ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই: জিকো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
  • / 84
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ জয়। এরপর তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভারতের জয় রুখে দেয় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ারা সামনেও এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের বৃহস্পতিবার তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে সমর্থকদের মন জয় করে নেওয়া জিকো, ইয়াসিন আরাফাতরা মালদ্বীপের বিপক্ষেও ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান।

মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো বলেন, আমরা এখন পজিটিভ ফুটবল খেলছি। পাসিং ফুটবল খেলার চেষ্টা করছি। সবার আত্মবিশ্বাস রয়েছে, আমরা এখন যে ফুটবলটা খেলছি সামনেও সেটি খেলতে চাই। ভারত অবশ্যই র‍্যাংকিংয়ের অনেক ভালো একটা দল। তাদের ব্যবধানটা সবসময় গড়ে দিচ্ছেন সুনিল ছেত্রী। আমরা অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছিলাম। যদি কাজে লাগাতে পারতাম ম্যাচটা জিততে পারতাম। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।

জিকো মনে করেন ভবিষ্যতে ভারতকে হারিয়ে দিতে পারবে বাংলাদেশ। তার কথায়, ভারতের সঙ্গে আমরা গত কয়েক বছরে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি। তাই তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা তাদেরকে হারানোর জন্যই মাঠে নামবো। ভারতের কাছে পয়েন্ট পাওয়া এ ধরণের টুর্নামেন্টে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।

কারণ এই এক পয়েন্ট আমাদের অনেক কাজে লাগবে। বাকি দুই ম্যাচ থেকে একটা জিতলে আমাদের ফাইনালে যাবার সম্ভাবনাটা অনেক বেড়ে যাবে। কাল (সোমবার) ম্যাচটা হেরে গেলে আমরা অনেক সমস্যায় পড়ে যেতাম। তাই ভারতের বিপক্ষের এই পয়েন্টটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া বলেন,কোচ যেভাবে বলেছেন সেভাবে খেলতে চেষ্টা করেছি। এমন খেললে আত্মবিশ্বাসটা অনেক বাড়ে। আমারও বেড়েছে। শুধু আমি না, সবাই ভালো করেছে।

দুই ম্যাচে বাংলাদেশের দু’টি গোলই করেছেন দুই ডিফেন্ডার। ফরোয়ার্ডরা গোল করতে পারেননি। সামনের ম্যাচ নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসি আপনারা?

মতিনের উত্তর,ফরোয়ার্ডরা গোল করবে এটা ঠিক আছে। তবে আমি মনে করি ১১ জন মিলেই একটা দল। গোল যে কেউই করতে পারে। আমরা আশাবাদী। আমরা সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। ট্রেনিংয়েও কোচ ফিনিশিং নিয়ে কাজ করেছেন। আশা করি আগামী ম্যাচে ফরোয়ার্ডরাও গোল পাবো ইনসাল্লাহ।

আক্রমণভাগ ধারালো হলেও মালদ্বীপের রক্ষণে কিছুটা দুর্বলতা আছে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। মতিন বলেন, এটা নিয়ে কোচ কাজ করবেন। তাদের রক্ষণের দুর্বলতা আমাদের ফরোয়ার্ডরা কাজে লাগাবেন। এই ম্যাচটা আমরা জেতার জন্য খেলবো।

‘কোচ আমাদের এমনভাবে ট্রেনিং করিয়েছেন যে মনে হয়েছে ভারত আমাদের কাছে কিছুই না। কোচ আমাদের মানসিকভাবে উজ্জীবিত করেছেন। যে কারণে ভারতের সঙ্গে এভাবে খেলতে পেরেছি। যখন দেখি একজন ডিফেন্ডার গোল করতে পেরেছে। তখন আমরা ফরোয়ার্ডরা আরও সাহস পাই উজ্জীবিত হই।’ যোগ করেন এই ফরোয়ার্ড।

পরের ম্যাচে দু’জনকে পাচ্ছেন না অস্কার ব্রুজোন। লালকার্ড পাওয়া ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ এবং টানা দু’ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়া মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই: জিকো

