বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে

অনলাইন ডেস্ক
অক্টোবর ২২, ২০২৫ ১০:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফের বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫৫ কোটি টাকা, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৩ জুন ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুন মাসের ওই সর্বনিম্ন লেনদেনের পর ধীরে ধীরে বাজারে তারল্যপ্রবাহ বাড়তে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ৩১ জুলাই বাজারের লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। ৭ সেপ্টেম্বর বছরের সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৪১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি সূচকেরও বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটে। পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়া ডিএসই প্রধান সূচক এ সময়ে পাঁচ হাজার ৬০০ পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু তারল্য সংকটে ধুঁকতে থাকা বাজারে সূচক পাঁচ হাজার পয়েন্টে নেমে এসেছে। বুধবার পাঁচ পয়েন্ট বৃদ্ধির মাধ্যমে দিনশেষে সূচক দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৯৪ পয়েন্টে।

বাজার পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্সের প্রধান নির্বাহী সোহেল রহমান গণমাধ্যমেকে বলেন, বাজারে যখন কোনো কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়ে যায়, তখন ওই কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ে বিনিয়োগকারীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ও শেয়ারের মূল্য সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। অনেকটা হুজুগ ও গুজবের বশবর্তী হয়ে তারা বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময় পর বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে লাভ তুলে নেন এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। বারবার বাজারে এমন ঘটনাই ঘটছে বলে মন্তব্য করেন এ বিশ্লেষক।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগযোগ্য শেয়ারের পরিমাণ খুবই কম। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি সর্বোচ্চ সাত-আটটি দেশীয় কোম্পানি বিনিয়োগযোগ্য তালিকায় রয়েছে। এ ধরনের বাজার টিকে থাকার কথা নয়। কিন্তু তারপরও তা টিকে আছে। কারণ, আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা হাল ছাড়েন না।