ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাইগারদের ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন পরিণত হলো দুঃস্বপ্নে

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:৩৬:০১ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • / 110
আরেকটু হলে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের এক ইনিংসে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটিই করতে বসেছিলো বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে গর্বের ইতিহাস গড়তে গিয়ে লজ্জার ইতিহাস তৈরি হয় কিনা সেই শঙ্কা জেঁকে ধরেছিলো টাইগারদের। শেষমেশ সেই লজ্জায় আর পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৪৩ রান ঠিকই পার করেছে, তবে তার চেয়ে আর মাত্র ১০ রান বেশি করতে পেরেছে বাংলাদেশ। শেষমেশ ৫৩ রানে অলআউট হয় ২২০ রানের বিশাল পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে মমিনুল বাহিনীকে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবান টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৭৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছিলো বাংলাদেশ। হাতে একদিনের বেশি সময় নিয়ে প্রোটিয়াদের হারানোর স্বপই দেখেছিলো বাংলাদেশ। তবে সে স্বপ্নকে এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছেন প্রোটিয়া স্পিনাররা। বিশেষ করে বলতে গেলে কেশভ মহারাজ আর সিমন হার্মারের ঘূর্ণিতে ৫৩ রানেই সব উইকেট হারিয়ে ২২০ রানের বিশাল বড় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

চতুর্থ দিন বিকেলে ১১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পঞ্চম দিন সকালে খেলতে নেমে যেন আরও বেশিই খেই হারিয়ে ফেললেন। পঞ্চম দিনে ইনিংসের পঞ্চম বলেই মুশফিকুর রহিমকে তুলে নেন কেশভ মহারাজ। আগেরদিন শূন্য রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক এদিন কোনো রানই যোগ করতে পারেননি নিজের বা দলের খাতায়।

মুশফিকের আউটের ঠিক ১২ বল পরে মহারাজের আরেক শিকার লিটন দাস। ৬ বলে ২ রান করা লিটন ফেরেন আরেক সিমন হার্মারের ক্যাচ হয়ে। স্কোরবোর্ডে ১৬ রান তুলতেই বাংলাদেশের নেই ৫ উইকেট।

লিটনের আউটের পর আবারও ঠিক সেই ১২ বল পরে আবারও দৃশ্যপটে সেই কেশভ মহারাজ। এবার শিকার নিজের পঞ্চম আর বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেট। ৭ বলে ৫ রান করা ইয়াসির ফেরেন মহারাজের বলে বোল্ড হয়ে।

মহারাজের ৫ উইকেটেই শেষ নয়, সতীর্থের টপাটপ উইকেট তুলে নেয়া দেখে উজ্জীবিত হয়েই আগেরদিন এক উইকেট নেয়া সিমন হার্মার ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজকে। ৪ বলে খেলে কোন রান না করেই বিদায় নেন মিরাজ।

কিংসিমিডের দর্শকেরা সকালে স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই বাংলাদেশের ৭ উইকেট নেই মাত্র ৩৩ রানে। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে কিছুটা আলো দেখিয়েছিলেন নাজমুল হসেন শান্ত। তিনে নামা এই ব্যাটসম্যান টিকে ছিলেন ক্রিজের ওপর প্রান্তে। তবে বিধি বাম, ৫২ বলে ২৬ রান করার পর হার্মারের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনিও। বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারায় ৫০ রানেই।

এরপর টেল এন্ডার খালেদ আহমেদকেও শূন্য রানেই ফেরান কেশভ মহারাজ। ৫১ রানেই ৯ উইকেট হারানো বাংলাদেশের তখন অপেক্ষা কত বড় পরাজয় বরণ করতে হয় সেই হিসেবের। সেই অপেক্ষাটাও মিটিয়েছেন ওই কেশভ মহারাজই। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই অংক ছোঁয়া তাসকিন আহমেদকে ১৪ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ২২০ রানের বিশাল পরাজয়ই দিলেন এই প্রোটিয়া স্পিনার।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশভ মহারাজ আর সিমন হার্মার বাদে অন্য কোনো বোলার বোলিংয়েই আসেনি এদিন, আসলে আসার প্রয়োজনই পড়েনি। ১০ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন কেশভ মহারাজ একাই। আর ৯ ওভারের মধ্যে ৩ মেডেনে ২১ রান দিয়েই বাকি ৩ উইকেট হার্মারের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টাইগারদের ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন পরিণত হলো দুঃস্বপ্নে

