ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শাওনকে নিয়ে দুই ক্লাবের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৫৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 195
এক সময় দেশের ফুটবলে খেলোয়াড় অপহরণের ঘটনা ঘটতো। খেলোয়াড় টানাটানিতে ক্লাব ভাংচুরের ঘটনার স্বাক্ষীও ছিল অনেক। কিন্তু এবার সেই ভূত চেপেছে হকিতে। দুই বছর পর কাল থেকে যখন দলবদল শুরু হবে, তার ঠিক দেড় দিন আগে শুক্রবার রাতে মতিঝিঝে ঘটলো এমন এক ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ডিফেন্ডার সারোয়ার মোর্শেদ শাওনকে নিয়ে টানাটানি ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। মেরিনার্সের অভিযোগ, নওগাঁর বাড়ি থেকে রওয়ান হয়ে ঢাকায় আসার পর শাওনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মোহামেডান। অন্যদিকে মোহামেডানের বক্তব্য, শাওন তাদেরই খেলোয়াড়। বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ালেও এখন সাদা-কালো (মোহামেডান) ক্লাবেই অবস্থান করছেন শাওন।

এ ঘটনায় শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেরিনার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি আলমগীর কবির বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর আমরা শাওনের বাড়ি নওগাঁয় গিয়ে স্ট্যাম্পে চুক্তি করাই। ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায় তার সঙ্গে আসন্ন মৌসুমের জন্য চুক্তি হয়েছে আমাদের। যার মধ্যে ২ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়েছি। শাওন টাকা গুনে বুঝে নিয়েছে সেই ছবিও আমাদের কাছে রয়েছে। স্ট্যাম্পের কপিও মিডিয়াতে সরবরাহ করেছি।

তিনি আরও বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর শাওন নওগাঁ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। কিন্তু অবাক হলেও সত্যি যে, গাবতলী আসার পর তাকে বহনকারী গাড়িটি নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুরে। এরপর তার সঙ্গে আমাদের সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে আমরা জানতে পারি সে মোহামেডান ক্লাবে রয়েছে। শুক্রবার রাতে আমরা সেখানে গিয়ে তাকে নিয়ে সরাসরি মতিঝিল থানায় জিডি করতে যাই। থানায় ডিউটিরত অফিসার ওসি এবং এসির কাছে তাকে অপহরণের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় শাওন। কিন্তু জিডির পরও থানা কর্তৃপক্ষ শাওনকে মোহামেডানে যেতে দেয়। ক্রীড়াঙ্গণে নজীরবিহীন এমন অনাচারে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মোহামেডান ক্লাবের হকি ম্যানেজার ও সাবেক তারকা খেলোয়াড় আরিফুল হক প্রিন্স এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, শাওন আমাদের চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়। আমরা তাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দিয়ে আগেই চুক্তিভুক্ত করিয়েছি। তাছাড়া ফেডারেশনের বাইলজ অনুযায়ী টোকেন যার খেলোয়াড় তার। আমাদের হয়েই দলবদলে অংশ নেবে শাওন। থানার ওসির সামনেও সে আমাদের দলে খেলার স্বীকৃতি দিয়েছে। শুক্রবার রাতে মেরিনার্সের কর্মকর্তা ও সমর্থকরা মোহামেডান ক্লাবে ঢুকে ভাংচুর করেছে।

এক খেলোয়াড়কে নিয়ে দুই ক্লাবের রশি টানাটানির ঘটনায় হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ক্লাবগুলোই নিয়ম করেছে যে, টোকেন যার খেলোয়াড় তার। আমরা যার টোকেন পাবো শাওন তাদের। আরেকটি নিয়মও রয়েছে, কোন খেলোয়াড় যদি নিরাপত্তার কারণে দলবদল করতে ফেডারেশনে আসতে না পারে, তাহলে আমরা ক্লাবে গিয়ে তার টোকেন নিয়ে আসবো। এর বেশি কিছু করার নেই আমাদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শাওনকে নিয়ে দুই ক্লাবের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

