়ে বা লেবেলে অথবা প্রক্রিয়া বা সেবার অনুকূলে হালাল মার্ক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সনদের জন্য বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত ফরমে সংস্থাটির মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করতে হবে। সনদ দেয়া হবে তিন বছরের জন্য। মেয়াদ শেষে নবায়নের আবেদন করা যাবে।

তিনি বলেন, এ জন্য ১৩ সদস্যের সার্টিফিকেশন কমিটি করা হয়েছে, যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কারা নিরীক্ষা দল হিসেবে সার্টিফিকেটের জন্য সবকিছু যাচাই করবে। এরপর হালাল সনদ কমিটি বিএসটিআইয়ের কাছে সুপারিশ করবে। বিএসটিআই সন্তুষ্ট হলে সনদ দেবে।

এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সনদের জন্য আবেদন করার সময় প্রতিষ্ঠান ও কারখানার নাম-ঠিকানা, ব্র্যান্ড ও পণ্যের নাম ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারী স্বয়ং এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মালিক, অংশীদার বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষর থাকতে হবে।

জানা গেছে, দেশের পণ্যের জন্য বিভিন্ন মানসনদ প্রদানকারী হলেও এতদিন হালাল সনদ দেয়ার এখতিয়ার ছিল না বিএসটিআইয়ের। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন প্রবিধানমালা ১৯৮৯’ এ সংশোধন করা হয়। যাতে হালাল সনদ দেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে সংস্থাটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এবার হালাল পণ্যের সনদ দেবে বিএসটিআই

আপডেট : ০২:১৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
এতদিন হালাল পণ্যের সনদ শুধুমাত্র ইসলামি ফাউন্ডেশন দিয়ে আসহিল। এখন থেকে ইসলামি ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি এই সনদ দেবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএসটিআই। এর আগে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল শিল্প মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের সার্টিফিকেশন মার্কস উইংয়ের (সিএম) পরিচালক নুরুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, এখন থেকে বিএসটিআইয়ে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেটের পথটি উন্মক্ত। রপ্তানির ক্ষেত্রে এ সার্টিফিকেট খুবই সহায়ক হবে। বিএসটিআই দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি দেবে।

এদিকে প্রক্রিয়াজাত দ্রব্য, প্রসাধনসামগ্রী, ওষুধ ও অন্যান্য প্রক্রিয়া বা সেবার জন্য হালাল সনদ নেয়া যাবে। এজন্য ক্ষুদ্র শিল্পে সনদ বা নবায়ন ফি এক হাজার টাকা, মাঝারি শিল্পে তিন হাজার ও বৃহৎ শিল্পের ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকা।

নুরুল আমিন বলেন, কোনো প্রক্রিয়াজাত দ্রব্যের গায়ে বা লেবেলে অথবা প্রক্রিয়া বা সেবার অনুকূলে হালাল মার্ক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সনদের জন্য বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত ফরমে সংস্থাটির মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করতে হবে। সনদ দেয়া হবে তিন বছরের জন্য। মেয়াদ শেষে নবায়নের আবেদন করা যাবে।

তিনি বলেন, এ জন্য ১৩ সদস্যের সার্টিফিকেশন কমিটি করা হয়েছে, যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কারা নিরীক্ষা দল হিসেবে সার্টিফিকেটের জন্য সবকিছু যাচাই করবে। এরপর হালাল সনদ কমিটি বিএসটিআইয়ের কাছে সুপারিশ করবে। বিএসটিআই সন্তুষ্ট হলে সনদ দেবে।

এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সনদের জন্য আবেদন করার সময় প্রতিষ্ঠান ও কারখানার নাম-ঠিকানা, ব্র্যান্ড ও পণ্যের নাম ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারী স্বয়ং এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মালিক, অংশীদার বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষর থাকতে হবে।

জানা গেছে, দেশের পণ্যের জন্য বিভিন্ন মানসনদ প্রদানকারী হলেও এতদিন হালাল সনদ দেয়ার এখতিয়ার ছিল না বিএসটিআইয়ের। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন প্রবিধানমালা ১৯৮৯’ এ সংশোধন করা হয়। যাতে হালাল সনদ দেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে সংস্থাটি।