আপডেট : ০৭:৩৬:০১ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
আরেকটু হলে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের এক ইনিংসে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটিই করতে বসেছিলো বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে গর্বের ইতিহাস গড়তে গিয়ে লজ্জার ইতিহাস তৈরি হয় কিনা সেই শঙ্কা জেঁকে ধরেছিলো টাইগারদের। শেষমেশ সেই লজ্জায় আর পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৪৩ রান ঠিকই পার করেছে, তবে তার চেয়ে আর মাত্র ১০ রান বেশি করতে পেরেছে বাংলাদেশ। শেষমেশ ৫৩ রানে অলআউট হয় ২২০ রানের বিশাল পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে মমিনুল বাহিনীকে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবান টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৭৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছিলো বাংলাদেশ। হাতে একদিনের বেশি সময় নিয়ে প্রোটিয়াদের হারানোর স্বপই দেখেছিলো বাংলাদেশ। তবে সে স্বপ্নকে এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছেন প্রোটিয়া স্পিনাররা। বিশেষ করে বলতে গেলে কেশভ মহারাজ আর সিমন হার্মারের ঘূর্ণিতে ৫৩ রানেই সব উইকেট হারিয়ে ২২০ রানের বিশাল বড় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

চতুর্থ দিন বিকেলে ১১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পঞ্চম দিন সকালে খেলতে নেমে যেন আরও বেশিই খেই হারিয়ে ফেললেন। পঞ্চম দিনে ইনিংসের পঞ্চম বলেই মুশফিকুর রহিমকে তুলে নেন কেশভ মহারাজ। আগেরদিন শূন্য রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক এদিন কোনো রানই যোগ করতে পারেননি নিজের বা দলের খাতায়।

মুশফিকের আউটের ঠিক ১২ বল পরে মহারাজের আরেক শিকার লিটন দাস। ৬ বলে ২ রান করা লিটন ফেরেন আরেক সিমন হার্মারের ক্যাচ হয়ে। স্কোরবোর্ডে ১৬ রান তুলতেই বাংলাদেশের নেই ৫ উইকেট।

লিটনের আউটের পর আবারও ঠিক সেই ১২ বল পরে আবারও দৃশ্যপটে সেই কেশভ মহারাজ। এবার শিকার নিজের পঞ্চম আর বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেট। ৭ বলে ৫ রান করা ইয়াসির ফেরেন মহারাজের বলে বোল্ড হয়ে।

মহারাজের ৫ উইকেটেই শেষ নয়, সতীর্থের টপাটপ উইকেট তুলে নেয়া দেখে উজ্জীবিত হয়েই আগেরদিন এক উইকেট নেয়া সিমন হার্মার ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজকে। ৪ বলে খেলে কোন রান না করেই বিদায় নেন মিরাজ।

কিংসিমিডের দর্শকেরা সকালে স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই বাংলাদেশের ৭ উইকেট নেই মাত্র ৩৩ রানে। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে কিছুটা আলো দেখিয়েছিলেন নাজমুল হসেন শান্ত। তিনে নামা এই ব্যাটসম্যান টিকে ছিলেন ক্রিজের ওপর প্রান্তে। তবে বিধি বাম, ৫২ বলে ২৬ রান করার পর হার্মারের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনিও। বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারায় ৫০ রানেই।

এরপর টেল এন্ডার খালেদ আহমেদকেও শূন্য রানেই ফেরান কেশভ মহারাজ। ৫১ রানেই ৯ উইকেট হারানো বাংলাদেশের তখন অপেক্ষা কত বড় পরাজয় বরণ করতে হয় সেই হিসেবের। সেই অপেক্ষাটাও মিটিয়েছেন ওই কেশভ মহারাজই। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই অংক ছোঁয়া তাসকিন আহমেদকে ১৪ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ২২০ রানের বিশাল পরাজয়ই দিলেন এই প্রোটিয়া স্পিনার।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশভ মহারাজ আর সিমন হার্মার বাদে অন্য কোনো বোলার বোলিংয়েই আসেনি এদিন, আসলে আসার প্রয়োজনই পড়েনি। ১০ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৭ উইকেট তুলে নিয়েছেন কেশভ মহারাজ একাই। আর ৯ ওভারের মধ্যে ৩ মেডেনে ২১ রান দিয়েই বাকি ৩ উইকেট হার্মারের।