ক্ষুধার্ত মানুষকে ঘরে আটকে রাখা যায় না: জি এম কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৩:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১
  • / 189
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

লকডাউন কার্যকরের আগে খেটে খাওয়া মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ক্ষুধার্ত মানুষকে কখনোই ঘরে আটকে রাখা যায় না। ক্ষুধা আর লকডাউন এক সঙ্গে চলে না।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা মানতেই হবে, করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লে লকডাউনের বিকল্প নেই। কিন্তু দেশে কয়েক কোটি খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের ঘরে খাবার মজুদ থাকে না। প্রতিদিন আয় করেই, প্রতিদিনের খাবার জোগার করতে হয় তাদের। এমন প্রায় প্রতিটি পরিবারে খাবারের সঙ্গে ওষুধ ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিশুখাদ্য কিনতে হয়। দিতে হয় বাসা ভাড়াও।’

বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, ‘লকডাউনের কারণে কয়েক কোটি মানুষ প্রতিদিন কাজে যেতে না পারলে হাহাকার উঠবে এ সব পরিবারে। মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে দেশজুড়ে। এ ছাড়া আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়তে পারে অভাবের কারণে।’

তিনি আরও বলেন, মানবিক কারণেই সরকারিভাবে হতদরিদ্র আর খেটে খাওয়া মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি হতদরিদ্রদের জন্য সরকারি সহায়তা যেনো চুরি না হয়, সেজন্যও কঠোর প্রস্তুতি থাকতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ক্ষুধার্ত মানুষকে ঘরে আটকে রাখা যায় না: জি এম কাদের

আপডেট : ০৩:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

লকডাউন কার্যকরের আগে খেটে খাওয়া মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ক্ষুধার্ত মানুষকে কখনোই ঘরে আটকে রাখা যায় না। ক্ষুধা আর লকডাউন এক সঙ্গে চলে না।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা মানতেই হবে, করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লে লকডাউনের বিকল্প নেই। কিন্তু দেশে কয়েক কোটি খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের ঘরে খাবার মজুদ থাকে না। প্রতিদিন আয় করেই, প্রতিদিনের খাবার জোগার করতে হয় তাদের। এমন প্রায় প্রতিটি পরিবারে খাবারের সঙ্গে ওষুধ ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিশুখাদ্য কিনতে হয়। দিতে হয় বাসা ভাড়াও।’

বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, ‘লকডাউনের কারণে কয়েক কোটি মানুষ প্রতিদিন কাজে যেতে না পারলে হাহাকার উঠবে এ সব পরিবারে। মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে দেশজুড়ে। এ ছাড়া আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়তে পারে অভাবের কারণে।’

তিনি আরও বলেন, মানবিক কারণেই সরকারিভাবে হতদরিদ্র আর খেটে খাওয়া মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি হতদরিদ্রদের জন্য সরকারি সহায়তা যেনো চুরি না হয়, সেজন্যও কঠোর প্রস্তুতি থাকতে হবে সংশ্লিষ্টদের।