ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় দিন শেষে চালকের আসনে পাকিস্তান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
  • / 93
তৃতীয় দিনের শুরুটা যেভাবে করেছিলো টিম টাইগার তবে শেষটা রাঙ্গাতে পারলো না মুমিনুল হকের দল। ফলে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান। মুশফিক রহিম ১২ ও ইয়াসির রাব্বি ৮ রানে অপরাজিত আছেন। ইতোমধ্যে ৮৩ রানের লিড নিয়েছে টাইগাররা। চট্টগ্রাম টেস্টের বাকি এখনও দুইদিন। এই টেস্টের ফল যে হবে তা নিশ্চিত বলা যায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে হলে অবশ্যই ব্যাট হাতে ভালো কিছু করতে হবে মুশফিকুর রহিমদের। না হয় হারের গল্প লেখা হয়ে যাবে দ্বিতীয় ইনিংসেই।

এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো না বাংলাদেশের। দলীয় ১৪ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পরে সাজঘরে ফিরে যায় ওপেনার সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ২৮ বলে ১৪ রান করে আউট হয় সাদমান। আর আজ দ্বিতীয় ইনিংসে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ১৪ বলে ১ রান করে আউট হয় সাদমান।

শুরুতে ১ উইকেট হারিয়ে যখন চাপে পরে বাংলাদেশ তখন সাইফ হাসানের সঙ্গী হিসাবে ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে স্কোর বোর্ডে কোন রা যোগ করার আগেই শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে আব্দুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয় টপ অর্ডার এই ব্যাটার। গত ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে শান্ত।

শান্তের আউটের সময় বাংলাদেশ রান ছিলো ১৪। আর মাত্র ১ রান পরেই প্যাভিলিয়েনে ফিরে যায় অধিনায়ক মুমিনুল হক। হাসান আলীর বলে কোন রান যোগ না করেই প্যাভিলিয়নে পথে হাটেন টাইগার এই অধিনায়ক। এদিন ব্যাট হাতে আবারো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ওপেনার সাইফ হাসান। ৩৪ বলে ১৮ রান করে আফ্রিদির বলে আউট হয় সাইফ।

এর আগে এক তাইজুল ইসলামের স্পিন বিষেই কোণঠাসা হয়ে পরে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এক কথায় বলা যায় চট্রগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে ক্রিকেট প্রেমীরা এক কাপ চা চুমুক দিতেই উইকেট হারাতে বসে পাকিস্তান শিবির। এক তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন উইকেট আর পেসার ইবাদত নিয়েছেন দুই উইকেট আর মিরাজের ঝুলিতে আছে একটি উইকেট। ফলে বাবর আজমের দল প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৮৬ রান। বাংলাদেশ এখনও ৪৪ রানে এগিয়ে আছে। কিছুক্ষন পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৭ রান করেন আবিদ আলী। এ ছাড়া ৫২ রান করেন আব্দুল্লাহ শফিক। এই দুই ওপেনার ছাড়া পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যাট হাসেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তৃতীয় দিন শেষে চালকের আসনে পাকিস্তান

আপডেট : ০২:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
তৃতীয় দিনের শুরুটা যেভাবে করেছিলো টিম টাইগার তবে শেষটা রাঙ্গাতে পারলো না মুমিনুল হকের দল। ফলে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান। মুশফিক রহিম ১২ ও ইয়াসির রাব্বি ৮ রানে অপরাজিত আছেন। ইতোমধ্যে ৮৩ রানের লিড নিয়েছে টাইগাররা। চট্টগ্রাম টেস্টের বাকি এখনও দুইদিন। এই টেস্টের ফল যে হবে তা নিশ্চিত বলা যায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে হলে অবশ্যই ব্যাট হাতে ভালো কিছু করতে হবে মুশফিকুর রহিমদের। না হয় হারের গল্প লেখা হয়ে যাবে দ্বিতীয় ইনিংসেই।

এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো না বাংলাদেশের। দলীয় ১৪ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পরে সাজঘরে ফিরে যায় ওপেনার সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ২৮ বলে ১৪ রান করে আউট হয় সাদমান। আর আজ দ্বিতীয় ইনিংসে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ১৪ বলে ১ রান করে আউট হয় সাদমান।

শুরুতে ১ উইকেট হারিয়ে যখন চাপে পরে বাংলাদেশ তখন সাইফ হাসানের সঙ্গী হিসাবে ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে স্কোর বোর্ডে কোন রা যোগ করার আগেই শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে আব্দুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয় টপ অর্ডার এই ব্যাটার। গত ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে শান্ত।

শান্তের আউটের সময় বাংলাদেশ রান ছিলো ১৪। আর মাত্র ১ রান পরেই প্যাভিলিয়েনে ফিরে যায় অধিনায়ক মুমিনুল হক। হাসান আলীর বলে কোন রান যোগ না করেই প্যাভিলিয়নে পথে হাটেন টাইগার এই অধিনায়ক। এদিন ব্যাট হাতে আবারো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ওপেনার সাইফ হাসান। ৩৪ বলে ১৮ রান করে আফ্রিদির বলে আউট হয় সাইফ।

এর আগে এক তাইজুল ইসলামের স্পিন বিষেই কোণঠাসা হয়ে পরে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এক কথায় বলা যায় চট্রগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে ক্রিকেট প্রেমীরা এক কাপ চা চুমুক দিতেই উইকেট হারাতে বসে পাকিস্তান শিবির। এক তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন উইকেট আর পেসার ইবাদত নিয়েছেন দুই উইকেট আর মিরাজের ঝুলিতে আছে একটি উইকেট। ফলে বাবর আজমের দল প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৮৬ রান। বাংলাদেশ এখনও ৪৪ রানে এগিয়ে আছে। কিছুক্ষন পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৭ রান করেন আবিদ আলী। এ ছাড়া ৫২ রান করেন আব্দুল্লাহ শফিক। এই দুই ওপেনার ছাড়া পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যাট হাসেনি।