আপডেট : ০১:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ জয়। এরপর তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভারতের জয় রুখে দেয় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ারা সামনেও এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের বৃহস্পতিবার তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে সমর্থকদের মন জয় করে নেওয়া জিকো, ইয়াসিন আরাফাতরা মালদ্বীপের বিপক্ষেও ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান।

মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো বলেন, আমরা এখন পজিটিভ ফুটবল খেলছি। পাসিং ফুটবল খেলার চেষ্টা করছি। সবার আত্মবিশ্বাস রয়েছে, আমরা এখন যে ফুটবলটা খেলছি সামনেও সেটি খেলতে চাই। ভারত অবশ্যই র‍্যাংকিংয়ের অনেক ভালো একটা দল। তাদের ব্যবধানটা সবসময় গড়ে দিচ্ছেন সুনিল ছেত্রী। আমরা অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছিলাম। যদি কাজে লাগাতে পারতাম ম্যাচটা জিততে পারতাম। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।

জিকো মনে করেন ভবিষ্যতে ভারতকে হারিয়ে দিতে পারবে বাংলাদেশ। তার কথায়, ভারতের সঙ্গে আমরা গত কয়েক বছরে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি। তাই তাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা তাদেরকে হারানোর জন্যই মাঠে নামবো। ভারতের কাছে পয়েন্ট পাওয়া এ ধরণের টুর্নামেন্টে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।

কারণ এই এক পয়েন্ট আমাদের অনেক কাজে লাগবে। বাকি দুই ম্যাচ থেকে একটা জিতলে আমাদের ফাইনালে যাবার সম্ভাবনাটা অনেক বেড়ে যাবে। কাল (সোমবার) ম্যাচটা হেরে গেলে আমরা অনেক সমস্যায় পড়ে যেতাম। তাই ভারতের বিপক্ষের এই পয়েন্টটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া বলেন,কোচ যেভাবে বলেছেন সেভাবে খেলতে চেষ্টা করেছি। এমন খেললে আত্মবিশ্বাসটা অনেক বাড়ে। আমারও বেড়েছে। শুধু আমি না, সবাই ভালো করেছে।

দুই ম্যাচে বাংলাদেশের দু’টি গোলই করেছেন দুই ডিফেন্ডার। ফরোয়ার্ডরা গোল করতে পারেননি। সামনের ম্যাচ নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসি আপনারা?

মতিনের উত্তর,ফরোয়ার্ডরা গোল করবে এটা ঠিক আছে। তবে আমি মনে করি ১১ জন মিলেই একটা দল। গোল যে কেউই করতে পারে। আমরা আশাবাদী। আমরা সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। ট্রেনিংয়েও কোচ ফিনিশিং নিয়ে কাজ করেছেন। আশা করি আগামী ম্যাচে ফরোয়ার্ডরাও গোল পাবো ইনসাল্লাহ।

আক্রমণভাগ ধারালো হলেও মালদ্বীপের রক্ষণে কিছুটা দুর্বলতা আছে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। মতিন বলেন, এটা নিয়ে কোচ কাজ করবেন। তাদের রক্ষণের দুর্বলতা আমাদের ফরোয়ার্ডরা কাজে লাগাবেন। এই ম্যাচটা আমরা জেতার জন্য খেলবো।

‘কোচ আমাদের এমনভাবে ট্রেনিং করিয়েছেন যে মনে হয়েছে ভারত আমাদের কাছে কিছুই না। কোচ আমাদের মানসিকভাবে উজ্জীবিত করেছেন। যে কারণে ভারতের সঙ্গে এভাবে খেলতে পেরেছি। যখন দেখি একজন ডিফেন্ডার গোল করতে পেরেছে। তখন আমরা ফরোয়ার্ডরা আরও সাহস পাই উজ্জীবিত হই।’ যোগ করেন এই ফরোয়ার্ড।

পরের ম্যাচে দু’জনকে পাচ্ছেন না অস্কার ব্রুজোন। লালকার্ড পাওয়া ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ এবং টানা দু’ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়া মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন।