ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ৪ জন আজীবন নিষিদ্ধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৪২:১২ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
  • / 81
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে পাতানো খেলার অভিযোগে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে ২ বছরের জন্য প্রথম বিভাগে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ক্লাবটির ৪ জন কর্মকর্তাকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডিসিপ্লিনারি কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।

আজীবন নিষিদ্ধরা হলেন- ক্লাবের কর্মকর্তা সাবেক সভাপতি ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এম স্পোর্টস এর স্বত্বাধিকারী মো. মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, সাবেক টিম ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, সাবেক ট্রেনার ভারতের মাইদুল ইসলাম শেখ ও সহকারী ম্যানেজার আরিফ হোসেন।

এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে ১৬ দেশি-বিদেশি ফুটবলার ও কর্মকর্তাদের। একই সঙ্গে দলটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ক্লাবের সাবেক ফিজিও ভারতের সঞ্চয় বোস, প্লেয়ার এজেন্ট ভারতের আজিজুল শেখকে ফুটবল থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্লাবের খেলোয়াড় আপেল মাহমুদকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫ বছরের জন্য।

৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে- খেলোয়াড় আবুল কাশেম মিলন, আল আমিন, মো. রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, সৈকত, শামীম রেজা, অস্ট্রেলিয়ান স্মিথকে।

এছাড়া ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফুটবলার ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ, মিরাজ মোল্লা ও নাইজেরিয়ান চিজোবা ক্রিস্টোফারকে।

তথ্য মতে, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের অনৈতিক কার্যকলাপের প্রমাণ পেয়েছিলো এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও। এএফসির নির্দেশনা পেয়েই বাফুফে ক্লাবটির বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত শুরু করে। এরপর নানা তথ্য-উপাত্ত এবং ক্লাবের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মোবাইল কথোপকথনের ফরেনসিক প্রতিবেদনে স্পট ফিকিংয়ের প্রমাণ পায় বাফুফের পাতানো খেলা সনাক্তকরণ কমিটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ৪ জন আজীবন নিষিদ্ধ

আপডেট : ১১:৪২:১২ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে পাতানো খেলার অভিযোগে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে ২ বছরের জন্য প্রথম বিভাগে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ক্লাবটির ৪ জন কর্মকর্তাকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডিসিপ্লিনারি কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।

আজীবন নিষিদ্ধরা হলেন- ক্লাবের কর্মকর্তা সাবেক সভাপতি ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এম স্পোর্টস এর স্বত্বাধিকারী মো. মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, সাবেক টিম ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, সাবেক ট্রেনার ভারতের মাইদুল ইসলাম শেখ ও সহকারী ম্যানেজার আরিফ হোসেন।

এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে ১৬ দেশি-বিদেশি ফুটবলার ও কর্মকর্তাদের। একই সঙ্গে দলটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ক্লাবের সাবেক ফিজিও ভারতের সঞ্চয় বোস, প্লেয়ার এজেন্ট ভারতের আজিজুল শেখকে ফুটবল থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ক্লাবের খেলোয়াড় আপেল মাহমুদকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫ বছরের জন্য।

৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে- খেলোয়াড় আবুল কাশেম মিলন, আল আমিন, মো. রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, সৈকত, শামীম রেজা, অস্ট্রেলিয়ান স্মিথকে।

এছাড়া ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফুটবলার ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ, মিরাজ মোল্লা ও নাইজেরিয়ান চিজোবা ক্রিস্টোফারকে।

তথ্য মতে, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের অনৈতিক কার্যকলাপের প্রমাণ পেয়েছিলো এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও। এএফসির নির্দেশনা পেয়েই বাফুফে ক্লাবটির বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত শুরু করে। এরপর নানা তথ্য-উপাত্ত এবং ক্লাবের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মোবাইল কথোপকথনের ফরেনসিক প্রতিবেদনে স্পট ফিকিংয়ের প্রমাণ পায় বাফুফের পাতানো খেলা সনাক্তকরণ কমিটি।