আপডেট : ১১:৫৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
এক সময় দেশের ফুটবলে খেলোয়াড় অপহরণের ঘটনা ঘটতো। খেলোয়াড় টানাটানিতে ক্লাব ভাংচুরের ঘটনার স্বাক্ষীও ছিল অনেক। কিন্তু এবার সেই ভূত চেপেছে হকিতে। দুই বছর পর কাল থেকে যখন দলবদল শুরু হবে, তার ঠিক দেড় দিন আগে শুক্রবার রাতে মতিঝিঝে ঘটলো এমন এক ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ডিফেন্ডার সারোয়ার মোর্শেদ শাওনকে নিয়ে টানাটানি ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। মেরিনার্সের অভিযোগ, নওগাঁর বাড়ি থেকে রওয়ান হয়ে ঢাকায় আসার পর শাওনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মোহামেডান। অন্যদিকে মোহামেডানের বক্তব্য, শাওন তাদেরই খেলোয়াড়। বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ালেও এখন সাদা-কালো (মোহামেডান) ক্লাবেই অবস্থান করছেন শাওন।

এ ঘটনায় শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেরিনার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি আলমগীর কবির বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর আমরা শাওনের বাড়ি নওগাঁয় গিয়ে স্ট্যাম্পে চুক্তি করাই। ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায় তার সঙ্গে আসন্ন মৌসুমের জন্য চুক্তি হয়েছে আমাদের। যার মধ্যে ২ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়েছি। শাওন টাকা গুনে বুঝে নিয়েছে সেই ছবিও আমাদের কাছে রয়েছে। স্ট্যাম্পের কপিও মিডিয়াতে সরবরাহ করেছি।

তিনি আরও বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর শাওন নওগাঁ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। কিন্তু অবাক হলেও সত্যি যে, গাবতলী আসার পর তাকে বহনকারী গাড়িটি নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুরে। এরপর তার সঙ্গে আমাদের সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে আমরা জানতে পারি সে মোহামেডান ক্লাবে রয়েছে। শুক্রবার রাতে আমরা সেখানে গিয়ে তাকে নিয়ে সরাসরি মতিঝিল থানায় জিডি করতে যাই। থানায় ডিউটিরত অফিসার ওসি এবং এসির কাছে তাকে অপহরণের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় শাওন। কিন্তু জিডির পরও থানা কর্তৃপক্ষ শাওনকে মোহামেডানে যেতে দেয়। ক্রীড়াঙ্গণে নজীরবিহীন এমন অনাচারে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মোহামেডান ক্লাবের হকি ম্যানেজার ও সাবেক তারকা খেলোয়াড় আরিফুল হক প্রিন্স এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, শাওন আমাদের চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়। আমরা তাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দিয়ে আগেই চুক্তিভুক্ত করিয়েছি। তাছাড়া ফেডারেশনের বাইলজ অনুযায়ী টোকেন যার খেলোয়াড় তার। আমাদের হয়েই দলবদলে অংশ নেবে শাওন। থানার ওসির সামনেও সে আমাদের দলে খেলার স্বীকৃতি দিয়েছে। শুক্রবার রাতে মেরিনার্সের কর্মকর্তা ও সমর্থকরা মোহামেডান ক্লাবে ঢুকে ভাংচুর করেছে।

এক খেলোয়াড়কে নিয়ে দুই ক্লাবের রশি টানাটানির ঘটনায় হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ক্লাবগুলোই নিয়ম করেছে যে, টোকেন যার খেলোয়াড় তার। আমরা যার টোকেন পাবো শাওন তাদের। আরেকটি নিয়মও রয়েছে, কোন খেলোয়াড় যদি নিরাপত্তার কারণে দলবদল করতে ফেডারেশনে আসতে না পারে, তাহলে আমরা ক্লাবে গিয়ে তার টোকেন নিয়ে আসবো। এর বেশি কিছু করার নেই আমাদের।