বাসাবাড়ি থেকে সরাসরি বর্জ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • / 163
সরাসরি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার নগরীর ওয়াসা রোডে ৫ ও ৬ নম্বরের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

মেয়র তাপস বলেন, আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যেন এই বর্জ্য সংগ্রহ করে সরাসরি কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তেমন ব্যবস্থাপনায় আমরা নজর দিয়েছি। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করছি। ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য সংগ্রহকারীও নিবন্ধন করেছি। যাতে করে সরাসরি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা থেকে বর্জ্য নিয়ে আসতে পারি।

মেয়র সরাসরি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা থেকে বর্জ্য সংগ্রহের পরিকল্পনার কথা জানালেও এখনো বেসকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত ফির বিনিময়ে বাসাবাড়ি বা স্থাপনা থেকে প্রতিদিন বর্জ্য নিয়ে যায়।

যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কয়েকগুন বেশি টাকা নেয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ রয়েছে, তাদের কাছে অনেকটা জিম্মি নগরবাসী। প্রভাব খাটিয়ে কোটি কোটি টাকার বর্জ্য বাণিজ্য করছে তারা। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সিটি করপোরেশন। এছাড়া বাড়তি টাকা দিতে কেউ আপত্তি জানালেই বর্জ্য ফেলে রাখা হচ্ছে। কখনো দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওয়ার্ডভিত্তিক অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকাবাসীকে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উপহার দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র তাপস।

তিনি বলেন, বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে সংগৃহিত বর্জ্য আমরা মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ের নিয়ে যেতে সক্ষম হব। এতে কম সময়ে বেশি পরিমাণ বর্জ্য অপসারণে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে। সুতরাং বর্জ্য যেখানে স্তুপ স্তূপাকারে থাকে সেখানে বাছাইয়ের মাধ্যমে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, তার সুযোগ অনেকাংশে কমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ৩৯টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করলাম। বাকীগুলোর নির্মাণ কার্যক্রম আমাদের চলমান রয়েছে। আমরা আশা করছি যে, এ বছরের মধ্যেই আমাদের ৭৫টি ওয়ার্ডে আমরা বর্জ্য স্থানান্তর করতে পারব।

অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাসাবাড়ি থেকে সরাসরি বর্জ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা

আপডেট : ০১:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
সরাসরি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার নগরীর ওয়াসা রোডে ৫ ও ৬ নম্বরের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

মেয়র তাপস বলেন, আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যেন এই বর্জ্য সংগ্রহ করে সরাসরি কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তেমন ব্যবস্থাপনায় আমরা নজর দিয়েছি। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করছি। ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য সংগ্রহকারীও নিবন্ধন করেছি। যাতে করে সরাসরি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা থেকে বর্জ্য নিয়ে আসতে পারি।

মেয়র সরাসরি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা থেকে বর্জ্য সংগ্রহের পরিকল্পনার কথা জানালেও এখনো বেসকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত ফির বিনিময়ে বাসাবাড়ি বা স্থাপনা থেকে প্রতিদিন বর্জ্য নিয়ে যায়।

যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কয়েকগুন বেশি টাকা নেয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ রয়েছে, তাদের কাছে অনেকটা জিম্মি নগরবাসী। প্রভাব খাটিয়ে কোটি কোটি টাকার বর্জ্য বাণিজ্য করছে তারা। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সিটি করপোরেশন। এছাড়া বাড়তি টাকা দিতে কেউ আপত্তি জানালেই বর্জ্য ফেলে রাখা হচ্ছে। কখনো দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওয়ার্ডভিত্তিক অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকাবাসীকে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উপহার দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র তাপস।

তিনি বলেন, বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে সংগৃহিত বর্জ্য আমরা মাতুয়াইল কেন্দ্রীয় ভাগাড়ের নিয়ে যেতে সক্ষম হব। এতে কম সময়ে বেশি পরিমাণ বর্জ্য অপসারণে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে। সুতরাং বর্জ্য যেখানে স্তুপ স্তূপাকারে থাকে সেখানে বাছাইয়ের মাধ্যমে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, তার সুযোগ অনেকাংশে কমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ৩৯টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করলাম। বাকীগুলোর নির্মাণ কার্যক্রম আমাদের চলমান রয়েছে। আমরা আশা করছি যে, এ বছরের মধ্যেই আমাদের ৭৫টি ওয়ার্ডে আমরা বর্জ্য স্থানান্তর করতে পারব।

অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।