ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘দুধের শিশু’র কামড় নিতে পারবেন তো কোহলিরা?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • / 83
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল বাবর আজমদের বিরুদ্ধে বেশি না খেলা। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও কিন্তু সেই সিঁদুরে মেঘ দেখা যাচ্ছে। আইপিএল-এ রশিদ খানদের খেললেও বাকি দলকে চেনেই না ভারত।

দল হিসেবে অভিজ্ঞ ভারতের সামনে আফগানিস্তান অনেকটা ‘দুধের শিশু’। তবে ক্রিকেটের অন্য ফরমেটগুলো থেকে তারা টি-২০ বেশি খেলছে। এ কারণে তাদের সমীহ করে দেখতে হবে ভারতকে।

কার্যত টি-২০ ক্রিকেটে আফগানিস্তান বেশ শক্তিশালী দল। রশিদ, মুহাম্মদ নবি, মুজিব উর রহমানদের স্পিন যেমন বিপদে ফেলতে পারে, তেমনই ব্যাট হাতে মুহাম্মদ শাহজাদরাও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন।

এখনও অবধি ভারত বনাম আফঘানিস্তান টি-২০ ম্যাচ খেলা হয়েছে মাত্র দু’টি। টি-২০ বিশ্বকাপেই সেই দু’টি ম্যাচ খেলা হয়েছিল। দু’টি ম্যাচেই ভারত জিতেছিল।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম বার বিশ্বকাপের মঞ্চে হারতে হয়েছে ভারতকে। টি-২০ ক্রিকেটে প্রথম বার ১০ উইকেটে হারতে হয়েছে তাদের। এবারের বিশ্বকাপ থেকেও প্রায় বিদায় হয়ে গেছে বলেই ধরে নিয়েছেন সমর্থকরা। এমন অবস্থায় সামনে রশিদরা। নেট রান রেটে ভারতের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন তারা।

ভারত এবং আফগানিস্তানের মধ্যে যে দু’টি ম্যাচ হয়েছে তাতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান বিরাট কোহলি এবং নুর আলি জাদরানের। দু’জনেই ৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

দু’টি ম্যাচ মিলিয়ে মোট রানে এগিয়ে সুরেশ রায়না। ৫৬ রান করেছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি উইকেটও নিয়েছেন এক ভারতীয়। আশিস নেহরা তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন।

ইতিহাস ভারতকে এগিয়ে রাখলেও বুধবারের ম্যাচে কাঁধ ঝুঁকে যাওয়া ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে অঘটন ঘটিয়ে দিতেই পারে আফগানিস্তান। রশিদদের সামনে সুযোগ রয়েছে সেমিফাইনালে যাওয়ার।

গ্রুপ-২ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে যেতে হলে ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রয়োজন আফগানিস্তানের। কোহলিদের নামতে হবে সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে। সেইসঙ্গে হারানো সম্মান ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নামতে হবে তাদের। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘দুধের শিশু’র কামড় নিতে পারবেন তো কোহলিরা?

আপডেট : ১১:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল বাবর আজমদের বিরুদ্ধে বেশি না খেলা। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও কিন্তু সেই সিঁদুরে মেঘ দেখা যাচ্ছে। আইপিএল-এ রশিদ খানদের খেললেও বাকি দলকে চেনেই না ভারত।

দল হিসেবে অভিজ্ঞ ভারতের সামনে আফগানিস্তান অনেকটা ‘দুধের শিশু’। তবে ক্রিকেটের অন্য ফরমেটগুলো থেকে তারা টি-২০ বেশি খেলছে। এ কারণে তাদের সমীহ করে দেখতে হবে ভারতকে।

কার্যত টি-২০ ক্রিকেটে আফগানিস্তান বেশ শক্তিশালী দল। রশিদ, মুহাম্মদ নবি, মুজিব উর রহমানদের স্পিন যেমন বিপদে ফেলতে পারে, তেমনই ব্যাট হাতে মুহাম্মদ শাহজাদরাও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন।

এখনও অবধি ভারত বনাম আফঘানিস্তান টি-২০ ম্যাচ খেলা হয়েছে মাত্র দু’টি। টি-২০ বিশ্বকাপেই সেই দু’টি ম্যাচ খেলা হয়েছিল। দু’টি ম্যাচেই ভারত জিতেছিল।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম বার বিশ্বকাপের মঞ্চে হারতে হয়েছে ভারতকে। টি-২০ ক্রিকেটে প্রথম বার ১০ উইকেটে হারতে হয়েছে তাদের। এবারের বিশ্বকাপ থেকেও প্রায় বিদায় হয়ে গেছে বলেই ধরে নিয়েছেন সমর্থকরা। এমন অবস্থায় সামনে রশিদরা। নেট রান রেটে ভারতের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন তারা।

ভারত এবং আফগানিস্তানের মধ্যে যে দু’টি ম্যাচ হয়েছে তাতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান বিরাট কোহলি এবং নুর আলি জাদরানের। দু’জনেই ৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

দু’টি ম্যাচ মিলিয়ে মোট রানে এগিয়ে সুরেশ রায়না। ৫৬ রান করেছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি উইকেটও নিয়েছেন এক ভারতীয়। আশিস নেহরা তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন।

ইতিহাস ভারতকে এগিয়ে রাখলেও বুধবারের ম্যাচে কাঁধ ঝুঁকে যাওয়া ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে অঘটন ঘটিয়ে দিতেই পারে আফগানিস্তান। রশিদদের সামনে সুযোগ রয়েছে সেমিফাইনালে যাওয়ার।

গ্রুপ-২ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে যেতে হলে ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রয়োজন আফগানিস্তানের। কোহলিদের নামতে হবে সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে। সেইসঙ্গে হারানো সম্মান ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নামতে হবে তাদের। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন